আমি এখন পলিটেকনিকে, কম্পিঊটার বিভাগে, ৩য় সেমিষ্টারে পড়ছি।
২০১৩ সাল,
আমি ক্লাস এইট থেকে আমার সহপাঠীর সাথে প্রেম ভালোবাসা করে আসছি । আমরা একে অপরকে খুব খুব বেশি ভালোবাসি।
আমাদের দুজনের বাড়ি একদম পাশাপাশি।
আমাদের ভালোবাসা এক সময় আমাদের গ্রামের সবাই জেনে যায়। আমাদের দুজনার বাড়িতেও জেনে যায়। এভাবেই আমাদের ভালোবাসা এগিয়ে আসছিলো।
এক সময় আমরা দুজনে একসাথে ssc পরীক্ষা দেই।
ssc এর পর আমরা আরো বেশি ভালোবাসায় আকৃষ্ট হয়ে পরি। আমরা রাতে দেখাও করতাম ।
আমাদের এই দেখা করাটা একদিন মেয়েটির বাবা দেখে ফেলেন, এবং মেয়েকে অনেক বকাঝকা করেন।
আমাকে ভূলে যেতে বলেন।
মেয়েটি সেই মুহুর্তে তার বাবার সব কথাশুনে নেন।
কিন্তু আবার আমায় ভালোবাসতে থাকেন।
এদিকে আমি পলিটেকনিকে সুযোগ পাই, চলে আসি মেস এ। মেয়েটি প্রতিদিন আমাকে কল করে কথা বলতো, আমাকে ভালো রাখার জন্য। মানে মেয়েটি আমার ভালো থাকার জন্যই আর ও নিজেরও ইচ্ছে করতো কথা বলতে তাই কথা বলতো।
এভাবে আমাদের দিন ভালোই চলছিল।
হঠাত কি ভেবে মেয়েটির পরিবার মেয়েটির জন্য বিয়ে ঠিক করে। মেয়েটিকে তার খালাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিতে চায়। মেয়েটি শুধু আমাকেই ভালোবাসে। তাই সে তার বাবা মাকে বলে বিয়ে করবে না, আর জোর করে বিয়ে দিলে সে আত্বহত্তা করবে। কিন্তু মেয়েটির বাবা জোর করে মেয়েটির বিয়ে দিন ঠিক করে।
মেয়েটিকে তার বাবা মা বলেন, যার সাথে বিয়ে ঠিক করেছেন তারা তাকে যদি বিয়ে না করেন তাহলে, মেয়েটির বাবা মা আত্বহত্তা করবেন।
এদিকে মেয়েটির বিয়ের কথা , মেয়েটি আমাকে জানায়। আমি মেসে থেকে বাড়ি যাই। বাড়ি গিয়ে দেখি আমার বাড়ির লোকজন আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলেনা। আমি আমার এক ভাবির কাছে থেকে জানতে পারি , আমার ভালোবাসার কথা আবার বাড়িতে জেনে গেছে। আর বাবা মা নাকি বলেছে আমার gf কে তাদের বউ হিসেবে মেনে নিতে পারবেনা। কেননা তার পরিবারের লোকজন খুব খারাপ। গ্রামের লোকজন আমার gf এর পরিবারকে খুব খুব ঘৃণা করে। আরো বলেন পাশাপাশি বিয়ে করলে আত্বীয়তা থাকে না তেমন।
আরো বলেন যে, আমার gf কে বিয়ে করলে, আমাকে আর পড়াশুনা করাবেনা। আমাকে বাড়ীর কাজ করতে হবে।
আমার জন্মগত একটা রোগ থাকায় ,আমি সংসারের কাজ করতে পারি না তেমন।
আমার এসব চিন্তায়, বাবা ঠিক মতো খেতেন না। পরিবারে যেন এক অশান্তি নেমে এসেছিলো।
আমার নানা নানী , খালা , বড় বোন দুলাভাই, সহ আমার সকল আত্বীয় স্বজন আমাকে বোঝাতে লাগলেন, আমি যেন ওই মেয়েকে মানে আমার gf কে বিয়ে না করি।
আমি আমার অনেক বন্ধু, বড় ভাই, আংকেলের কাছে এই বিষয় নিয়ে মতামত চাইলে , তারা আমায় বলেন,ওই মেয়েকে বিয়ে না করতে।
আমি আমার পরিবারের সকলের কাছে আমার ভালোবাসাকে চাই, তবু তারা রাজী হন নি।
মেয়েটির পরিবারের লোকজন , মেয়েটির কোন কথা না শুনেই মেয়েটিকে জোর পূর্বক বিয়ে দেন।
এখন বলুন এই টুকু থেকে কি বুঝলেন???
মেয়েটিকে বিয়ে না করে কি ঠিক করেছি?
আর মেয়েটি আমাকে কতটা ভালোবেসেছিলো, যে কোন ভাবেই বিয়ে আটকাতে পারলনা।
বলুন?
আর এখন ওই মেয়েটি তার স্বামীর বাড়িতে থাকেনা। মেয়েটির স্বামী ঢাকায় গার্মেন্টস এ কাজ করে। যখন স্বামী বাড়িতে আসে তখন ওকে শ্বশুড় বাড়িতে নিয়ে যায়। আর যখন স্বামী ঢাকায় চলে যায় তখন মেয়েটি বাবার বাড়িতে চলে আসে।
মেয়েটি HSC পরীক্ষা শেষ হলেই নাকি , ওকে ওর শ্বশুর বাড়ি থেকে এসে নিয়ে যাবে।
তখন ওখানেই থাকবে।
মেয়েটির বিয়ের আবার আমার সাথে যোগাযোগ করে ।আমাকে ওর কষ্টের কথা জানায়। আমি ওর কষ্টের কথা শুনে কষ্ট পাই। আবার আমাদের কথা বলা শুরু হয়। মেয়েটি আমার কাছে আসতে চায়। আমিও ওকে নিতে চাই। আমি ওকে খুব ভালোবাসি, মেয়েটিও আমাকে খুব ভালোবাসে।
এভাবে আস্তে আস্তে আবার দুর্বল হয়ে পড়ি ওর প্রতি ।
কিন্তু বিভিন্ন কারনে, আমি মেয়েটির কাছে আস্তে আস্তে অবিশ্বাসী হয়ে যাই।
আর তাই ,আমি ওকে বিয়ে করতে চাইলেই। তখন মেয়েটি আমাকে বলে, তাহলে আমার বাবা মাকে তার বাবা মায়ের কাছে গিয়ে তাকে চাইতে হবে। তবেই সে আমায় বিয়ে করবে।কেননা, আমাকে সে আর বিশ্বাস করতে পারছেনা। আমি আগে অনেকবার বিশ্বাস ভেংগেছি তো তাই।
আমি এখন কি করবো?
আমার বাবা ডাক্তার। আমাদের গ্রামে আমাদের পরিবারের অনেক সম্মান। গ্রামের সবাই আমার বাবাকে, আমাকে অনেক ভালবাসে। আমি আমার গ্রামের সকলের কাছে, আদর্শ একটি ছেলে ।
আমি এখন কি করবো????
আমি পারছিনা যে মেয়েটিকে ভূলে থাকতে। ওর কষ্ট দেখতে পারছিনা।
কি করবো এখন????
আমার Problem টা নিজের ভেবে, সমাধান দিন। please
আমার মঙ্গলের জন্য বলবেন প্লিজ