প্রাইমারী শিক্ষক (সহকারী/প্রধান) এর চাকরী নেয়ার জন্য নিয়মাবলি কী? যেমন- আগে নিবন্ধন করতে হবে কিনা, মৈাখিক-লিখিত পরীক্ষা, কোটা ইত্যাদি কেউ জেনে থাকলে প্রথম ধাপ থেকে শেষ ধাপ অবধি বিস্তারিত জানাবেন।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়ে থাকে দুই ভাবে।
ক. সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে
খ. পদোন্নতির মাধ্যমে
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে হলে নারী প্রার্থীদের এসএসসি পাস এবং পুরুষ প্রার্থীদের স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হতো। পরিমার্জিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়ার পর শিক্ষকদের তিন বছরের মধ্যে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন (সি.ইন.এড) অথবা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিন বছরের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ নিতে না পারলে শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করা হবে না। আগে এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় ছিল চার বছর। প্রশিক্ষণের সময় এক বছর কমিয়ে আনাতে শিক্ষকদের চাকরি আরও কম সময়ে স্থায়ী করা সম্ভব হবে।
এছাড়া সংশোধিত বিধিমালায় উপজেলা বা থানাভিত্তিক শূন্যপদ অনুযায়ী কোনো কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী একই উপজেলা বা ক্ষেত্রমতে থানায় উত্তীর্ণ সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে সেসব পদ পূরণের শর্ত সংযোজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের ৬০ ভাগ কোটা রয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষকই নারী। বর্তমানে সারাদেশে ৬৩ হাজার ৮৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি ২০১৩ থেকে তিন ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ হাজার ১৯৩টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ানো হচ্ছে। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে হলে নারী প্রার্থীদের কমপক্ষে এইচ.এস.সি পাস হতে হবে। এইচ.এস.সি বা সমমান অথবা স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা নারীরাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে নারী-পুরুষ উভয়েরই স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে।