শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ব্রণ আমাদের ত্বকের খুব পরিচিত ও বিরক্তিকর সমস্যা। ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পিছনে ব্রণ দায়ী। কিন্তু কেন আমাদের ত্বকে ব্রণ হয় বা কেন এতো যত্ন নেওয়ার পরেও ত্বক হতে ব্রণের সমস্যা রোধ হয়না তা আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাবার-দাবার, চলা-ফেরা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সব কিছুর ওপর নির্ভর করে ত্বকের স্বাস্থ্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনচর্চাই যদি সুস্থ না হয় তাহলে ত্বক সহ দেহেও দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। যেহেতু ত্বকের সমস্যা ব্রণ নিয়ে আমরা সকলেই কম বেশি চিন্তিত থাকি যে কেন বার বার দেখা দিচ্ছে ত্বকে এই সমস্যা। চলুন তাহলে জেনে নিই ব্রণ রোধ না হওয়ার পিছনে কারণগুলো।

ত্বকে চাপ প্রয়োগ করা

যদি আপনি সারাক্ষণ ফোনে কথা বলেন তাহলে ফোন ত্বকে চাপ প্রয়োগ করে, ফোনে ও হাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া যা খালি চোখে দেখা যায়না এবং এই কারণেই ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেক সময় আমরা গালে বা থুতনিতে হাত দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে কথা বলি বা চিন্তা করি। এর জন্য ত্বকে ব্রণ হতে পারে কারণ হাতে থাকে অনেক জীবাণু।

ঘন ঘন মুখ ধোয়া

ত্বকে ব্রণ হওয়ার আরেকটি কারণ হল ঘন ঘন মুখ ধোয়া। ত্বক পরিষ্কার থাকলে ব্রণ হবেনা ভেবে অনেকেই কিছুক্ষণ পর পর মুখ ধুয়ে থাকেন এতে করে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায় এবং তখন ত্বকে আরও বেশি তেল উৎপাদন হয়ে ব্রণের দেখা দেয়। তাই নিয়ম করে মুখ পরিষ্কার করুন।

ময়লা মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করা

শেষবার কখন আপনি মেকআপ ব্রাশ ও স্পঞ্জ পরিষ্কার করেছেন? আপনি যখন যাই আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন না কেন তা অবশ্যই পরিষ্কার করে নেয়া জরুরি। মেকআপ সামগ্রীগুলো বার বার ব্যবহার করার ফলে এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া যা হতে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। তাই মেকআপ সামগ্রী সবসময় পরিষ্কার রাখুন এবং ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।

জামা-কাপড়

যদি আপনার দেহের ত্বকে ব্রনের সমস্যা থেকে থাকে তার মানে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে জামা-কাপড়ের জন্য যা আপানি পরিধান করছেন। আপনার জামা-কাপড়ের দিকে নজর দিন যদি আপনি খুব বেশি পরিমাণে সিনথেটিক জাতীয় জামা পরেন তাহলে দেহের ত্বকে ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। কারণ এই জাতীয় কাপড়গুলো দেহের মৃত কোষ ও ঘাম বের হওয়ার পথ বন্ধ করে ব্রণের সৃষ্টি করে। দেহের শ্বাস নেয়া প্রয়োজন তাই, ঢিলেঢালা ও সুতি জামা-কাপড় পরা ভালো।

অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত খাবার খাওয়া

ত্বকের ব্রণের আক্রমন দেখা দিতে পারে ডায়েট মেন্যুর কারণে। যদি খুব বেশি পরিমাণে তৈলাক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে ত্বকও তৈলাক্ত হবে বেশি এবং ব্রণ হবে । তাই চেষ্টা করুন তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে যেমন- পিজা, ফাস্ট ফুড এগুলো ত্বক অনেক বেশি তৈলাক্ত করে ফেলে।

ত্বকের যত্নে রুটিন না মেনে চলা

ত্বক প্রতিদিন সকালে ও রাতে পরিষ্কার করা, ময়শ্চার করা জরুরি এবং এটি নিয়মিত করলে ত্বকের সমস্যা দূরে থাকবে। কিন্তু যদি কোন কারণে আপনি ত্বকের যত্ন নিতে না পারেন তাহলে ত্বকে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই সমস্যার সম্মুখীন না হয়ে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখুন।

চুলের যত্নে ব্যবহিত পণ্য

অনেক সময় চুলের যত্নে ব্যবহিত পণ্যের কারণেও ত্বকে ব্রণ হয় থাকে। যে সকল চুলের পণ্যতে প্লাস্টিসাইসার (plasticizers) , সিলিকন (silicone) ও তেল থাকে যার কারণের দেহের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা রোধ করার জন্য চুলের যত্নে এই পণ্যগুলো না ব্যবহার করাই উত্তম।

দেহের হরমোন

পিরিয়ডের সময় যদি আপনার ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে দেহে হরমোনের সমস্যার কারণেই ব্রন হচ্ছে। এই সমস্যায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খেলে উপকার পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেয়া ভালো।

ঘুমের সমস্যা

স্ট্রেস এবং ঘুমের সমস্যার কারণেও ত্বকে ব্রন হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন স্ট্রেসমুক্ত থাকতে এবং প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমাতে। স্ট্রেস আমাদের ত্বকে গঠনে খারাপ প্রভাব ফেলে এবং ব্রণের সমস্যা তৈরি করে আর ঘুমের সমস্যার কারণে আমাদের দেখতে আরও বেশি স্ট্রেসড লাগে।

নির্দিষ্ট সময়ে বালিশের কাভার পরিবর্তন না করা

তোয়ালে ও বালিশের কভার উভয়ের কারণেই ত্বকে দেখা দিতে পারে ব্রণ। কারণ এগুলোতে থাকে ব্যাকটেরিয়া যার জন্য ত্বকে সমস্যা হয়ে থাকে। তাই সপ্তাহে ২ বার তোয়ালে ও বালিশের কাভার পরিষ্কার কারুন।

তথ্যঃ beautyandtips.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ত্বকের যে সম্যসায় কম বেশী আমরা সবাই ভুক্তভোগি তা হল ব্রণ acne। নরমাল বা শুষ্ক ত্বকের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশী দেখা যায়। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হলে সৃষ্টি হয় ব্রণের। ত্বকের উজ্জ্বলতা, সৌন্দর্য নষ্ট করতে অনেকাংশেই দায়ী এই ব্রণ acne এবং তার কালো দাগ। এই ব্রণ থেকে মুক্তি এবং ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকি নানা রকম কসমেটিক্স ও ঔষধ medicine। এর পরিবর্ততে ব্যবহার করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজেই আপনার ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্কয করবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক দ্রুত প্রাকৃতিকভাবে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ় কিছু উপায়। ১। বরফ ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজলভ্য এবং কার্যকরী উপায় হল বরফ। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এইভাবে বার বার করুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে। ২। লেবুর রস লেবুর রস খুব দ্রুত ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। এক টুকরো তুলোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর। ৩।টুথপেষ্ট টুথপেষ্ট নামটা শুনে কিছুটা অবাক হতে পারেন। কিন্তু দ্রুত ব্রণ দূর করতে টুথপেষ্টের জুড়ি নেই। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্রাশ করার সমইয় কিছুটা পেষ্ট ব্রণে লাগিয়ে নিন। সকালে ভালভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং দেখুন ম্যাজিক। চাইলে দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। ৪। রসুন রসুনে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে কাজ দেয়। এক টুকরো রসুন থেতঁলে ব্রণের উপর আলতো করে ঘষুন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি দিনে কয়েকবার করতে পারেন। ৫। মধু মধু হল প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যা ব্রণ acne দ্রুত নিরাময় করে থাকে। এক টুকরো পরিষ্কার তুলায় মধু লাগিয়ে ব্রণে লাগান। আধা ঘণ্টার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু এবং দারুচিনির পেষ্ট তৈরি করেও ব্রণ লাগাতে পারেন। সারা রাত রেখে সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালভবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে নিয়মিতি মধু ব্যবহারে ব্রণ একেবারেই সারবে কি না, সেটা নিয়ে গবেষকরা এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অপ্রক্রিয়াজাত বা টাটকা মধু ব্যবহার করতে। ৬। বেকিং সোডা বেকিং সোডা অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় ময়লা এবং মৃত কোষগুলো দূর করে থাকে। ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও সামান্য পানি বা লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ব্রণে লাগান। শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি দিনে দু থেকে তিনবার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বেকিং সোডা খুব বেশি সময় ত্বকে পর্যন্ত রাখা যাবে না। ৭। পেঁপে পেঁপে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে খুব ভাল প্রতিষেধক। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ এবং এনজাইম আছে যা ব্রণ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে থাকে। কাঁচা পেঁপে রস করে সেটি ব্রণে লাগান। শুকানোর জন্য ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে পুরো মুখের জন্য ব্যবহার করতে পারেন পেঁপের প্যাক। ২ টেবিল চা চামচ পেঁপের পেষ্ট ১ চা চামচ মধু পেঁপের পেষ্ট এবং মধু দিয়ে ম্যাস্ক তৈরি করুন। মাস্কটি মুখে আর ঘাড়ে ভালভাবা লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ