আগে আমার এই সমস্যা হতো না ।কিন্তু কিছুদিন ধরে এই সমস্যা হয়ছে
১।নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান।
২।যেসব খাদ্যে অধিক পরিমাণে Omega-3 ফ্যাট রয়েছে সেসব খাদ্য স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপের জন্য খুবই উপকারী।
মধু, কালোজিরার তেল, বাদাম খেতে পারেন।
৩।শরীর ও মনে আড়ষ্টতা থাকলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হওয়ার পরিবর্তে আরও নষ্ট হয়। তাই নিজেকে ঝরঝরে রাখতে রোজ নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম মানেই শারীরিক কসরত করতে হবে তা কিন্তু নয়। ভোরের স্নিগ্ধ হাওয়ায় একটু ঘুরে আসতে পারেন। বিকেলের হালকা রোদে একটু বেড়িয়ে আসতে পারেন আশপাশ থেকে। এ ধরনের হালকা ব্যায়াম আপনার মনকে চাঙ্গা রাখবে; সেই সাথে স্মৃতিশক্তিকে করবে ধারালো।
৪।নিজের স্মৃতিশক্তির উপর বিশ্বাস রাখুন।
আর
রাব্বি যিদনি ইলমা
দোয়াটি পড়ুন। আর প্রতিনিয়ত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসাথে থাকতে পারে না। ইমাম আশ-শাফি’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
“আমি (আমার শাইখ) ওয়াকীকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তিনি বলেন, আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপচারীকে দান করা হয় না।”
আল-খাতীব আল-জামী'(২/৩৮৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেনঃ
“এক ব্যক্তি মালিক ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হে আবদ-আল্লাহ, আমার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে দিতে পারে এমন কোন কিছু কি আছে? তিনি বলেন, যদি কোন কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছেড়ে দেয়া।’”
যখন কোনো মানুষ পাপ করে এটা তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান অর্জনের মতো কল্যাণকর ‘আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
১)সকালের নাশতা সময় মত খাবেন, কোন ভাবেই যেন বাদ না পারে। সকালে নাশতা না করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত হ্রাস পায় এবং পুষ্টির অভাবে মাথার কার্যকারিতা মন্থর হয়ে পড়ে। ২)গোলাপ ফুলের সুগন্ধি নিন। গোলাপ ফুলের সুগন্ধ সেলিব্রাল কর্টেক্সের তত্পরতা আরো সক্রিয় করে তোলে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ৩)বেশি করে কিশমিশ খাওয়া খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। কিশমিশ আছে মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বোরন। প্রতিদিন ৩.২ মিলিগ্রাম বোরন খেলে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের ক্ষমতা ১০ শতাংশ বাড়বে। ২৫ গ্রাম কিশমিশের মধ্যে রয়েছে ৩.২ মিলিগ্রাম বোরন। ৪)একটানা ঘুমান, দৈনিক ৬-৭ ঘন্টা একটানা ঘুমান, একটানা ঘুমালে মাথার সেলিব্রাল অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেলিব্রাল মানুষের চিন্তার গতি ও সঠিকতা নির্ধারণ করে। সেজন্য পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ৫)যে হাত বেশি ব্যবহার করা হয় না, সেটা বেশি করে চর্চা বা ব্যবহার করুন। যারা ডান হাত বেশি ব্যবহার করেন, তারা মাঝে মধ্যেই বাম হাত দিয়ে দাত ব্রাশ করুন, বল খেলুন ইত্যাদি। এ ধরনের চর্চা স্নায়ু কোষ উন্নতির জন্য সহায়ক। নজর রাখুন সাস্থ্যের প্রতি, এতে লাভ আপনারই