বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবী ঘুরতেছে আর অনেক ধর্মীয় বিজ্ঞ আলেমগন বলতেছে পৃথিবী নয় বরং সৃর্য্য ঘুরে
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

পৃথিবী ঘুরছে, সূর্যও ঘুরছে, এমনকি সমগ্র সৌরজগৎও ঘূর্ণায়মান।

এখানে পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণায়মান এবং এটি সূর্যের চারপাশে আবর্তন করে। সূর্যও নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণায়মান।

ইসলামিক ব্যাখ্যাও মোটামুটি অনুরূপ।


ইসলাম জানা আলেম এবং ইসলাম ও বিজ্ঞান জানা আলেমের মধ্যে পার্থক্য আছে। তাই কার কাছ থেকে ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছেন বুঝে নিবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শরীয়তের প্রকাশ্য দলীল গুলো প্রমান করে যে, সুর্যই পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরে । এই ঘুরার কারনেই পৃথিবীর দিবা-রাত্রি আগমণ ঘটে। আমাদের হাতে এই দলীলগুলোর চেয়ে বেশী শক্তিশালী এমন কোন দলীল নাই, যার মাধ্যমে আমরা সূর্য ঘুরার দলীল গুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি। সূর্য ঘুরার দলীলগুলো হল: ১) আল্লাহ তাআলা বলেন: ”আল্লাহ তাআলা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” [সুরা বাকারাহ:২৫৮] সূর্য পূব দিক থেকে উঠার মাধ্যমে প্রকাশ্য দলীল পাওয়া যায় যে, সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমনণ করে। ২) আল্লাহ তাআলা বলেন: অত:পর যখন সূর্যকে চকচকে অস্থায় উঠতে দেখলেন তখন বললেন: এটি আমার পালন কর্তা, এটি বৃহত্তম। অত:পর যখন তা ডুবে গেল, তখন বলল হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা যেসব বিষয়ে শরীক কর আমি ওসব থেকে মুক্ত” [সুরা আনআম:৭৮] এখানে নির্ধারন হয়ে গেল যে, সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়। একথা বলা হয়নি যে, সূর্য থেকে পৃথিবী ডুবে গেল। পৃথিবী যদি ঘুরত তাহলে অবশ্যই তা বলা হত। ৩) আল্লাহ তাআলা বলেন: ”তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয় তাদের গুহার থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলেযায় এবং যখন অস্ত যায় তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়” [সুরা কাহাফ: ১৭] পাশ কেটে ডান দিকে বা বাম দিকে চলে যাওয়া প্রমাণ করে যে, নড়াচড়া সূর্য থেকেই হয়ে থাকে। পৃথিবী যদি নড়াচড়া করত তাহলে অবশ্যই বলতেন সূর্য থেকে গুহা পাশ কেটে যায়। উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়াকে সূর্যের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এটা থেকে বুঝা যায় যে, সূর্যই ঘুরে। পৃথিবী নয়। ৪) আল্লাহ তাআলা বলেন: ”এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে” [সুরা আম্বীয়া: ৩৩] ইবনে আব্বাস বলেন, লাটিম যেমন তার কেন্দ্র বিন্দুর চারদিকে ঘুরেতে থাকে, সূর্যও তেমনিভাবে ঘুরে। ৫) আল্লাহ বলেন: ”তিনি রাতকে আচ্ছাদতি করেন দিনের মাধ্যমে, দিন দৌড়ে দৌড়ে রাতের পিছনে আসে” [সুরা আরাফ: ৫৪] আয়াতে রাতকে দিনের অনুসন্ধানকারী বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনুসন্ধানকারী পিছনে পিছনে দ্রুত অনুসন্ধান করে থাকে। এটা জানা কথা যে, দিবা-রাত্রি সূর্যের অনুসারী। ৬) আল্লাহ তাআলা বলেন: ”তিনি আল্লাহ আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথ ভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন। প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পযন্ত। জেনে রাখুন তিনি পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল। [সুরা জুমার: ৫] আয়াতের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, পৃথিবীর উপরে দিবা-রাত্রি চলমান রয়েছে। পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে তিনি বলতেন দিবা-রাত্রির উপর পৃথিবীকে ঘুরান। আল্লাহ তাআলা বলেন “সূর্য ও চন্দ্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করে। একথা সুস্পষ্ট যে, চলমান বস্তুকে বশীভুত করা এবং কাজে লাগানো একস্থানে অবস্থানকারী বস্তুকে কাজে লাগানোর চেয়ে অধিক যুক্তিসঙ্গত। ৭) আল্লাহ তাআলা বলেন: ”শপথ সূর্যের ও তার কিরনের, শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে” [সুরা আশ-শামস: ১-২] এখানে বরা হয়েছে যে চন্দ্র সূর্যের পরে আসে। এতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, সূর্য এবং চন্দ্র চলাচল করে এবং পৃথিবীর উপর ঘুরে। পৃথিবী যদি চন্দ্র বা সূর্যের চারদিকে ঘুরত তাহলে চন্দ্র সূর্যকে অনুসরণ করতো না। বরং চন্দ্র একবার সূর্যকে আর একবার সূর্য চন্দ্রকে অনুসরণ করতো। কেননা সূর্য চন্দ্রের অনেক উপরে। এই আয়াত দিয়ে পৃথিবী স্থীর থাকার ব্যাপারে দলীল গ্রহণ করার ভিতরে চিন্তা-ভাবনার বিষয় রয়েছে। ৮) আল্লাহ তাআলা বলেন: ”সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নির্ধারণ। চন্দ্রের জন্য আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরুপ হয়ে যায়। সূর্যের পক্ষে চন্দ্রকে নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। রাতের পক্ষেও দিনের অগ্রবতী হওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই আপন কক্ষপথে পরিভ্রমন করে” [সুরা ইয়াসিন: ৩৮-৪০] সূর্যের চলা এবং এই চলাকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর নির্ধারণ বলে ব্যাখ্যা করা এটাই প্রমাণ করে যে, সূর্য প্রকৃতভাবেই চলমান। আর এই চলাচলের কারণেই দিবা-রাত্রি এবং হৃতুর পরিবর্তন হয়। চন্দ্রের জন্য মনযিল নির্ধারণ করার অর্থ এই যে, সে তার মনযিল সমুহে স্থানান্তরিত হয়। যদি পৃথিবী ঘুরত, তাহলে পৃথিবীর জন্য মনযিল নির্ধারণ করা হত। চন্দ্রের জন্য নয়। সূর্য কর্তৃক চন্দ্রকে ধরতে না পারা এবং দিনের অগ্রে রাত থাকা সূর্য,চন্দ্র,দিন এবং রাতের চলাচলের প্রমাণ বহন করে। ৯) নবী [সা] সূর্য অস্থ যাওয়ার সময় আবু যারকে বলেছেন: ”হে আবু যর! তুমি কি জান সূর্য যখন অস্ত যায় তখন কোথায় যায়? আবু যার বললেন, আল্লাহ এবং তার রসুলই ভালো জানেন। রসুল [সা] বললেন, সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আরশের নীচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়। অত:পর তাকে অনুমতি দেয়া হয়। সে দিন বেশি দুরে নয়, যে দিন অনুমতি চাবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে যেখান থেকে এসেছ, সেখানে ফেরত যাও। অত:পর সূর্য পশ্চিম দিক থেকেই উদিত হবে।[বুখারী,অধ্যায়: বাদউল খালক, মুসলিম,অধ্যায়: ইমান] এটি হবে কিয়ামতের পূর্ব মুহুর্তে। আল্লাহ সূর্যকে বলবেন, যেখান থেকে এসেছ সেখানে ফেরত যাও, অত:পর সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে প্রমান করে যে, সূর্য পৃথিবীর উপরে ঘুরছে এবং তার এই ঘুরার মাধ্যমেই উদয়-অস্ত সংঘটিত হচ্ছে। অসংখ্য হাদীছের মাধ্যমে জানা যায় যে, উদয় হওয়া, অস্ত যাওয়া, এবং ঢলে যাওয়া এই কাজগুলো সূর্যের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলো সূর্য থেকে প্রকাশিত হওয়া খুবই সুস্পষ্ট। পৃথিবী হতে নয়। হয়তো এ ব্যাপারে আরো দলীল প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো আমার এই মুহুর্তে মনে আসছেনা। তবে আমি যা উল্লেখ করলাম, এই বিষয়টির দ্বার উন্মুক্ত করবে এবং আমি যা উদ্দেশ্য করেছি, তা পূরনে যথেষ্ট হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ