আমি একটি মেয়ের সাথে প্রেম করার 

জন্য তান্ত্রিকের কাছে গিয়ে মেয়েটির 

উপর জাদু করে ছিলাম।আমার মনে 

হচ্ছিল যে এটা শিরক ।এ বিষয়ে জানার 

জন্য এক হুজুরকে বলেছিলাম যে 

এটা শিরক কি না। তিনি বলেছিলেন এটা 

শিরক নয়, তুমি কুফরি করো না।

অনেক তান্ত্রিককেও একই প্রশ্ন করায় 

তারা বলে ছিল যে এটা শিরক নয়।

কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল যে 

এটা শিরক । এই দ্বিধায় আমি প্রতি রাতে 

ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতাম 

আর বলতাম আল্লাহ যদি আমার এ কাজ 

শিরক হয় তাহলে যেন ঐ মেয়েটির উপর 

করা আমার জাদু যেন কাজ না করে, আমি 

যেন সফল না হই পরে আমি পরিষ্কারভাবে 

জানতে পারি যে এটা শিরক।

তখন আল্লাহর কাছে মাফ চেয়েছি যে আর 

এরকম করবো না।তবুও আমার কেন যেন মনে 

হয় যে আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন না।

এ কারণে প্রতিদিন ভয় হয় আর দুশ্চিন্তায় থাকি।

উক্ত প্রেমে ব্যর্থ হওয়ায় আমি যিনাও করেছি।

তওবা করেছি আর যিনা করবো না।

অনেকেই আমাকে বলেছে যে আল্লাহ মাফ 

করে দিতে পারেন।কিন্তু আমি পরিষ্কারভাবে 

জানতে চাই আল্লাহ কি আমাকে সত্যিই মাফ 

করবেন নাকি করবেন না?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যদি তওবায়ে নাছুহা অর্থাৎ খাছ তওবা করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন। তওবার মূল অর্থের দিকে খেয়াল করুন তওবা অর্থ ফিরে আসা তাই তওবা করার পরে আর জেনা বা গুনাহ করতে পারবেন না, যদি করেন তাহলে আপনার 'ফিরে আসা তথা তওবা' হলো না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Junait

Call

আল্লাহ আপনার কৃতকর্মকে ক্ষমা করবেন কি না

তা এক মাত্র তিঁনিই জানেন। 

শিরক করা অনেক বড় ধরনের পাপ। 

আল্লাহ স্বয়ং এ বিষয়ে পূর্ব থেকেই সতর্ক

করে দিয়েছেন। আল্লাহ শিরকের পাপ ক্ষমা

করবেন না অন্য সকল গুনাহ মাফ করলেও..

এধরনের বানী ও রয়েছে। তবে আল্লাহ চাইলে

তাঁর বান্দার উপর সন্তুষ্ঠ হয়ে সকল পাপ কে

ক্ষমা করে দিতে পারেন। নিশ্চয় তিঁনি মহান এবং

ক্ষমাশীল। 

জ্ঞীনীরা বলে থাকেন,  ভাবিয়া করিয়া কাজ, 

করিয়া ভাবিও না। 

যাইহোক, এমতাবস্থায়, আপনাকে দৃঢ় ভাবে আল্লাহ

কাছে ক্ষমা চাইতে হবে,  তওবা শুধু মুখে করলেই

হবে না। তওবা করা অর্থ  (১) কৃতকর্মের জন্য

অনেক অনুতপ্ত  করা মন থেকে

 (২) আল্লাহর নিকট বার বার

ক্ষমা চাওয়া এবং (৩) ভবিষ্যৎ তে এ ধরনের

কাজ (যে কারনে তওবা করা হচ্ছে) তা না করা।

দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং আল্লাহর কাছে বার বার

তওবা চাইবেন, আল্লাহর আপনার প্রতি সন্তুষ্ঠ

হয়ে আপনাকে ক্ষমা করেও দিতে পারেন। 

আমি একটি বিষয় পুনরাবৃত্তি  করছি যে, 

আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবেন কি না

তা একমাত্র তিঁনিই নিশ্চিত জানেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শিরকের সংজ্ঞা: রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সহিত আর কাউকে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে উলুহিয়াত তথা ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে শরীক করা হয়৷ যেমন আল্লাহর সাথে অন্য কারো নিকট দোয়া করা কিংবা বিভিন্ন প্রকার ইবাদাত যেমন যবেহ, মান্নাত, ভয়, আশা, মহব্বত ইত্যাদির কোন কিছু গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা৷ আল্লাহকে ডাকার মত অন্যকে ডাকা, আল্লাহকে ভয় করার মত অন্যকে ভয় করা, তাঁর কাছে কামনা করা হয়, অন্যের কাছে তা কামনা করা। তাঁকে ভালোবাসার মত অন্যকেও ভালোবাসা।“মানুষের মধ্যে এমন একদল লোক আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে শরীক বানিয়েছে এবং তাদেরকে এমনভাবে ভালবাসে যেমন আল্লাহকে ভালোবাসা উচিত, আর যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকেই সর্বাধিক ভালবাসে”। (সূরা আল বাকারা: ১৬৫) আল্লাহর জন্যে সম্পাদনযোগ্য ইবাদতসমূহের যে কোন একটি গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্পাদন করা। শিরকের ভয়াবহ পরিণাম : শিরকের মাধ্যমে সৃষ্টিকে স্রষ্টার আসনে বসানো হয়, যা মহা অপরাধ এবং রীতি মত অবিচার। আল্লাহ বলেন: “নিশ্চয়ই শিরক একটি মস্ত বড় অন্যায়” (সুরা লোকমান: ১৩) আল্লাহ তা’আলা শিরকের গুনাহ তওবা ছাড়া ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন- • “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন” (সুরা নিসা: ৪৮) আল্লাহ তা’আলা মুশরিকদের জন্যে জান্নাত হারাম বলে ঘোষণা করেছেন: • “নিশ্চয় যে আল্লাহ’র সাথে শিরক করবে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা মায়িদাহ: ৭২) শিরক সমস্ত আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। আল্লাহ বলেন, • “আর যদি তারা শিরক করে তাহলে তাদের সকল আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে।” (সুরা আনআম: ৮৮) • আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন। (সূরা যুমার: ৬৫) আল্লাহ তাআলা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিয়েছেন, শিরক করার পর যে ব্যক্তি তা থেকে তওবা করবেনা, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন না৷ আল্লাহ বলেন: • নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। (সূরা নিসা ৪৮) শিরকই হল সবচেয়ে বড় গুনাহ। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, # “আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? আর তা হল, আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা।” (বুখারি-মুসলিম) অাল্লাহ যদি অাপনার প্রতি অনুগ্রহ করেন,তাহলে তিঁনি ক্ষমা করে দিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ