বয়সের সঙ্গে অনেক চাহিদা কমতে থাকে। এর মধ্যে একটি যৌনতা। নারীরা মেনোপজ অবস্থার দিকে যত এগোতে থাকেন, যৌনতার প্রতি আগ্রহ ততই কমতে থাকে বলেই মনে করা হতো। কিন্তু ব্রিটিশ ও সুইস বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় নারীদের জন্যে সুখবর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, মেনোপজ নারীদের যৌনজীবনের ইতি টানে না। ওই গবেষণায় সময়ের সঙ্গে নারীর যৌনস্বাস্থ্যের নানা স্তর নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। বিশেষ করে মেনোপজের পর সেক্স কিভাবে জড়িয়ে থাকতে পারে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপজ আসে। এর মাধ্যমে নারীর গর্ভধারণে সক্ষমতার অবসান ঘটে। এর সঙ্গে দৈহিক ও মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন আসে। ঋতু বন্ধের কারণে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মেজাজ-মর্জিও বদলে যায়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে যৌনতার প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসার কথাও বলেন অনকে নারী। এর আগে নানা গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, মেনোপজের অবস্থা, যৌনতার প্রতি অনাগ্রহ এবং এসবের কারণে এক ধরনের হতাশা ভর করে। তাই মেনোপজের পর নারীদের যৌনজীবনের অবসান ঘটে। নতুন গবেষণায় ৫০৭ জন ব্রিটিশ নারীকে বেছে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১৭৮ জন মেনোপজের পূর্বাবস্থায় ছিলেন। বাকি ৩২৯ জনের মধ্যে মেনোপজ চলে এসেছে। টানা ৪ বছরের মধ্যে ওই নারীদের যৌনজীবনের নানা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষণায় দুটো গ্রুপের মধ্যেই আকাঙ্ক্ষার অবনতি ও বৃদ্ধি দেখা গেছে। মেনোপজের আগ দিয়ে ২২ শতাংশ নারী সেক্স সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগতে থাকেন। আর এই অবস্থার পরে ২৩ শতাংশ নারী জটিলতার মুখোমুখি হন। আবার ৭ শতাংশ নারীর মেনোপজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। মেনোপজের পরও ৮ শতাংশ নারীর এই আকাঙ্ক্ষা ক্রমশ বাড়তে থাকে। গড়ে দুই দলের নারীরা ওই চার বছরের মধ্যে যৌনজীবনের অবসান হয়েছে বোধ করেননি। তাই মেনোপজকে যৌনতার ইতি বলে মনে না করলে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়ে যাবে। ‘জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিন’-এ এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
নারীদের যৌনইচ্ছার সময়সীমা : ১. মেয়েদের যৌন চাহিদা ছেলেদের ৪ ভাগের এক ভাগ। কিশোরী এবং টিনেজার মেয়েদের যৌনইচ্ছা সবচেয়ে বেশী। ১৮ বছরের পর থেকে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমতে থাকে, ৩০ এর পরেভালই কমে যায়। ২. ২৫ এর উর্দ্ধে মেয়েরা স্বামীর প্রয়োজনে যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু একজন মেয়ে মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করে থাকতে পারে কোন সমস্যা ছাড়া। ৩. মেয়েরা রোমান্টিক কাজকর্ম যৌনকর্মের চেয়ে অনেক বেশী পছন্দ করে। বেশীরভাগ নারীরা গল্পগুজব হৈ হুল্লোড় করে যৌনকর্মর চেয়ে বেশী মজা পায়। ৪. মেয়েরা অর্গ্যাজম করে ভগাংকুরের মাধ্যমে। ৫. ভগাংকুরের মাধ্যমে অর্গ্যাজমের জন্য যৌনকর্মের কোন দরকার নেই। ৬. শারীরিক মিলনে নারীরা উত্তেজিত আর আনন্দিত হন ঠিকই কিন্তু অর্গ্যাজম হওয়ার সম্ভাবনা ১% এর চেয়েও কম।