আমি আমার সামির সাথে নিরাপদ ভাবে সেক্স করতে চাই কন্ডম সারা কি ভাবে পারব।সেফ পিরিওড এর নিয়ম বাদ এ আমি কন্ডম ছাড়া কি ভাবে সেক্স করতে পারি।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Junait

Call

প্রাকৃতিক ভাবে নিরাপদ মিলন করা.......

(২)নারীর দৈহিক তাপমাত্রা মেপে নিরাপদ সময় বের করা:

মহিলাদের দৈহিক তাপমাত্রা মেপে নিরাপদ সময় বের করা যায়। এ ক্ষেত্রে ভোরবেলা বিছানা ত্যাগের আগ মুহূর্তে মহিলাদের দৈহিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি কিছু খাওয়ার,পান করার আগেই করতে হবে এবং প্রতিদিন একই সময়ে করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। মাসিক চক্রের প্রথমার্ধে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। পরে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ০.২ থেকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের সময় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পায়। এ সময়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধির তিনদিন পর আবার দৈহিক মিলন শুরু করতে পারেন।

(৩) জরায়ু মুখের মিউকাস পরীক্ষার মাধ্যমে

জরায়ু মুখের মিউকাস পরীক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ সময় বের করা যায়। এ পদ্ধতিতে একজন মহিলা আঙুলের সাহায্যে তার জরায়ু মুখের মিউকাস বা নিঃসৃত রস পরীক্ষা করতে পারেন। ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে মিউকাসের পরিমাণ ও ঘনত্ব বাড়তে থাকে। সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর পর আস্তে আস্তে মিউকাসের পরিমাণ ও ঘনত্ব কমে যায়। প্রজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে এমনটা হয়ে থাকে এবং মাসিক শুরু না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করে। মিউকাসের ঘনত্ব ও পরিমাণ সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর চারদিন পর থেকে দৈহিক সম্পর্ক শুরু করা যেতে পারে।


 


 (৪) স্তন্যদানের সময়ঃ

সন্তান প্রসবের পর মা যদি বাচ্চাকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ান তবে সেই সময় নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে অনেকদিন মাসিক বন্ধ থাকে। তাই সে সময়ও জন্মনিয়ন্ত্রক ছাড়া মিলন তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহারে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় –


• আপনার সন্তান প্রসবের পর কোন মাসিক না হয়ে থাকলে।


• আপনি আপনার সন্তানকে বুকের দুধ এবং শুধু মাত্র বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন কিনা।


• আপনার বাচ্চার বয়স ৬ মাসের কম হলে।


এ পদ্ধতির কার্যকারিতা কমে যায় যদি –


• আপনি শিশুকে বুকের দুধ না খাইয়ে তাকে অন্য খাবার বা পানীয় দেন।


• আপনার সন্তানের বয়স ছয় মাস হলে।


(৫)উইথড্রয়িং মেথডঃ

এটা জন্মনিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি। এক্ষেত্রে স্বামী মূল ভূমিকা পালন করে থাকেন।  এই পদ্ধতিতে শুক্রানু স্খলনের চরম মুহূর্তে স্বামী নিজেকে মিলিত অবস্থা থেকে সরিয়ে ফেলেন যাতে নিঃসৃত শুক্রানু বাইরে পরে। এ বিষয়ে খুব সচেতন থাকা উচিৎ কারণ একফোঁটা শুক্রানু ক্ষরণ থেকেও গর্ভধারণ হতে পারে।

বিঃদ্রঃ - প্রায় ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যর্থ।এই পদ্ধতি সঠিক ভাবে অনুসৃত হচ্ছে কিনা তার নিশ্চয়তার জরিপ করে দেখা গেছে যে প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ব্যবহারকারী প্রতি ৪ জন মহিলার মধ্যে ১ জন গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন।

সুতরাং -- কনডম ব্যাবহার নতুবা ফেমিপিল ব্যাবহার

করাই শ্রেয় হবে নিরাপদে মিলন করার জন্য। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ