মুখের অবাঞ্ছিত লোমের জন্য কোন হেয়ার রিমুভেবল ব্যাবহার করব
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হলো শেভিং। এটি সাময়িক। তবে এটি ভিতরের দিকে দ্রুত গজিয়ে ওঠা চুলের জন্য দায়ী বলে অনেকে মনে করেন বিশেষ করে পেলভিক অঞ্চলে বা নাভীর নীচের অংশে।

প্লাকিং

প্লাকিং বা চিমটা পদ্ধতিতে লোম তোলা অনেক সময় পেইনফুল। তবে এটি আপনার জন্য একটি ভাল পদ্ধতি হতে পারে যদি আপনি অল্প লোম তুলতে চান কিংবা লোম বেছে একটু পাতলা করতে চান। বিশেষ করে ভ্রু’কে যখন নির্দিষ্ট শেইপ বা আকার দিতে চান। এছাড়া মুখ মন্ডলের অবঞ্ছিত পাতলা লোম তোলার ক্ষেত্রেও প্লাকিং ব্যবহার করতে পারেন। তবে এসব জায়গায় অবশ্যই হেয়ার রিমোভাল ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে করে বেশি জায়গা জুড়ে লোম গজিয়ে উঠতে পারে।

লোমনাশক ক্রিম

আজকাল খুব সহজেই ডেপিলেটরি বা লোমনাশক ক্রিম প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা ও ব্যবহার করা যায়। সবগুলোই কিন্তু সব জায়গায় ব্যবহার উপযোগী নয়। তাই কেনা ও ব্যবহারের আগে অবশ্যই মোড়কের গায়ে লেখা পড়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। যেমন যেটি আপনার নাভীর নীচের অংশের জন্য ব্যবহার করবেন সেটি যাতে মুখের লোম দূর করতে ব্যবহৃত না হয়।

এধরনের ক্রিমে যেসব কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় সেগুলো লোমকুপ দুর্বল করে দেয়-নষ্ট করে দেয়। ঠিকমত বা নিয়মমত ব্যবহার না করলে  কিংবা বেশি পরিমানে ব্যবহার করলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।  এছাড়া যদি আপনার এলার্জি থাকে, তাহলে প্রথমে সামান্য অংশে ক্রিম লাগিয়ে দেখুন কোন রি-একশন হয় কি না। এরপর ব্যবহারের নিয়মাবলি যথাযথভাবে অনুসরন করুন।

হট ওয়াক্সিং

এটা আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন কিংবা পেশাদার সেলুনে গিয়ে করাতে পারেন। পদ্ধতিটি একটু নোংরা আর যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। এতে কিছু লোম থেকে যেতে পারে কারন হট ওয়াক্সিংএ কিছু লোম গোড়া থেকে না উঠে ভেঙ্গে যেতে পারে। পরবর্তিতে গোড়া থেকে নতুনভাবে গজাতে পারে। এই পদ্ধতিতে সাবধান না হলে ইনফেকশনের ভয় থাকে। আবার ওয়াক্স বা মোম যদি খুব বেশি গরম হয় তাহলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। আপনি যদি ব্রণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন ক্রিম ব্যবহার করতে থাকেন অথবা আইসোটেট্রিন নেন তাহলে হট ওয়াক্সিং না করাই ভাল। অনেক মহিলারাই তাদের বিকিনি এরিয়াতে আর ঠোঁটের উপরিভাগে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।

থ্রেডিং

থ্রেডিং হচ্ছে লোম তোলার প্রাচীন ভারতীয় পদ্ধতি যা কি না আজকাল অনেক সেলুনেই করে থাকে। দক্ষ বা অভিজ্ঞ লোক দিয়ে করানো হয়ে থাকে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বর্তমানে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ওয়াক্সিং। প্রাচীন মিশরে এই ধরনেরই একটি পদ্ধতি প্রচলিত ছিল যাকে বলা হতো ‘বডি সুগারিং’। এটি ওয়াক্সিংয়ের একটি পুরাতন ঘরোয়া পদ্ধতি এবং নিরাপদ। এই পদ্ধতিতে গোড়া থেকে লোম দূর করা হয়, আর পুনরায় যখন লোম গজায় তখন আগের চাইতে পরিমাণে কম থাকে। শেইভিং এবং ওয়াক্সিংয়ের বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া ওয়াক্সিংয়ে গরম তরল ব্যবহার করা হয় বলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। তবে এক্ষেত্রে তরলটি ঠাণ্ডা করে নিতে হয় বলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই পদ্ধতি! উপকরণ দুই কাপ চিনি। এক কাপের চারভাগের একভাগ লেবুর রস। এক কাপের চারভাগের একভাগ পানি। তাপ মাপার জন্য একটি ‘ক্যান্ডি থার্মোমিটার’। পদ্ধতি সব উপকরণ একটি সসপ্যানে নিয়ে অল্প তাপে গরম করতে হবে। এর মাঝে একটি ‘ক্যান্ডি থার্মোমিটার’ বসিয়ে দিতে হবে তাপ পরিমাপের জন্য। খেয়াল রাখতে হবে যেন তাপ আড়াইশো ফারেনহাইটের উপর না যায়। পুরো পদ্ধতিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে গেলে ঠান্ডা করে একটি বয়ামে ভরে রাখতে হবে। এই মিশ্রণ পরে ব্যবহার করার জন্য গরম করার প্রয়োজন হবে। তাই এমন বয়ামে রাখুন যেন পরে মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা প্যানে গরম করা যায়। এরপর খুব মিহি বুননের সুতি কাপড় নিতে হবে। কাপড়টি এক ইঞ্চি মোটা ফালি করে কেটে নিতে হবে। এবার আগের মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিতে হবে যেন তা ত্বকের কোনও ক্ষতি করতে না পারে। চাইলে হাতের উল্টা পিঠে অল্প একটু নিয়ে সেটি ত্বকের জন্য সহনীয় কিনা যাচাই করা যেতে পারে। এরপর একটি পাতলা কাঠি বা প্লাস্টিকের পাতের সাহায্যে পুরো অবাঞ্চিত লোমের জায়গায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর সুতি কাপড়টি উপরে ভালোভাবে বিছিয়ে ওয়াক্সিংয়ের সময় যেভাবে টেনে তোলা হয় সেভাবে টেনে তুলতে হবে। এভাবে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম উঠে আসবে. এবং পরে পরিমাণও কমে আসবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ