Jamiar

Call

সেখানে কোরাবাংলায় একজন উত্তর দিয়েছে,, বিচার দিবসে বিচার কোন মানুষ / মহাপুরুষ করবে না। বিচার করবেন স্রষ্টা । মানুষের মত করে স্রষ্টার প্রজ্ঞা, বিচারের ক্ষমতা ভাবলে চলবে না। আপনি আস্থা রাখুন চাই না রাখুন।।

এ থেকে কি বুঝা যায় আপনিই বলুন।

হ্যা আমরা জানি যে আমাদের মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আমদের মৃত্যুর সময় আসলে আমরা মৃত্যু বরন করবো ঠিকি যে যেখানেই থাকিনা কেনো মৃত্যু অনিবার্য।  কিন্তু আমাদের কত বছর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তা আমরা মানুষ বা জিন কেউ জানি না।আমাদের মৃতুর সময় কখন শুধু মহান আল্লাহপাক জানেন
আল্লাহপাক বলেছেন : তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটান। (সূরা তাওবা : ১১৬)। তিনি আরো বলেছেন : আমি তোমাদের মৃত্যুর সময় ঠিক করে দিয়েছি। আর নির্ধারিত সময়ের পূর্বে মৃত্যু দেবো না। (সূরা ওয়াকিআহ : ৬০)। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহতায়ালা মৃত্যুর অনিবার্যতার কথা বলেছেন।

আর আমরা অনেকেই আছি যারা ৭/৯ বছর বয়সে মৃতু বরন করেছে বা কেউ ৪০/৮০ বছর বয়সে।।এরা যদি আল্লাহ ইচ্ছায় বা আল্লাহ হুকুমে মৃত্যু  হয় তাহলে বিচার ময়দানে সবার আমল ও গোনাহ গুলো হিসাব করবে।যার জীবন যত দিন বেছে ছিলো দুনিয়াতে তার ততটুকু জীবনের হিসাব নিবেন। সে যেই বয়সের হোক না কেনো  হিসাব নিকাশ হাসরের দিন হবে। সর্বপ্রথম হিসাব হবে নামাজের। যার নামাজের হিসাব ঠিক থাকবে। তার বাকি সব হিসাব সহজ হবে।
মৃত্যুর পর কবরে রাখা কিংবা জনসমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তার কবর জগত শুরু হয়।

মৃতকে লোকেরা ছেড়ে চলে গেলে শুরু হয় প্রশ্ন উত্তর পর্ব। দুই ফেরেশতা এসে মৃত ব্যক্তিকে তিনটি প্রশ্ন করে। জবাব দিতে পারলে কেয়ামত পর্যন্ত সুখে নিদ্রায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়।

জবাব দিতে না পারলে শুরু হয় কবর কিংবা কবরজগতের আজাব। এ বিষয়টি কেয়ামত পর্যন্ত চলে। হাশরের মাঠে পুনরুত্থানের পর হিসাব নিকাশ, ওজন, পুলসিরাত ইত্যাদি পর্ব শেষে হয় জান্নাত না হয় জাহান্নাম।
আশা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ