শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
rjrahman

Call

“মানুষের রচিত সংবিধান দিয়ে মানুষের সার্বিক শান্তির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।।নবীযুগের পর হযরত খোলাফায়ে রাশেদীনের স্বর্ণ-যুগকে সর্বাধিক শান্তির যুগ বলা হয়। তার কারণ হলো, মানব-রচিত ও পরিবর্তনশীল সংবিধান দিয়ে তাঁরা পৃথিবীতে শাসন করেনি, বরং তারা মহান সৃষ্টিকর্তার বিধান দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালনা করেছিলেন। কুরআন-হাদীসের আলোকেই মানুষের জান মালের নিরাপত্তার ফর্মূলা প্রণয়ন করেছিলেন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের শান্তি, জান-মালের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতি, সুশৃংখল সমাজ গঠন ও মানুষের অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে যে আসমানী ফর্মুলা জাতিকে দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই ফর্মুলায়ই হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন দেশ পরিচালনা করে সোনালী ইতিহাস কায়েম করে গেছেন।।।।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সোনালী মানে স্বর্ণের মত, স্বর্ণবর্ণ, স্বর্ণমণ্ডিত। সোনা যেমন মূল্যবান ও মানুষের অনন্ত আগ্রহ ও ভালোবাসার জায়গা তদ্রূপ খোলাফায়ে রাশিদীনের যুগটাও শুধু স্বর্ণের মত নয়; বরং স্বর্ণের চেয়েও মূল্যবান ও মানুষের অনন্ত আগ্রহ ও ভালোবাসার জায়গা ছিলো। স্বর্ণ যেমন মানুষের উপকারে আসে তদ্রূপ খোলাফায়ে রাশিদীনের যুগটাও শতভাগ মানুষের উপকারে এসেছিলো। একমাত্র কুরআন সুন্নাহর সুনির্মল পরশেই সে যুগটি সোনালী যুগে রূপান্তরিত হয়েছিলো। এখানে মূলত খোলাফায়ে রাশিদীনের যুগকে স্বর্ণের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বস্তুত যে বস্তুর সাথে কোনো জিনিসকে তুলনা করা হয় সে বস্তুটা বেশি মূল্যমানের হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে যে বস্তুর সাথে তুলনা করা হয়েছে সে বস্তুর তুলনায় যে বিষয়টিকে তুলনা করা হয়েছে তার মূল্যমান অনেক বেশি। অর্থাৎ স্বর্ণের তুলনায় খোলাফায়ে রাশিদীনের যুগের মূল্যমান অনেক বেশি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ