। আসুন জেনে নেয়া যাক কি কি বিষয় স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণঃ
০১.*****ডিজাইন(Design): ডিজাইন নিয়ে একটু চিন্তা করুন স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে ডিজাইনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে আবার নাও হতে পারে কেউ পারফরমেন্স ভালো চান কেউ ডিজাইন । এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কিছু নেই। এটা একান্ত নিজের রুচির ব্যাপার।
০২.*****ওজন এবং অনুভূতি(Weight and Feeling): মোবাইল ফোনসেটের এ বৈশিষ্ট্য নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। মোবাইল ফোন বেশিরভাগ সময় পকেটে রাখা হয়। তাই এটি যত বেশি হালকা হয় ততো ভালো। তবে বড় আকারের হলে ওজন বাড়ে। ক্রেতার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে বেশি ওজনের ফোন কেনা উচিত।
০৩.*****মোবাইল নেটওয়ার্ক (Network): স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক কানেকশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কথা বলা সে অডিও হোক বা ভিডিও এছাড়া ডাটা কানেকশনের গতি নির্ভর করে এর ওপর। মোবাইল নেটওয়ার্ক বর্তমানে 2G,3G,4G,5G নেটওয়ার্ক বিভিন্ন দেশে চলমান।
1G = analog
2G = digital, voice
2.5G added data (GPRS)
2.75G faster data (EDGE)
3G = digital, supported data, packet switched (WCDMA, EvDO)
3.5G faster data (HSPA)
4G = wireless broadband
(most people say this is LTE, some people are waiting for an upgrade to LTE-A)
5G = not yet defined (Super wireless broadband )
Much faster. Likely to be real ~2020 by Samsung. মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে পরবর্তিতে বিস্তারিত পোস্ট করা হবে।
০৪.*****প্রসেসর(Processor): স্মার্টফোনের প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রসেসর। প্রসেসর আপনার স্মার্টফোনের মূল অংশ গুলোর একটা। তাই স্মার্টফোন কেনার আগে জেনে নিন আপনার পচ্ছন্দের স্মার্টফোনের প্রসেসর সম্পর্কে। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে প্রসেসরের ক্লক স্পীড-ই আসল। ক্লক স্পীড গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি প্রধান নিয়ামক নয়। প্রসেসরের ভার্সন-ই আসল। তাই স্মার্টফোনের কেনার আগে জেনে নিন প্রসেসর এর ভার্সন কত। চেষ্টা করুন ARMv7 বা তার পরবর্তী Model এর প্রসেসর সমৃদ্ধ স্মার্টফোন কিনতে। কারন ARMv7 পূর্ববর্তী Model এর প্রসেসরগুলো অনেক অ্যাপলিকেশন,গেমস্ বিশেষ করে ফ্ল্যাশ সাপোর্ট করে না ফলে আপনার স্মার্টফোনের মূল মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন Samsung Galaxy Y, Galaxy pocket, Galaxy Ace ইত্যাদি মোবাইলে ক্লক স্পীড বেশী থাকলেও এই ফোনগুলোর ARM ভার্সন হল 6 তাই এই ফোনগুলো অনেক আপ্লিকেশন বিশেষ করে ফ্ল্যাশ ভিত্তিক কিছুই চলে না। আর যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে তারা ডুয়েল-কোর(dual-core) বা কোয়ার্ট-কোর(Quad-core) প্রসসর সমৃদ্ধ স্মার্টফোন কিনতে পারেন।
০৫.*****র‌্যাম ও রম (RAM &ROM): স্মার্টফোনের আরেকটি অপরিহার্য অংশ হল RAM এর ক্ষমতা। র্যাম মূলত কাজের গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। RAM যত বেশী হবে কাজের performance আর স্পীড দুইই বাড়বে। তাই কেনার আগে RAM কত তা দেখে নিন। ফোন কিনতে বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করে 1GB RAM যথেষ্ট। রম হচ্ছে স্মার্টফোনের ইন্টারনাল মেমরি। অনেক সময় দেখা যায় যে ইন্টারনাল মেমোরি ৮ জিবি হলেও ইউজেবল থাকে ৫ জিবি কিংবা ৪ জিবি বাকিটা অপারেটিং সিস্টেমের দখলে থাকে।
০৬.*****মেমোরি(Memory): স্মার্টফোন কেনার আগে দেখে নিন মেমোরির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা কত।স্মার্টফোনেরমেমোরি দুই ধরনের হয়ঃ
১)Phone memory/internal memory
২)Card slot/External memory
প্রায় সব স্মার্টফোনে মেমোরি কার্ড লাগানো গেলেও দেখে নিন সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত তা সাপোর্ট করে বিশেষ করে internal memory কত তা জেনে নিন।
০৭.*****ডিসপ্লে(Display): আপনি যে ফোনটি কিনবেন তা কি শুধু কল রিসিভ করার জন্য । অর্থাৎ আমরা অনেকই একের অধিক ফোন ব্যবহার করে থাকি যার মধ্যে একটি শুধু কল রিসিভ করার জন্য ব্যবহার থাকি । সেরকম হলে আপনি নরমাল ডিসপ্লের কম দামের ফোন কিনতে পারেন । আপনি টাকাও বাচাতে পারবেন এবং ব্যাটারির স্থায়ীত্বও পাবেন লম্বা সময় । আপনি যদি মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেন আপনার দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে বা অনলাইনের কাজে তাহলে আপনি ভাল ডিসপ্লে সম্পন্ন একটা ফোন কিনতে পারেন ।আপনাকে মনে রাখতে হবে ফোনের ডিসপ্লে সাইজের প্রতি কারন আপনার ডিসপ্লে যত বড় ব্যাটারি চার্জ তত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। যদি আপনার বাজেট বেশি হয়ে থাকে তাহলে ব্র্যান্ডেট কিছু ফোন আছে যা অনেক বড় স্ক্রীন নিয়েও অনেক লম্বা সময় ব্যাটারি চার্জ সঞ্চয় রাখতে পারে। অনেকেই আছে যাদের বাইরে কাজ করতে হয় । যেমন একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার বা সাইট ইঞ্জিনিয়ার যখন মোবাইল বা স্মার্ট ফোন কিনবেন অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন ডিসপ্লেটি সানলাইট সাপোর্টেড হয়। প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডিসপ্লে। বর্তমানে ৩" থেকে শুরু করে ৬" মাপের স্মার্টফোন ও বাজারে পাওয়া যায়। যদি টাচস্ক্রীন স্মার্টফোন নেন সে ক্ষাত্রে চেষ্টা করবেন ডিসপ্লের আকার যেন ৩.৫ ইঞ্চি বা তার বেশী হয়। কারণ এতে ব্যবহার অনেক বেশী আরামদায়ক এবং দেখতেও সুবিধা। তবে সহজে বহন করতে চাইলে ছোট পর্দার মোবাইল নেওয়া উচিত। একই সাথে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন যেমন রেজু্লেশন (উদাহরণ-720p-1080pHD-UHD-4K) সাধারণ মানের মোবাইলের ডিসপ্লে ৭২০পি-এর কম হয়ে থাকে, পিক্সেল পার ইঞ্চি(PPI),কালার ইত্যাদি। আর টাচস্ক্রীন যেন অবশই capacitive হয়। কারণ Resistative স্ক্রীন ব্যবহারে খুব অসুবিধাজনক যা আপনাকেই সমস্যায় ফেলবে। স্মার্টফোন শক্তপোক্ত কতটা তা জরুরি বিষয়। তা ছাড়া পর্দাতে সহজে দাগ যেন না পড়ে সে জন্য স্ক্র্যাচ রেজিস্ট্যান্ট গ্লাস রয়েছে অনেক ফোনে গরিলা গ্লাস, ড্রাগন ট্রাইল গ্লাস এ ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয়। হাত থেকে পড়ে গেলেই ভেঙে বা ফেটে যাবে না, অন্তত তেমন তো হতে হবে ফোনটিকে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাই,Android Phone কেনার আগে জেনে নেয়া প্রয়োজন কিছু জিনিস। ভাল মানের অ্যান্ড্রয়েড ফোন আপনিও চিনবেন এখন। তাই ফোন কেনার আগে সাবধানতার সাথে কিছু জিনিস খেয়াল করতে হবে।

লক্ষণীয় বিষয়-

১। ফোন কেনার শুরুতেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন ব্র্যান্ডের ফোন কিনবেন। এছাড়া আপনি ব্র্যান্ডের ফোন কিনবেন নাকি Non Brand ফোন কিনবেন।

২। ব্র্যান্ড ঠিক করে আপনি দেখুন আপনার নির্ধারিত মুল্যের মধ্যে কি কি ফোন আছে। ফোন পছন্দ হয়ে গেলে আসুন সব থেকে জরুরি বিষয় গুলিতে।

৩। ফোনের Configuration মধ্যে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে এর RAM । ফোনের RAM 1GB এর নীচে হলে কখনই কেনার কথা ভাববেন না। কারন ফোনের RAM যত কম হবে আপনার ফোন ততটাই স্লো হয়ে যাবে।

৪। এবার দেখুন র্যা মের সাথে মানানসই প্রসেসর আছে কিনা। Dual Core প্রসেসর এর ফোন দেখুন। অনেক ভাল প্রসেসরের ফোন আছে যে গুলি RAM কম থাকার জন্য চলে না। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখুন।

৫। ফোনের যে বিষয়টি নিয়ে ব্যবহারকারীর সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পরতে হয় তা হল ব্যাটারি। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ভাল না হলে সেই ফোন ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পরে। নুন্যতম ব্যাটারি ক্যাসিটি 2200 mAh হওয়া ভাল। আর সেই সাথে যদি Lithium-Polymer ব্যাটারি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কোন কথাই নেই।

৬। কেনার আগে দেখুন ডিসপ্লে Super AMOLED কিনা। Super AMOLED ডিসপ্লে যুক্ত ফোনের দাম কিছুটা বেশি হয়। এছাড়া আরও আছে IPS ডিসপ্লে, যা ফোনের চার্জ কম খরচ করে।

৭। ফোনটি GPU নুন্যতম mali-450 হওয়া ভাল। তবে কম মুল্যের ফোন গুলির ক্ষেত্রে mail-400 ও খারাপ না।

৮। বেঞ্চমার্ক এবং নেনামার্ক স্কোর চেক করুন। ১৭৫০০ স্কোর বেঞ্চমার্কের জন্য এবং ৫৫এফপিএস স্কোর নেনামার্কের জন্য ভাল বলা যায়।

১০। ফোনটির Camera এবং Sensor সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন।

১১। এখন Android Nougat আপডেট চলে এসেছে। তাই জেনে নিন Android Nougat আপডেট আপনার এই ফোনটিতে দেয়া যাবে কিনা।

১২। ফোনের Sim Slot, SD Card Slot এবং Internal Storage দেখে নিন।

১৩। লোকাল ব্যান্ডের ফোনগুলি চায়না সেট গুলির রিব্র্যান্ড থাকে। তাই কেনার আগে জানুন কোন ব্র্যান্ডের সেট থেকে রিব্র্যান্ড করা। এতে করে আপনি বুঝে যাবেন ফোনটির কোয়ালিটি কেমন।

এই বিষয় গুলি মাথায় রেখে Android ফোন কিনলে আপনি একটি মানসম্মত ফোন পাবেন বলে আশা করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ফোন কেনার সময় অবশ্যই আসল এবং ভালো কোনো কোম্পানির ফোন কিনুন। এমন কোনো কোম্পানির ফোন কিনবেন না যারা বাজারে নতুন। কারণ সেই ফোনের ওয়ারেন্টি নাও পেতে পারেন। দামি কোম্পানির লোগো থাকলেই যে ফোনটি আসল বা ভালো তা কিন্তু নয়। ফোন কেনার সময় ফোন টা আসল কিনা যাচাই করুন এর জন্য বিভিন্ন কোড আছে। একেক ফোনের জন্য একেক কোড। এরপর ফোনের স্ক্রিন ক্যামেরা টাচ ইত্যাদি চেক করে নিন। ফোন দিয়ে দেখে নিন। ফোনের সাথে অন্যান্য যে উপকরণ গুলো দেয় তা চেক করুন। ফোনের ওয়ারেন্টি গ্যারেন্টি গার্ড চেক করুন। ফোনের মাদারবোর্ড টি কি ধরনের দেখে নিন । সর্বাধিক ভালো হলো স্নাপ ড্রাগন ।

আশা করি উপরোক্ত বিষয় গুলো দেখে কিনলে আপনি একটি ভালো অ্যানড্রোয়েড সেট কিনতে পারবেন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ