তোতলামি দূর করার তেমন কোনো নির্দিষ্ট উপায় নাই। তারপরও কিছু মুখের ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো অনুশীলনে তোতলামির অভ্যাসটা কিছুটা আয়ত্তে আনা সম্ভব। এছাড়া ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সম্ভব হলে গানে গানে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে বাক্যটি শেষ করার একটা প্রবণতা তৈরি হবে। ধন্যবাদ
হোমিওপ্যাথি একজন ভাল ডাক্তারের ঠিকানা
দিলাম,
http://zamanhomeo.com/
তোতলামির কারণ স্নায়বিক বা মানসিক হতে পারে। কারো কারো বেলায় বিভিন্ন চাপের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭৫ ভাগ মানুষের তোতলামি হয় জেনেটিক বা বংশগত কারণে।
ছোট ছোট বাক্য বার বার বলা
সহজ কথা দিয়ে বাক্য গঠন করা এবং আস্তে আস্তে বলার অভ্যাস করতে হবে। এতে দূর হবে ভয়। তাছাড়া ছোট ছোট বাক্যগুলো বার বার বলা একটি বিশেষ পদ্ধতি যা তোতলামি ধীরে ধীরে দূর করে দিতে পারে। আর এই বিশেষ পদ্ধতির আবিষ্কারক চার্লস ফন রিপার।
তিনি বলেছেন, তোতলামি করার জন্য আমরা নিজেরা দায়ী নই তা ঠিক, তবে তোতলানোটাকে আরো সহজ ও বোধগম্য করতে কিন্তু আমরা নিজেরাই পারি।
গান গাইতে হবে
তোতলাদের মস্তিস্কের সামনের বাঁদিকে খানিকটা ঘাটতি থাকে। তবে গান গওয়ার সময় সাধারণত বেশিরভাগই মস্তিস্কের ডানদিকের অর্ধেক সচল হয়। সোজা কথায় বলা যায়, কথা বলতে মানুষের মস্তিস্কের বাঁদিক আর গান গাইতে ডান দিকের প্রয়োজন।
অর্থাৎ তোতলাদের গান গাইতে তেমন কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাই গানের মধ্য দিয়ে তোতলাদের মস্তিস্কের দুদিকের মধ্যে একটা সমন্বয় আনার চেষ্টা করা হয়
তোতলামি স্পিচ থেরাপি নিতে পারেন।
মহাখালীতে অবস্থিত সাহিক (ঝধযরপ) থেকে শুরু করে বিভিন্ন এনজিও এ ধরনের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। পাশাপাশি বিএসএমএমইউতে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) কম খরচে এ ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। সরাসরি নাক-কান-গলা বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ সেন্টারে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চারজন স্পিচ থেরাপিস্ট রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে ৬ দিন (শনি থেকে বৃহসপতিবার) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এখানে রোগী দেখা হয়। এখানে প্রথমবার সাক্ষাতের সময় ১০০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি সেশনে ৫০ টাকা করে নেয়া হয়। উল্লেখ্য, সমস্যাভেদে চিকিৎসার জন্য ৫-৬টি সেশনই যথেষ্ট। তাই প্রয়োজনে যে কেউ বিএসএমএমইউর পুরানো টিনশেড আউটডোরের ২৭ নাম্বার কক্ষে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন।