তার রুজূ করা উচিত এবং তাতে তার প্রেস্টিজ যাওয়ার ভয় করা অনুচিত। যেহেতু হক প্রকাশ পেলে হকের দিকে রুজূ করা মহান মানুষদের কাজ। সাধারণের কাছে ওজন হাল্কা হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভুলের উপর অটল থাকা উদার মানুষের কাজ নয়। মহানবী (সঃ) হক বুঝতে পেরে হকের দিকে রুজূ করেছেন। একদা তিনি সাহাবাদেরকে দেখলেন, তারা খেজুর মোচার পরাগ-মিলন সাধন করেছেন, অর্থাৎ মাদা গাছের মোচা নিয়ে মাদী গাছের মোছার সাথে বেঁধে দিচ্ছেন। তিনি বললেন, “আমার মনে হয় ঐরূপ করাতে কোন লাভ নেই। ঐরূপ না করলেও খেজুর ফলবে।” তার মন্তব্য শুনে সাহাবাগন তা ত্যাগ করলেন। কিন্তু খেজুর ফলার সময় দেখা গেল, খেজুর পরিপুষ্ট হয়নি। ফলে তার ফলনও ভালো হয়নি। তিনি তা দেখে বললেন, “কি ব্যাপারে, তোমাদের খেজুরের ফলন নেই কেন?” তারা বললেন, যেহেতু আপনি পরাগ মিলন ঘটাতে নিষেধ করেছিলেন, সেহেতু তা না করার ফলে ফলন কম হয়েছে। তিনি বললেন, “আমি ওটা ধারনা করে বলেছিলাম। তোমরা তোমাদের পার্থব বিষয় সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখ। অতএব তা ভালো হলে, তোমরা তা করতে পার।” (মুসলিম ২৩৬১-২৩৬৩ নং) সাহাবা, তাবেঈন ও ইমামগণ হকের দিকে রুজূ করেছেন। দলীল বলিষ্ঠ দেখে নিজের রায় বদলে দিয়েছেন। তাতে তাদের কোন মানহানি হয়নি। কোন আলেমের হওয়ারও কথা নয়। (ইবনে বাজ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ