শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কওমী মাদ্রাসা হচ্ছে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে ইসলামী শরীয়াহ্ অনুযায়ী কোরআন-হাদিছ ও বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয়। কওমী মাদ্রাসা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করছি 'বাংলাপিডিয়া' থেকেঃ- কওমী মাদ্রাসা আরবি ‘কওমুন’ শব্দ থেকে ‘কওমী’ শব্দের উৎপত্তি। কওমী শব্দের অর্থ হলো জাতীয়। তাই কওমী মাদ্রাসার যথার্থ অর্থ হলো জাতীয় মাদ্রাসা বা জাতীয় শিক্ষায়তন। কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাকে কেন্দ্র করে চারটি ধারা প্রচলিত রয়েছে: (ক) কিতাব বিভাগ বা দরসিয়াত বিভাগ, (খ) মক্তব বিভাগ, (গ) সহীহ কুরআন শিক্ষা ও কিরাত বিভাগ, এবং (ঘ) হিফ্জুল কুরআন বিভাগ। সরকারি সাহায্য ও প্রভাবমুক্ত এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত মাদ্রাসাই কওমী মাদ্রাসা। দরসে নিযামি শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষাদান করা হয় বলে এগুলিকে দরসে নিযামি মাদ্রাসা নামেও আখ্যায়িত করা হয়। হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহ.), মওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (রহ.), মওলানা কাসেম নানুতুবী (রহ.) প্রমুখ আলেম জনগণের সহযোগিতায় ১৮৬৬ সালে প্রথমে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা এবং ১৮৬৭ সালে সাহারানপুরে মাজাহিরে উলুম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এ দেওবন্দ মাদ্রাসাই বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসার উৎস। ১৮৯৯ সালে এ মাদ্রাসার আদলে চট্টগ্রাম দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে কওমী মাদ্রাসার সূচনা ও বিকাশ ঘটে। এজন্য এ মাদ্রাসাকে উম্মুল মাদারিস বা মাদ্রাসা সমূহের জননী বলা হয়। মোল্লা কুতুবউদ্দীন শহীদ (মৃ. ১৭১১ খ্রি.) উপমহাদেশে প্রচলিত দরসে নিযামিয়ার উদ্ভাবক হলেও তাঁর পুত্র মোল্লা নিযামুদ্দীনের (মৃ. ১৭৪৮ খ্রি.) সময় এ শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ও প্রসার লাভ করে এবং তা দরসে নিযামিয়া নামে অভিহিত হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ