আমার রুমমেটে'র খুবই নাক ডাকে। এতে আমার খুবই ঘুমের ডিস্টর্ব হয়। নাক ডাকা কি কোন রোগ। এর কি কোন চিকিৎসা আছে! জানতে চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় মুখের ভেতরে কোমল তালু ও আলজিবে বাধাপ্রাপ্ত বাতাসের কম্পন থেকে সৃষ্ট শব্দকেই আমরা নাক ডাকা বলি। নাক ডাকার কতগুলো শর্ত দরকার। যেমন, গলার ভেতরের পাতলা পর্দা নির্দিষ্ট স’ান থেকে সরে যাওয়া, কোমল তালু, আলজিব, টনসিল বা জিবের পেছন দিক প্রলম্বিত হওয়া অথবা গলায় মাত্রাতিরিক্ত তন’ জমা হওয়া প্রভৃতি। মানুষ কেন শুধু ঘুমের সময় নাক ডাকে? কারণ, ঘুমের সময় মুখের ভেতরের মাংশপেশি শিথিল হয়ে পড়ে বা মুখমণ্ডল হয়তো এমন অসুবিধাজনক অবস’ানে চলে যায় যে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়। জেগে থাকা অবস’ায় শ্বাসনালিতে বাতাস যাওয়া-আসার পথে সাধারণত বাধা সৃষ্টি হয় না, মাংসপেশিগুলো সব সময় সুসংবদ্ধ থেকে বায়ু চলাচলের রাস্তা খোলা রাখে। এ কারণেই জেগে থাকা মানুষ নাক ডাকে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ ও গলার পেশিগুলো শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ওরা আগের মতো আর মুখের ভেতরের তন’গুলো শক্ত করে ধরে রাখতে পারে না। তখন বায়ু চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া বয়স বাড়লে অনেকের শরীরে মেদ জমে। সেটা শুধু ভুঁড়িতে জমে না, ঘাড়-গলায়ও জমে। তখন গলার চারপাশের পেশিগুলো কমে আসে এবং সেই সঙ্গে সরু হয়ে আসে বাতাস চলাচলের পথটুকুও। এজন্য বাচ্চাদের চেয়ে বড়রা বেশি নাক ডাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ