দোয়া ঠিকই করা যাবে, কিন্তু তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অস্বাভাবিক বা অতিপ্রাকৃতিক বিষয় সম্পর্কিত দোয়া যদি আল্লাহ কবুল করেন তাহলে প্রার্থনাকারীর মনে এক ধরণের অহংবোধ চলে আসে, একারণেই এসব দোয়া কবুল হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল।
তবে চেষ্টাকারীকে আল্লাহ সাহায্য করেন। দোয়া করে যদি বসে না থাকেন, অর্থাৎ দিনরাত পরিশ্রম করে প্রচুর জ্ঞানার্জন করার চেষ্টা চালিয়ে যান তাহলে আল্লাহর রহমতে হয়তো এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাবেন যে আপনি কলেজে উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই বিখ্যাত কোনো ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ পেয়ে যাবেন।
পরিশেষে বলতে হয় যে, আল্লাহ যাকে যেরকম সামর্থ্য দিয়েছেন তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। এই দোয়া করে কোনো ফল না পেয়ে যদি আপনার ঈমান দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে এর থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
বৈধ সম্ভব অসম্ভব সব বিষয়েই দু আ করা যাবে। তবে আপনি যে বিষয়টি অর্জনের জন্য দুআ করবেন তাতে প্রভুর সন্তুষ্টি থাকতে হবে। তবে দুআ কবুল করা না করা আল্লাহর বিষয়। তবে যদি দুআর শর্তগুলো পালন করে কায়মনোবাক্যে দুআ করা হয় তাহলে আশা করা যায় সে দুআ কবুল হবে। দুআ কবুলের অন্যতম একটি শর্ত হলো, আহার্য ও পরিধেয় বস্ত্র হালাল হওয়া।
দোয়া করলেও তা কবুল হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে আপনার পরিশ্রমের উপর। আপনি যদি এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেন তবেই তা সম্ভব, নাহলে নয়। যারা বিখ্যাত হয়েছেন তারাও প্রচুর পরিশ্রম করেই হয়েছেন। অনেকে ভাবতে পারে যে, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইত্যাদি কীর্তিমান ব্যক্তিগণ স্কুল পলায়ন করেই বিখ্যাত হয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা বাড়িতে অদম্য পরিশ্রম করেছেন। তাই বিষয়টি আপনার পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে। একারণে, মহানবী(স.) বলেন,
" শ্রমজীবী আল্লাহর বন্ধু।" (বায়হাকি)
আর আপনি যদি মনে করেন পরিশ্রম না করেই অনর্গল দোয়া করে আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে, তবে আপনার ধারনা ভুল। মহানবী(স.) এ বিষয়ে বলেন,
"হে মানবমণ্ডলী! তোমরা চাওয়ার ক্ষেত্রে উত্তম পন্থা অবলম্বন কর। কেননা বান্দার ভাগ্যে যা নির্ধারিত আছে তার অতিরিক্ত সে পাবে না।" (হাকিম)