সূর্যরশ্মির ঝড় সূর্যের উপস্থিতি পৃথিবীর টিকে থাকবার জন্যে প্রচন্ড দরকার। গাছপালা, মানুষ, পশু-পাখি, এমনকি নদ-নদী খাল-বিল সমুদ্রসহ পানির সব উৎসের ঠিকঠাক টিকে থাকবার জন্য আমাদের দরকার এই সূর্য। না! সূর্য হারিয়ে যাচ্ছেনা। অথবা গেলেও সে ভয় আমাদের সহসাই করতে হচ্ছেনা। কিন্তু সূর্যের এই না হারিয়ে যাওয়া, দিনের পর দিন উপস্থিতিই আবার হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ। কী করে? বলছি! সূর্যরশ্মি আমাদের গ্রহে খুব দ্রুত সকাল হবার সঙ্গে সঙ্গে এসে উপস্থিত হয়। ছড়িয়ে দেয় এর আলো আর উষ্ণতা। তবে সেটা একটু পাল্টে যায় ঠিক ১১ বছর পরপর। ১১ বছর পর সূর্যের জীবনে আসে সোলার ম্যাক্স, যখন এটি তার সবচাইতে শক্তিশালী সূর্যকিরণটি পৃথিবীতে সেকেন্ডের ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। আর খুব দ্রুত সেটা এসে আঘাত হানে পৃথিবীতে। ভাবছেন অতটুকু একটু সূর্যরশ্মি আঘাত কী করে হানতে পারে? পারে! আর পারে যে সেটার জলজ্যান্ত উদাহরণ ১৯৮৯ সালের কানাডার কিউবেক। কিউবেক শহরে সেবার আঘাত হেনেছিল এমনই এক রশ্মি। যেটা কিনা ঠিকঠাক করতে করতে লেগে যেতে পারে কোটি কোটি ডলার আর তার আগেই যেটা কেড়ে নিতে পারে অনেক প্রাণ আর সম্পদ। বিজ্ঞানীদের মতে যদি এমনটাই ঠিকঠাকভাবে চলতে থাকে তাহলে পৃথিবীতে প্রাণকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম মাধ্যম এই সূর্যই হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ।
পৃথিবী কবে নাগাদ ধ্বংস হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, ২৮৮০ সালের ১৬ মার্চ ধ্বংস হবে পৃথিবী। এর কারণ এদিন ডিএ-১৯৫০ নামে এক গ্রহাণু সজোরে আঘাত হানবে পৃথিবীর বুকে। এটির আঘাত হানার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ, এ যাবৎকালের যে কোনো গ্রহাণুর চেয়ে এটির আঘাতের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেশি। গ্রহাণুটি ১৯৫০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আবিষ্কৃত হয়। সে সময় ১৭ দিন দৃশ্যমান ছিল এটি। এই গ্রহাণুটি আবারো ধরা দিয়েছে বিজ্ঞানীদের চোখে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ১৫ কিলোমিটার (৯ মাইল) বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। পৃথিবীতে আঘাত হানার পর এটি আছড়ে পড়বে আটলান্টিক মহাসাগরে। আছড়ে পড়ার সময় গ্রহাণুটির ওজন দাঁড়াবে ৪৮ হাজার মেগাটন TNT. ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী সান্তাক্রুজ দেখিয়েছেন, গ্রহাণু আছড়ে পড়লে আটলান্টিকের পানি ৪০০ ফুট উপরে উঠে আসবে। যার ফলে বড় ধরণের সুনামি দেখা দেবে। তবে গ্রহাণুটির আঘাত হানার সম্ভাবনা একদম নাকচ করে দেওয়া যায় না। ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে এমন এক আঘাতের ফলে পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটে।