আমার বাবার সম্প্রতি এই রোগ হয়েছে। এই জ্বরের লক্ষণ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা করা, খাওয়া দাওয়াতে অনীহা, দুর্বলতা ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হলো যদি এই রোগ হয়ে যায় তবে কী কী করণীয় বিশেষজ্ঞদের কাছে উত্তরের আশা করছি।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
tusarmia80

Call

চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) হচ্ছে চিকুনগুনিয়া মশাবাহিত ভাইরাসজনিত একটি রোগ। আমাদের অতি পরিচিত ডেঙ্গুর সঙ্গে এর বেশ কিছুটা মিল রয়েছে। ডেঙ্গুর মতোই এ ভাইরাসটিও এডিস ইজিপ্টাই এবং এডিস অ্যালবপ্টিকাস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। চিকুনগুনিয়া ডেঙ্গুর মতই মানবদেহ থেকে মশা এবং মশা থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে থাকে। মানুষ ছাড়াও বানর, পাখি এবং ইঁদুরে এ ভাইরাসের জীবনচক্র বিদ্যমান।অনেকের ভাইরাস জ্বর বা ডেঙ্গু জ্বর হয়ে সেরে যাওয়ার পরও দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে শরীর ভাল যাচ্ছে না। সাধারণত যে কোনো ভাইরাস কিংবা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। অথচ দেখা যাচ্ছে জ্বর সেরে গেলেও রোগী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও দুর্বলবোধ করছেন, বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন গিটে গিটে ব্যথা, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি খুব ভোগাচ্ছে। এসকল ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হিসেবে সন্দেহ করা হলেও এ রোগটি সম্ভবত ডেঙ্গু নয়, বরং এটি চিকুনগুনিয়া নামক একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা বিশেষ করে ভাইরাস পৃথকীকরণ, RT-PCR কিংবা সেরোলজির মাধ্যমে এ রোগ শনাক্ত করা যেতে পারে। রোগীর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া এন্টিবডি দেখে এ রোগ সনাক্ত করা যেতে পারে। এতে অনেক ক্ষেত্রে ২ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা মূলত রোগের উপসর্গগুলোকে নিরাময়ের মাধ্যমে করতে হয়। এ রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই এবং কোন টিকাও এখনও পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি। এ রোগে আক্রান্ত রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে এবং প্রচুর পানি বা অন্যান্য তরল খেতে দিতে হবে। জ্বরের জন্য সাধারন প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধই যথেষ্ট। মাঝে মাঝে পানি দিয়ে শরীর মুছে দেয়া যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথার ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। নিজে নিজে কোন ওষুধ না খাওয়াই ভাল। রোগীকে যেন মশা না কামড়ায় এ জন্য রোগীকে অবশ্যই মশারির ভেতরে রাখতে হবে। কারণ- আক্রান্ত রোগীকে কামড় দিয়ে, পরবর্তীতে কোনো সুস্থ লোককে সেই মশা কামড় দিলে ওই ব্যক্তিও এ রোগে আক্রান্ত হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

চিকুনগুনিয়ার কোনো প্রতিরোধক বা প্রতিকারক নেই। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রচুর বিশ্রাম প্রয়োজন, পাশাপাশি পানিশূন্যতা এড়াতে বেশি বেশি তরল পানীয় পান করাতে হবে।

ডাক্তারের পরামর্শে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ নেয়া যেতে পারে, তবে অ্যাসপিরিন নেয়া যাবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ