সুবহানাল্লাহ, আস্তাগফেরুল্লাহ,নাউজুবিল্লাহহ,আলাহামদুল্ললাহ,আল্লাহু আঁকবার, সুবহানাল্লাহ, ইনশাল্লাহ, মাশাআল্লাহ,জাজাকাল্লাহ খাইর,এইগুলোর অর্থ কি? সুবহানাল্লাহ -এইটা কখন পড়তে হয়? আস্তাগফেরুল্লাহ -এইটা কখন পড়তে হয়? নাউজুবিল্লাহ-এইটা কখন পড়তে হয়? আল্লাহু আকবর -এইটা কখন পড়তে হয়? নাউজুবিল্লা -এইটা কখন পড়তে হয়? জাযাকাল্লাহ খাইর-কখন পড়তে হয়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আস্তাগফেরুল্লাহ পড়তে হয় গুনাহ করলে বা কৃত গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে।এর অর্থ: আল্লাহ ক্ষমা করে দাও। নাউজুবিল্লাহ কোনো করার সম্ভাবনা হলে বা গুনাহ করার মুহূর্তে গুনাহ করা থেকে বাচার জন্য বলতে হয় অর্থ: আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা কর। আলাহামদুলিল্লাহু কোনো কাজে সাকসেস হলে বা আল্লাহর শুকর আদায়ের জন্য বলতে হয়, অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহু আঁকবার আল্লাহরর বরত্ব প্রকাশ করার জন্য বলতে হয়, অর্থ: আল্লাহ মহান। সুবহানাল্লাহ আল্লাহর কুদরতের কথা শোনলে বা দেখলে বলতে হয়, অর্থ : সকল পবিত্রতা আল্লাহ তায়ালার জন্য। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার ইচ্ছা হলে বলতে হয়, অর্থ: আল্লাহর ইচ্ছায় সব কিছু হয়। মাশাআল্লাহ কোনো ভালো কাজ দেখলে বলতে হয়, অর্থ: আল্লাহর ইচ্ছায়। জাজাকাল্লাহ খাইর কারো জন্য দোয়া করতে বলতে হয়, অর্থ: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
আল হামদুলিল্লাহ:

 আল হামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যে কোন সুখবর বা ভালো অবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলা উচিত, আল হামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

ইনশাআল্লাহ:

ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ, মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে। ভবিষ্যতের হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নাত। যেমন ইনশাআল্লাহ আমি আগামী কাল আপনার কাজটি করে দিবো। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মুমিনদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।

মাশা আল্লাহ:

মাশা আল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। এটি আল হামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে কোনো সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন, মাশা আল্লাহ তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো।

সুবহানাল্লাহ:

সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান। আশ্চর্য জনক ভালো কোন কাজ হতে দেখলে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন সুবহানাল্লাহ! আগুনে পুরো ঘর পুরে গেলেও কুরআন শরীফ অক্ষত আছে।

নাউযুবিল্লাহঃ-

নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ, আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। যে কোনো মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।

আসতাগফিরুল্লাহ:


আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। অনাকাঙ্খিত কোন অন্যায় বা গুনাহ হয়ে গেলে আমরা এটি বলবো।

ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-জিউন:

অর্থ, নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাবো। যে কোনো দু:সংবাদ বা বিপদের সময় আমরা এটি বলবো।

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ:

অর্থ; মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই। শয়তানের কোন ওয়াসওয়াসা বা দূরভিসন্ধিমূলক কোন প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য এটি পড়া উচিত।:

কেউ আপনার কোন উপকার করলে- তাকে থ্যাংক ইউ না বলে বলুন- জাযাকাল্লাহু খায়রান (মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ