শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সর্বত্তোম চিকিৎসা হচ্ছে ইসবগুল এর ভূসি। এটা আপনি দিনো তিনবার খাবেন।নিয়ম হচ্ছে ভূসি ভিজিয়ে সাথে সাথেই  একটু চিনি দিয়ে তখন ই খেয়ে নিবেন।অনেক সময় ভিজিয়ে রাখবেন না।
যদি আপনার অন্ত্রের কোন অসুখ না থাকে তাহলে অবশ্যয় ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণঃ


১) বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ অজানা

২) সুষম খাবার, আঁশজাতীয় খাবার কম খাওয়া

৩) পানি কম পান করা

৪) শর্করা বা আমিষ যুক্ত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া

৫) ফাস্টফুড, মশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া

৬) সময়মত খাবার না খাওয়া

৭) কায়িক পরিশ্রম কম করা

৮) দুশ্চিন্তা করা

৯) বিভিন্ন রোগ, যেমনঃ ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা টিউমার, থাইরয়েডের সমস্যা, অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার, কাঁপুনিজনিত রোগ, স্নায়ু রজ্জুতে আঘাত, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ইত্যাদি হওয়া

১০) দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে থাকা

১১) বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, যেমনঃ ডায়রিয়া বন্ধের ওষুধ, পেট ব্যথার ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, পেপ্টিক আলসার এর ওষুধ, খিঁচুনির ওষুধ, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ ওষুধ সেবন করা।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে লাইফস্টাইল পরিবর্তনঃ


১) মলত্যাগের বেগ হোক বা না হোক প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে টয়লেটে বসবেন, এতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঐ সময়ে মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে উঠবে।

২) দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন

৩) নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করুন

৪) কোন রোগের জন্য হয়ে থাকলে তার জন্য চিকিৎসা নিন

৫) কোন ওষুধ সেবনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে মনে হলে সে ব্যাপারে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


কোষ্ঠকাঠিন্যে যা করা উচিৎ নয়ঃ


১) পায়খানার বেগ ধরলেও নানা অজুহাতে দেরি করা

২) নিয়মিত পায়খানা নরম করার বিভিন্ন রকমের ওষুধ সেবন ও ব্যবহার করা


কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনঃ


১) সহজপাচ্য ও সাধারণ খাদ্যে অভ্যস্ত হোন

২) বেশি করে পানি পান করুন, প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার।

৩) কিছু গ্রহণীয় খাবারঃ

শাকসবজি, ফলমূল, সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, সব ধরণের ডাল, ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা

৪) কিছু বর্জনীয় খাবারঃ

গরু, খাসি ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, ময়দা, চা, কফি, সব ধরণের ভাজা খাবার যেমনঃ পরোটা, লুচি, চিপস ইত্যাদি।

 এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খেতে পারেন। ২ চামচ করে ৩ বার খাবার আধা ঘন্টা পর। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ