আমাদের পৃথিবিতে ৭০%ই পানি বাকি৩০% মাটি,,,,আর ভূপৃষ্টে মাটির নিচে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে,,যেমন গ্যাস,তেল,কয়লা,রয়েছে স্বর্নের খনি,হীরার খনি,আছে পানির পাতালদেশ,, আছে আগ্নেয়গিরির জলন্ত লাভা,,আছে ডাইনোসরের ধংসাবসেশ,,প্রাচীন কালের বাড়ি ঘড়, শহর,মন্দির,তাদের ব্যাবহৃত জিনিসপএ,, ভূপৃষ্টের নিচে এখনও অনেক কিছু আছে যা এই আধুনিক যুগে এসেও আবিষ্কার করা হয়নি,,,,
ভূমিকম্প কেন হয়,,তা আমরা অনেকেই জানি,আবার অনেকেই জানি না,ভূপৃষ্টের নিচে যে প্লেট গূলো থাকে, মানে মাটির নিচে বিভিন্ন মাটির স্তর থাকে এই স্তর কে প্লেট বলা হয়,, যখনই প্লেট গূলো একটা থেকে আর একটা সরে যায় ঠিক তখনই ভূমিকম্প হয আর ঠিক একই কারনে সমুদ্রে সুনামি সৃষ্টি হয়,,আর ভূমিকম্প বেশি মাএায় হলে দেখা যায় বিল্ডিং মাটির নিচে ধসে চলে যায়,,,রাস্তাঘাট ভেঙে নিচে ডেবে যায়,, উন্নত দেশ গূলো তে ভূমিক্ম্প বেশি হয়,,,যেমন জাপানে, কয়েকদিন পরপর ই ভূমিকম্প হয়,,ভূমিকম্পের ঝুকি এরাতে আমাদের ভূপৃষ্টের নিচের খনিজ সম্পদের ব্যাবহার এবং উওোলন বন্ধ করতে হবে,যেমন বড় বড়,পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে,,তবে এ নিয়ে বিজ্ঞানের, গবেষনা চলছে,,,,
মাটির নিচে কয়েকটি স্তর রয়েছে।
প্রায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ মাটি, শিলা ও খনিজ পদার্থের স্তর, এই স্তরে পানিও সংরক্ষিত হয়। এর নিচে রয়েছে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার গভীরতা বিশিষ্ট একটি আবরণ, যার প্রায় পুরোটাই গলিত শিলা... অনেকে একে লাভা বলে ভুল করে। এই গলিত শীলা গুলো ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়, ফলে উপরে শিলা-মাটির স্তর আলাদা হয়ে কয়েকটি ব্লকে ভাগ হয়ে যায়, যা কিনা প্লেট নামে পরিচিত। এইসব প্লেটের নড়াচড়ার ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। পাহাড় কিংবা সী-ফ্লোর সৃষ্টির পিছনেও এসব প্লেটের ভূমিকা রয়েছে।
এই স্তরের পরই রয়েছে ২,৩০০ কিলোমিটারের একটি স্তর, যাকে পৃথিবীর উপকেন্দ্র বলা যায়। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০০০-৫০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর নিচেই রয়েছে পৃথিবীর কেন্দ্র, যার ব্যস ২,৪০০ কিলোমিটার এবং তাপমাত্রা ৫০০০-৭০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পৃথিবীর কেন্দ্র মূলত গলিত লোহা দ্বারা গঠিত, এর পাশাপাশি সালফার ও নিকেল সহ আরও কয়েকটি ধাতুও মিশ্রিত আছে বলে ধারনা করা হয়।
এবার আপনার প্রশ্ন, আমরা মাটি ভেদ করে দেবে যাইনা কেনো বা মাটি এর কেন্দ্রের দিকে ধ্বসে পড়েনা কেনো?
প্রথমত এমনটা ঘটতো যদি পৃথিবীর অভ্যন্তর ফাঁপা থাকতো। পৃথিবীর কেন্দ্র অত্যধিক উত্তপ্ত হওয়ায় এটি পরিধি বরাবর চাপ প্রয়োগ করে, ফলে কেন্দ্র বরাবর যে চাপ প্রযুক্ত হয় তা প্রশমিত হয়ে যায়। কোনোভাবে এই চাপ মাটি ভেদ করে বেরিয়ে আসার সুযোগ পেলেই বিস্ফারণ ঘটে, যাকে কিনা আমরা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হিসেবে চিনি। এরকম বিস্ফোরণের ফলে ঐ অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়, আর মাটি অভ্যন্তর চাপ সহ্য করার মতো দৃঢ় না হলে তা ধ্বসে পড়ে।
পৃথিবী তৈরি হতে ১০-১০০ মিলিয়ন বছর সময় লেগেছে। এই সময়ের মাঝে এটি এর বর্তমান ভরের প্রায় সবটুকুই অর্জন করে এবং ধীরে ধীরে একটি সুস্থিত আকার ধারণ করে। আজকের দিনে আপনি যতকিছুই তৈরি করেন তাতে কিন্তু পৃথিবীর ভর বাড়ছেনা, কারন তৈরির উপাদান গুলো পৃথিবী থেকেই আসছে, আউটার-স্পেস থেকে না। ফলে এসবে চাপে নিচের দিকে দেবে যাওয়া কোনো সম্ভাবনা নেই।
তবে যেমনটা বললাম, ভূ-অভ্যন্তরের প্লেটসমূহের উপর ভিত্তি করে একেক অঞ্চলে চাপ সহনীয় মাত্রা একেক রকম। আর এ কারণেই ভূপ্রকৃতির কথা মাথায় রেখে নতুন স্থাপনা গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।