শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

একটা অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই হয়। বাসার সবাই রাতের খাবার খেয়ে টিভির সামনে বসেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাদু চেয়ারে মাথা এলিয়ে দিয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নাক ডাকতে শুরু করলেন। পরিবারের ছোট সদস্যরা কিন্তু টিভি দেখছে, নাক ডাকার প্রশ্নই ওঠে না। ঘুমের মধ্যে ছোটরাও যে মাঝেমধ্যে নাক ডাকে না, তা নয়। কিন্তু বড়রা বেশি নাক ডাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় মুখের ভেতরে কোমল তালু ও আলজিহ্বায় বাধাপ্রাপ্ত বাতাসের কম্পন থেকে সৃষ্ট শব্দকেই আমরা নাক ডাকা বলি। নাক ডাকার কতগুলো শর্ত দরকার। যেমন—গলার ভেতরের পাতলা পর্দা নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে যাওয়া, কোমল তালু, আলজিভ, টনসিল বা জিহ্বার পেছন দিক প্রলম্বিত হওয়া অথবা গলায় মাত্রাতিরিক্ত তন্তু জমা হওয়া প্রভৃতি। মানুষ কেন শুধু ঘুমের সময় নাক ডাকে? কারণ ঘুমের সময় মুখের ভেতরের মাংসপেশি শিথিল হয়ে পড়ে বা মুখমণ্ডল হয়তো এমন অসুবিধাজনক অবস্থানে চলে যায় যে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়। জেগে থাকা অবস্থায় শ্বাসনালিতে বাতাস যাওয়া-আসার পথে সাধারণত বাধা সৃষ্টি হয় না, মাংসপেশিগুলো সব সময় সুসংবদ্ধ থেকে বায়ু চলাচলের রাস্তা খোলা রাখে। এ কারণেই জেগে থাকা মানুষ নাক ডাকে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ ও গলার পেশিগুলো শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ওরা আগের মতো আর মুখের ভেতরের তন্তুগুলো শক্ত করে ধরে রাখতে পারে না। তখন বায়ু চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া বয়স বাড়লে অনেকের শরীরে মেদ জমে। সেটা শুধু ভুঁড়িতে জমে না, ঘাড়-গলায়ও জমে। তখন গলার চারপাশের পেশিগুলো কমে আসে এবং সেই সঙ্গে সরু হয়ে আসে বাতাস চলাচলের পথটুকুও। এ কারণে বাচ্চাদের চেয়ে বড়রা বেশি নাক ডাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ