ক্যাসিনির প্রথম পাচটির নাম বলুন
ক্যাসিনি হল মহাকাশ যান।এই যান ১৯৯৭ সাল হতে ২০১৭সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বছর ধরে অনেক তথ্য পাঠিয়েছে।যা লিখা সম্ভব না।এই মহাকাশ যান ২০ বছরে ৮০০ কোটি কি.মি. পথ ও ৬৫০ জিবি ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছে। তাই লম্বাকে সংক্ষেপ করে কিছু দিলাম।
সৌরজগত এর মধ্যে শনি হল সবচেয়ে আকর্ষণীয় গ্রহ।আগে পাইওনিয়ার ১১ ও ভয়েজার১+২ এর এর ছবি দেখে বিজ্ঞানিরা ক্যাসিনি তৈরি করেন।এর মিশন বাস্তবায়ন এর দায়ত্বে আছে নাসা, ইসা ও এএসাই।
ক্যাসিনি নিয়ে গিয়েছিল ইসার হাইগেন্স প্রোবকে।ক্যাসিনি নাম রাখা হয় ইতালীয় বিজ্ঞানি জিওভান্নি ক্যাসিনি এর নামে।তিনি শনির চারটি চাঁদ ও ক্যাসিনি ডিভিশন আবিষ্কার করেন।হাইগেন্স এর নাম করণ করা হয় ডাচ বিজ্ঞানি ক্রিশ্চিয়ান হাইগেন্সের নামে।তিনি ১৬৫৫ সালে টাইটান আবিষ্কার করেন। ক্যাসিনির এই পুরো মিশন কে ক্যাসিনি -হাইগেন্স মিশন নামে ডাকা হয়।
১৯৯৭ সালের ১৫ ই অক্টোবর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন হতে একে উতক্ষেপন করা হয়।প্রথম সংকেত আসে ২০০৪ সালের ১২ জুনে।
তখন সে শনির কক্ষপথএ ঢুকেছিল।তার পর অনেক তথ্য জানিয়েছি সে।হাইগেন্স ২০০৫ সালে টাইটানে নামে। ক্যাসিনি অনেক প্রথমের জন্ম দিয়েছে।।
তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল:-
ক্যাসিনির রঙিন ক্যামেরা ভিমস দিয়ে ফিবি নামের চাদের ছবি।
টাইটান এর পৃষ্ঠের ধরন নিয়ে হাইগেন্সের পাঠানো প্রথম বার্তা।
টাইটানের উত্তর গোলার্ধে মিথেন লেক পর্যবেক্ষণ।
শনির উত্তর মেরুর ষড়ভুজ মেঘ দেখা।
এনসেলাডাসের উষ্ণ প্রসবন।
এনসেলাডাসে লবণ এর স্ফটিক।
শনির ৮টা উপগ্রহ আবিষ্কার করে এটি।
জি ও ই রিং এর মধ্যে হালকা ও নতুন বলয় আবিষ্কার করে ক্যাসিনি।
টাইটানে প্রপেন সনাক্ত।
আরও অনেক তথ্য আছে। যা লিখা সম্ভব না।ক্যাসিনি ২০১৭ সালের বাংলাদেশ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা ৫টা ১৫ মিনিটে শনিতে ঝাপ দিয়ে এই মিশনের সমাপ্তি ঘটিয়েছে।