না শুধু সেক্স করলেই এ রোগ হয়না। সেক্স ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে HIV হতে পারে।
যে কারনে এইডস হয় তা নিচে দেয়া হলোঃ
ক) যার শরীরে এইচআইভি জীবাণু আছে তার রক্ত বা শরীরের যে কোন অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ অন্যের শরীরে সংযোজন করলে এইডস হয়।
(খ) এইচআইভি (HIV) জীবাণুবাহী রোগীর ব্যবহৃত সুঁচ, সিরিঞ্জ জীবাণুমুক্ত না করে অন্য মানুষের শরীরে ব্যবহার করলে এইডস (AIDS) ছড়িয়ে পড়তে পারে।
(গ) একজন এইচআইভি (HIV) জীবাণুবাহী নরনারীর সাথে যে কোন ধরনের যৌনমিলন করলে (যৌনাঙ্গের মাধ্যমে, পায়ূপথে ও মুখে) এইচআইভি জীবাণু ঐ ব্যক্তির শরীর থেকে তার যৌনসঙ্গীর শরীরে ছড়িয়ে যায়।
(ঘ) যে সব গর্ভবতী মায়ের শরীরে এইচআইভি জীবাণু রয়েছে সে সব মায়ের রক্তের সঙ্গে ও দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
(ঙ) ইনজেকশনের মাধ্যমে যারা নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করে এবং এইচআইভি জীবাণুবাহী একজন রোগীর শরীরে ব্যবহৃত ইনজেকশনের সুঁচ অন্যের শরীরে ব্যবহার করা হয় তখন এইডস রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
(চ) স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব বৈধ, অবৈধ যে কোন প্রকারের যৌনমিলনে একজনের এইচআইভি থাকলে অন্যজনের এইডস হয়ে থাকে।
(ছ) এইচআইভি বহনকারী যৌনকর্মীদের সাথে যৌনমিলনের মাধ্যমে এইডস হতে পারে।
এক কথায় বলতে গেলে -"এইডস-এ আক্রান্ত নারী বা পুরুষের সাথে যৌনমিলন কিংবা এইডস-এ আক্রান্ত নারী বা পুরুষের ববহৃত সূচ, সিরিঞ্জ, বা রক্তের মাধ্যমে একজনরে শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে এইডস এর জীবানু এইচআইভি প্রবেশ করতে পারে যা এইডস এর জন্য দায়ী।
**জেনে নিন এইচ.আই.ভি. যেভাবে ছড়ায়ঃ ★এইচ.আই.ভি. তে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সূঁচ ব্যবহার করলে। ★এইচ.আই.ভি. তে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা গর্ভধারণের শেষদিকে বা প্রসবের সময় হতে পারে। তবে জিডোভুডিন ওষুধ ব্যবহার করে এই সম্ভাবনা কিছুটা কম করা যায়, এবং তা করলে মায়ের দুধও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে (কারণ মার দুধ না পেলে গরিব ঘরে জন্মানো বাচ্চার মৃত্যুসম্ভাবনা আরো বেশী) ★এইচ.আই.ভি. তে আক্রান্ত কারো সাথে অসংরক্ষিত (কনডম ব্যবহার না করে) যৌন সম্পর্ক করলে। তথ্যসূত্রঃউইকিপিডিয়া।