শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আলিয়া আরবি শব্দ। এর অর্থ উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। আলিয়া মাদ্রাসায় মূলত আধুনিক মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসাগুলো বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় শিক্ষাবোর্ড কতৃক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। আর একটু সহজ করে বলি মাদ্রাসা ও স্কুল বা বিদ্যালয়ের যে শিক্ষা ব্যবস্তা এই দুই পদ্ধতির সমন্বয় ঘটিয়ে নতুন একটি শিক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করলে যেমন হবে; আলিয়া মাদ্রাসা অনেকটা সেরকম। আমি নিচে আরো কিছু তথ্য উল্লেখ করছি 'বাংলাপিডিয়া' থেকেঃ- আলিয়া মাদ্রাসা, (মাদ্রাসা-ই-আলিয়া) দাপ্তরিক ভাবে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া নামে পরিচিত। ১৭৮০ সালে বাংলার ফোর্ট উইলিয়ামের গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিসং কর্তৃক কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ইংরেজ শাসনের প্রাথমিক পর্বে প্রশাসন পরিচালিত হতো প্রচলিত ফার্সি ভাষায় রচিত আইন অনুসারে। এ কারণে প্রশাসনের জন্য, বিশেষ করে বিচার বিভাগের জন্য প্রয়োজন ছিল আরবি, ফার্সি ও বাংলা ভাষায় দক্ষতা। এ ছাড়া মুসলিম আইনের ব্যাখ্যা ও মামলায় রায় দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল অনেক মৌলবি ও মুফতির। একই সঙ্গে মৌলবি ও মুফতিদের ইংরেজি ভাষায় জ্ঞান থাকারও প্রয়োজন ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস মুসলমানদের জন্য একটি মাদ্রাসা ও হিন্দুদের জন্য একটি সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রথম হেড মাওলানা ছিলেন মাওলানা মাজদুদ্দীন। ১৭৮১ থেকে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত আলিয়া মাদ্রাসা ‘বোর্ড অব গভর্নরস’ দ্বারা এবং ১৮১৯ থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত ইংরেজ সেক্রেটারি ও মুসলমান সহকারি সেক্রেটারির অধীনে ‘বোর্ড অব গভর্নরস’ দ্বারা পরিচালিত হয়। ১৮৫০ সালে আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের পদ সৃষ্টি হলে ড. এ. স্প্রেংগার মাদ্রাসার প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ১৮৫০ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত ইংরেজ কর্মকর্তাগণ এ পদ অলঙ্কৃত করেন। ১৯২৭ সালে শামসুল উলামা খাজা কামালউদ্দীন আহমদ সর্বপ্রথম এ মাদ্রাসায় মুসলমান অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ