মমাযহাব কি? কেন মাযহাব মানতে হবে?????
আমাদের সমাজে প্রচার রয়েছে চার মাযহাবে চার ফরয। কিছু একটি ফরয হলে তা সমস্ত মুসলিম জাতির জন্যই ফরয হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে মাযহাব অনুসরণের কারণে মুসলিম জাতি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ যিনি হানাফী মাযহাবের অনুসরণ করেন, তিনি হাম্বলী, মালেকী ও শাফেয়ী মাযহাবের অনুসরণ করেন না। এমনিভাবে অন্য মাযহাবীরাও একে অন্যের মাযহাব মানেন না। তাদের কথা হল চার ফরয তথা চার মাযহাবের যে কোন একটি মানলেই হল। তাহলে তো পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের এক ওয়াক্ত মানলে বা পড়লেই হয়। চার মাযহাব ফরয করতে কোন নবীর আগমন ঘটেনি বরং অজ্ঞ ব্যক্তিরাই মাযহাব ফরয দাবী করেছে। যাদের নামে মাযহাব মানা হচ্ছে তাঁরা কি আদৌ এ মাযহাব তৈরী করেছেন? প্রকৃত ঘটনা হল এই যে, ইমামগণ প্রচলিত মাযহাব তৈরী করেন নি বা কাউকে তৈরী করতেও বলেননি এবং তাদের উপর চার মাযহাব ফরযও হয়নি। বরং চারশত হিজরীর পর, অতিভক্তির পরিণতির কারণে এই চার মাযহাবের উদ্ভব হয়। যদি ধরেও নেয়া হয় যে ইমামগণ চার মাযহাব তৈরী করেছেন, কিন্তু তা ফরয হল কি ভাবে? তাঁরাতো নবী ছিলেন না। তাদের নিকট ওহীও আসত না। এগুলি তাঁদের নামে মিথ্যা অপবাদ ব্যতীত আর কিছুই না। তাঁদের সময় এবং তাঁদের পূর্বে একটি মাযহাবই ছিল। তাঁরা ঐ একটি মাযহাবকেই মানতেন এবং অন্যকে মানতে বলতেন। ঐ একটি মাযহাবই ফরয যা নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে।
আমরা মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ তা'আলাকে পেতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করি। কোরআন ও হাদিস হলো তার বাস্তবায়ন। কোরআন ও হাদিসে কি বলেছে তার উপর আমরা আমল করে থাকি তার বিরুদ হলে লাথি মারি । এখন কথা হলো আমরা সকলে তো কোরআন ও হাদিস সরাসরি বুঝতে সক্ষম নই তাই যারা বুঝতে সক্ষম তাদেরকে অনুসরণ করে চলতে হয়। সেই কারণেই আমাদের মাযহাব মানতে হয়। অনেকেই চেষ্টা করে গেছেন এই কোরআন ও হাদিস সরাসরি বুঝতে কিন্তু সকলে সফল হন নাই, তবে এই চার মাযহাব সফল হয়েছে গোটা উম্মাহ তাদেরকে মেনে নিয়েছে । তাদের যে কোন একটি দলকে মেনে নিলেই যথেষ্ট হবে পথভ্রষ্ট হবে না। এছাড়া অন্য কোন পথ বেছে নিলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।