শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রাগ: রাগ মানব জীবনের একটি দুর্বল পয়েন্ট। অতিরিক্ত রাগের সময় মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। রাগের বশবর্তী হয়ে মানুষ অনেক সময় এমন কিছু অন্যায় কথা বলে ফেলে বা অন্যায় কাজ করে ফেলে যার কারণে তাকে পরবর্তীতে আফসোস করতে হয় এবং লজ্জিত হতে হয়। শয়তান এ দুর্বল মুহূর্তে মানুষকে অনেক বড় বড় অন্যায় কাজ করতে প্ররোচিত করে। তাই রাগের সময়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেছেন অর্থাৎ আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীম পাঠ করতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং রাগ না করার জন্য বারবার উপদেশ দিয়েছেন। তবে রাগ সব সময় খারাপ নয়। তখনো রাগ করা প্রশংসনীয় গুণ হিসেবে বিবেচিত হয় যখন তা দ্বারা অন্যায় প্রতিহত করা হবে বা কল্যাণের কাজে ব্যবহার করা হবে। যেমন: কোনো অন্যায়-অপকর্ম দেখে রাগ করা, শরিয়া বিরোধী কাজ দেখলে অন্তরে ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়া। এটি একজন মানুষের মধ্যে ঈমানের পরিচায়ক। প্রিয় নবী শরিয়ত লঙ্ঘিত হলে মাঝে মাঝে এত বেশি রাগ করতেন যে, মানুষ তার সামনে যাওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলত। কিন্তু ব্যক্তিগত ছোটখাটো বিষয়ে রাগারাগি ও ঝগড়াঝাঁটি করা খুবই অ পছন্দনীয় বৈশিষ্ট্য। হিংসা: হিংসা খুব খারাপ বৈশিষ্ট্য। এর ক্ষয়-ক্ষতি পরিমাণ অনেক। আল্লাহ তাআলা কুরআনে হিংসুকের হিংসা থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলেছেন। (সূরা ফালাক)। হিংসুক নিজেই নিজের দুশমন। সে অন্যের ভালো দেখে হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে তছনছ হয়। মানসিকভাবে অস্থির থাকে। তাই হিংসা-বিদ্বেষ থেকে অন্তরকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং এ জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ