শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

"বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " ভারতীয় সংস্কৃতির একটা অন্যতম বৈশিষ্ট। কিন্তু এই "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " কথাটির মানে কি ? কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আর রাজস্থান থেকে নাগাল্যান্ড এই সু -বিশাল ভারতে হাজারো ভাষা ,হাজারো রীতি রেওয়াজ ,হাজারো খাদ্যাভাস থাকা সত্তে ও আমরা এক ও অভিন্ন্ বলে মনে করি। সে নাগাল্যান্ড এর সাড়ে চারফুট মানুষ টি হোক আর হরিয়ানার সাড়ে পাঁচফুট মানুষ টি হোক তারা নিজেদের অভিন্ন বলে মনে করে। তামিলনাডুর কালো মানুষ টি হোক বা হিমাচলের ফর্সা মানুষ টি হোক তারাও নিজেদের অভিন্ন বলে মনে করে। কিন্তু এই অভিন্নতার সুত্র টি এলো কোথা থেকে ? কোনো গাছ-গাছালি , পাহাড়-পর্বত , নদ-নদী নিশ্চই এই সুত্র টি তৈরি করেনি। এই সুত্র টি তৈরি করেছে ভারতের মানুষ ,আর ভারতের মানুষ এইটি পেয়েছে চিরন্তন সনাতন ভারতীয় সংস্কৃতি বা হিন্দু সংস্কৃতি থেকে। বিশ্ব -মানবের অমূল্য সম্পদ, হিন্দুদের পবিত্র ধর্ম এই মহান আদর্শ টির ভিত্তি। "বসুধৈব কুটুম্বকম " অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ব আমার কুটুম্ব বা আত্মীয় - হলো তার চিরন্তন প্রত্যয় । আত্মার সাথে আত্মার যার সমন্ধ আছে সেই হলো আত্মীয়- এই হলো আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ।

সমস্ত বিশ্ব সংসার পরমাত্মা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ,জীবাত্মা রুপী মানুষের মধ্যেও পরমাত্মাই বিরাজ করছেন। পরমাত্মার সমস্ত গুন ও শক্তি মানুষের মধ্যে নিহিত আছে। যেমন করে একটা ১০ ফুট লোহার রড থেকে ১ ইঞ্চি কেটে নিলেও - ঐ ১ ইঞ্চি লোহার মধ্যে ১০ ফুট রডের সমস্ত গুন ও ক্ষমতা অটুট থাকে । ঠিক তেমন ভাবে মানুষের মধ্যে যেহেতু আত্মা রূপে পরমাত্মা বিরাজ করছেন সেই হেতু প্রত্যেক মানুষের স্বরুপ এক ও অভিন্ন, অর্থাৎ এটাই "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " এর মূল ভিত্তি।

অনেকে প্রশ্ন করবেন, ভারতে ৮০০ বছরের ওপর ইসলাম এর রাজত্ব কালে কি এই আদর্শটির জন্যে তারা কি কোনো কিছু করেনি ? আমি তাদের বলবো না বন্ধু , ৮০০ বছর কেন ইসলামের সৃষ্টি থেকে এই পর্যন্ত কিছুই তারা করেনি। উল্টে মানুষ কে তারা দু -ভাগে ভাগ করেছে "মমিন " মানে যারা ইসলাম এ বিশ্বাস করে, আর "কাফের /মুশরিক " মানে যারা ইসলাম এ বিশ্বাস করে না /মূর্তি পূজা করে- এই দুই ভাগে । তাদের ধর্ম গ্রন্থে "কাফের /মুশরিক " দের কে "পবিত্র রমজান"মাসের শেষে বন্দী করার ও হত্যা করার কথা বলা হয়েছে (কোরান ৯/৫) . আর এ জন্যই ৮০০ বছরে তারা ভারতে ৩৬০০০ মন্দির ধংস করেছে, ৪০ কোটি হিন্দুকে হত্যা করেছে (রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নিয়মাবলী ~ স্বামী বিবেকানন্দ ) ,লক্ষ লক্ষ হিন্দু নারীর সর্বনাশ করেছে, কোটি কোটি হিন্দুকে তারা ধর্মান্তরিত করেছে। তাই দেখা যাচ্ছে "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " স্থাপন ইসলাম এর পক্ষে সম্ভব নয়। আর খ্রিস্টান রা কি বলে -- তারা মানুষ কে "পাপী" বলে , কিন্তু মানুষ কে "পাপী" বলা তো সবথেকে বড়ো পাপ। হিন্দুরা বলল আমরা সবাই অমৃতের পুত্র ( শৃন্ব্ন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রা:), আর খ্রিস্টান রা বলল যারা যিশুর অনুগামী নয় বা খ্রিস্টান নয় তারা হিদেন। সুতরাং এরাও "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য "স্থাপন করতে সমর্থ নয় ।

কিন্তু কি আশ্চর্য যে হিন্দু ধর্ম বিশ্ব জনীন মানবতার আদর্শে বিশ্বাস করে ,বিশ্বের সমস্ত মানুষ কে আত্মীয় বলে স্বীকার করে ,সেই হিন্দু ধর্ম কে রক্ষা করার কথা যারা বলে তাদের কে 'সাম্প্রদায়িক" বলা হয়। আরে ভাই "গোলাপ খাস " আম খেতে ভালোবাসি তাহলে আম্ গাছ কে রক্ষা করার কথা বললে পেটে ব্যাথা হওয়ার কারণ টা কি ? হিন্দু ধর্ম না থাকলে কি"বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " থাকবে ? যেমন করে পাকিস্থানে নেই , আফগানিস্থানে নেই আর বাংলাদেশে ও নেই কারণ সেখানে হিন্দুরা নেই, আর বাংলাদেশে যে কজন আছে তাদের কোনো জোর নেই। অর্থাৎ "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " স্থাপন ও মানবতা কে রক্ষা করার ক্ষেত্রে ধার্মিক ও শক্তিশালী হিন্দু সমাজই অপরিহার্য।

কিন্তু কিছু গো-মাংস ভক্ষণকারী, হিন্দু-বিদ্বেষী, অর্ধশিক্ষিত ,স্বর্থানেশী ,ভন্ড সেকুলারিস্ট আর কমুনিস্ট - রা হিন্দুর কথা বললেই ক্ষেপে যায়। তাই আসুন বন্ধু হিন্দু ধর্মের উত্থান করে, শক্তিশালি হিন্দু সমাজ নির্মান করে "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য " ও "বিশ্ব শান্তি" স্থাপন করি। হিন্দু মন্দিরগুলিকে প্রকৃত ধর্ম-শিক্ষা, ধর্ম-রক্ষা আর মিলন কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলি আর ভন্ড সেকুলারিস্ট আর কমুনিস্ট দের সমূলে বিনাশ করি।

সুত্রঃ Dharma Utthan Samiti Page

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ