আমার এক বন্ধুর স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হবার পর তার ভাইয়ের সাথে বাড়ি যায়, কারণ তার স্বামী তাকে কয়টাদিন পরে যেতে বলেছিল কিন্তু সে তাতে রাজি ছিলনা। যাই হোক স্ত্রী যাবার কিছুদিন পর সে (স্বামী) ফোনে তাকে বলেছে যে, তুমি যদি আমার ও তোমার মধ্যে যে কথা হয়েছে তা যদি কাউকে বলো তবে বিয়ে বাদ আর বাচ্চা হবার পরও তুমি যদি উপহার নাও তবেও বিয়ে বাদ বা বাদ হয়ে যাবে, ঠিক আছে? সে বলে-আচ্ছা। এরপর ফোন ছাড়ার পর মনে হলো যে ঐ কথা বলা তার ঠিক হয়নি। এক আলেমের কাছে জানতে পারে যে এতে নাকি এক তালাক হয়েছে আর সাথে বলে দিয়েছে যে এসব নিয়ে আর আলোচনা না করতে, এতে নাকি তালাকের পক্ষে সাক্ষী হয়ে যেতে পারে।      

        কিন্তু আমার বন্ধু আলেমের কথা মতো উল্লেখিত ব্যাপারে চুপ থাকতে পারেনি। স্ত্রীর পূর্বের খারাপ আচরণের কথা মনে করে তার বাবা-মা, ভাই-বোন ও তার অন্যান্য আত্মীয়দের সাথে তালাকের কথা বলেছে যে, ওকে আসলে রাখা ঠিক নাওকে বাদ দিয়ে দেয়া উচিতও বাদ। এক সময় নাকি তার বাবার সাথে বলেই ফেলেছে যে, বাবা ওর তো তালাক হয়ে গেছে ওকে কিভাবে আনি ইত্যাদি ইত্যাদি। এমতাবস্থায় প্রশ্ন হলো- শর্ত যুক্ত করে তালাক দিলে কি তালাক হয়ে যায়, আর স্ত্রীর অনুপসস্থিতিতে তালাকের কথা নিয়ে আলোচনা করলে বা তালাকের কথা ভুলে উচ্চারিত হলে তাতে কি তালাকের পক্ষে সাক্ষী হয়ে যায় বা তালাক হয়ে যায়- তা ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী জানিয়ে কৃতজ্ঞ পাশে আবদ্ধ করবেন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ফোনে তালাক উচ্চারিত করলে তালাক হওয়ার বিধান নেই।এমনকি বাংলাদেশের আইনও এটা কখনওই মেনে নিবে না।তবে এক্ষেত্রে তওবা করা উচিৎ এবং উভয়ের সম্মতি থাকলে পুনরায় সংসার করতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং ধীর শান্তভাবে বুঝুন। ইসলাম ধমে'র বিধান প্রতিটি মুসলমানের জন্য  খুবই সহজ করে দিয়েছন আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন।

১).তালাক নির্ভর করছে স্বামীর নিয়তের উপর। স্ত্রীর উদ্দেশ্যে যদি সত্যই তালাক দেওয়ার থাকে, তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

(২)অবাধ্য  বউকে বাধ্য করার জন্য তালাকের হুমকি দেওয়া যায়, কিন্তু তাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সংকল্প না থাকলে তালাক দিয়ে ফেলতে হয় না। তবুও নিয়ত যদি জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার এবং তালাক দেওয়ার থাকে, তাহলে তালাক হয়ে যাবে। ইদ্দতের মধ্যে তাকে যথা নিয়মে ফিরিয়ে নিতে হবে। পক্ষান্তরে তাকে কেবল সক্তভাবে বাধা দেওয়ার নিয়ত থাকলে এবং তালাকের নিয়ত আদৌ না থাকলে তালাক হবে না। বরং তার মান হবে কসমের। সে ক্ষেত্রে কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে.

৩). আপনার কথা সত্য হয়, তাহলে তালাক হবে না। পড়ন্ত স্বামীর মনে তালাকের নিয়ত না থাকলে এবং কেবল তাকীদ উদ্দেশ্য হলে তাকে কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।


৪).শরীয়তে আপনা আপনি তালাক বলে কোন কথা নেই। তালাক দিতে হয়, না হয় নিতে হয়।




ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ