আবে-হায়াত কী?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
amirupu

Call

আবে হায়াত হল একটা ঝর্ণা যার ঠিকানা করো কাছে জানা নাই। এই ঝর্ণার পানি পান করলে মৃত্যু কোনদিন তাকে ছুতে পারবে না। 

হযরত খিযির (আ:) এই পানি পান করেছিলেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যে পানি পান করলে মৃত্যু হয় না, অমরত্ব লাভ করা যায় তার নাম আবে হায়াত। যুগে যুগে কবি সাহিত্যিকগণ আবে হায়াত নিয়ে নানা কাহিনী-প্রবাদ রচনা করেছেন। হজরত খিজির (আ.) কে এ কাহিনীর নায়ক মনে করা হয়। অর্থাৎ তিনি এমন এক অমর, চিরঞ্জীব ব্যক্তিত্ব আবে হায়াত পান করে তিনি এ শক্তির অধিকারী হয়ে দুনিয়ায় জীবিত আছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত অমরত্ব লাভ করেছেন আল্লাহতায়ালা তাকে সমুদ্র জগতের পাহারায় নিয়োজিত রেখেছেন এবং সাধক ব্যক্তিরা তাকে দেখতে পান বা তাদের সাথে খিজির (আ.) দেখা সাক্ষাৎ হয় এবং তাঁরা তাঁর কাছ থেকে মূল্যবান উপদেশ গ্রহণ করে থাকেন তিনি আধ্যাত্মিক জগতের বাদশাহ এবং আধ্যাত্মিক সাধন জগতের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকারী এবং তিনি মানুষের নানা বিপদাপদে উপকার করে থাকেন, এরূপ নানা ধারণা প্রচলিত।
বর্ণিত আছে যে, হজরত মূসা (আ.) কে আল্লাহতায়ালা ‘মাজমাউল বাহরাইন’ নামক স্থানে গমন করে খিজির (আ.)-এর সাথে দেখা করতে ওহীর মাধ্যমে বলে ছিলেন এবং মূসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গী ইউশা এর রান্না করা মাছ জীবিত হয়ে সাগরের দিকে ধাবিত হবে সেখানেই খিজিরের সাক্ষাৎ মিলবে ঐ স্থানে একটি পাথর থাকবে মূলত সেটি হবে একটি বর্ণনা যার নাম হায়াত জীবন এ ঝর্ণার পানি পান করলে পিয়াস, তৃষ্ণা থাকবে না অমরত্ব-লাভ হবে। এ পানির নাম ‘মাউল হায়াত’। বলা হয়ে থাকে মূসা (আ.) ও ইউশা এর রান্না করা মাছ উল্লেখিত ঝরনার পানির ছোওয়া পেয়ে জীবিত হয়ে সাগরে পথ ধরেছিল ভান্ড থেকে বের হয়ে সাগরে প্রবেশ করে। মাজমাউল বাহরাইনের কোথায় পাথর তথা পানির ঝর্ণার অবস্থান হজরত খিজির তা অবগত ছিলেন। আবে হায়াত সম্পর্কে এটিই প্রাচীন ধারণা।
জুলকার নাইন ও আবে হায়াত
কেউ কেউ বলেন খিজির (আ.) ছিলেন জুলকার নাইনের খালাতো ভাই। কোরআনে খিজির ও মূসার কাহিনীর পর পরই জুলকার নাইনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। খিজিরের অমরত্ব লাভ করার কারণ আবে হায়াত পান করার ঘটনা বলে মনে করা হয়, ঘটনাটি ছিল এই যে, জুলকার নাইন পানির ঝর্ণা বা আবে হায়াত পর্যন্ত পৌঁছার জন্য বের হয়েছিলেন যাতে অমরত্ব লাভ করা যায়। কিন্তু সেখান পর্যন্ত পৌঁছতে ব্যর্থ হন, তিনি পথ ভুলে অন্ধকারে চলে যান এবং আবে হায়াত পান করতে ব্যর্থ হন। এ সফরে হজরত খিজির ছিলেন অগ্রভাগে। তিনি সঠিকভাবে আবে হায়াত ঝর্ণনায় পৌঁছে যান এবং সেখানে গোসল করেন এবং তার পানি পান করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর শোকরিয়া স্বরূপ নামাজ আদায় করেন। ভাগ্য কি বিচিত্র। একজন অমরত্ব লাভ করেন আবে হায়াত পান করে এবং আরেকজন আবে-হায়াত থেকে বঞ্চিত হন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ