Call

কোনো অবিবাহিত পুরুষ-মহিলা যিনা বা ব্যভিচার করলে,

তাদেরকে শুধু বেত্রাঘাত করলেই দুনিয়ার শাস্তি আদায় হয়ে

যাবে। উভয়কে একে অপরের সাথে বিবাহ দেওয়া জরুরি  নয়।

আর, বিবাহ না দিলে যে, পরকালে শাস্তি হবে, তা নয়। বরং

বিবাহ দিলেও যেমন, বিবাহ না দিলেও তেমন। কোনো অবস্থায়ই তারা পরকালের শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না। 

তবে, হ্যা যদি তারা খালিছ দিলে তওবা করে নেয় এবং আগামীতে এমন কাজে জড়াবে না এমন ইরাদা করে,

 তাহলে হয়তো আল্লাহ তায়ালা পরকালের শাস্তি হতে 

মাফ করতে পারেন।

→আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী (রাহিমাল্লাহু তায়ালা 'আনহু) 

বলে যে,

  • যদি শাস্তির পর অপরাধী ব্যক্তি খালিস মনে তওবা করে, তাহলে তার শাস্তি গোনাহের কাফফারা হবে।
  • যদি শাস্তির পর তওবা না করে। তবে গোনাহ থেকে বিরত থাকে, তাহলেও কাফফারা হবে।
  • আর, যদি শাস্তির পর কোনো পরোয়া না করে পরবর্তীতে আবার গুনাহে লিপ্ত হয়, তাহলে তার শাস্তি গোনাহের কাফফারা হবে না। 
অতএব, আমরা বুঝছি যে, অবিবাহিত  কোনো পুরুষ-মহিলা ব্যভিচার করলে, তাদেরকে শুধু বিবাহ দিলে, তাদের পরকালের শাস্তি মাফ হয়ে যাবে, তা নয়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিয়ের পূর্বে যৌন মিলন হল যিনা। আর তাওবা ছাড়া যিনার গুনাহ মাফ হয় না। তবে যিনার গুনাহ বান্দার হকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তাই তাওবার সঙ্গে সঙ্গে বান্দার কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে। অর্থাৎ, ছেলে মেয়ের কাছে আর মেয়ে ছেলের কাছে ক্ষমা চাইবে। আর এই ক্ষমা করণটা বিয়ে ছাড়া সাধারণত হয় না। অনেক সময় বিয়ের কথা বলে ছেলেরা মেয়েকে ভোগ করে, মেয়েটার সতীত্ব নষ্ট করে। তখন কিন্তু বিয়ে ছাড়া ওই মেয়ে তাকে ক্ষমা করবে না। অবশ্য যদি উভয়ই উপভোগ করার জন্য যিনা করে থাকে এবং বিয়ের কোনো কথাও না দেয়, তাহলে বান্দার হক তেমন একটা সম্পৃক্ত হয় না। তবে এক্ষেত্রে সর্বাবস্থায়ই তাওবা করতে হবে। তাওবা ছাড়া যিনার গুনাহ মাফ হবে না। চাই বিয়ে করুক অথবা না-ই করুক। বিয়ে করলেও যিনার গুনাহের জন্য তাওবা করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হ্যা , পরকালে যিনার শাস্তি হবে। এবং বিয়ে করলেও উক্ত যিনা কাজটির শাস্তি হবে। তবে আল্লাহর কাছে তওবা করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে, মাফ পাওয়া আশা করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ