যেমন অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে এক ঈশ্বর এবং নবী (সাঃ) সম্পর্কে নিম্নলিখিত ধারণা পাওয়া যায়। হিন্দুধর্মঃ ছান্দগ্য উপনিষদ:6:(1-2) - স্রষ্টা মাত্র একজনই।দ্বিতীয় কেউ নেই।  শ্বেতাপত্র উপনিষদ:6:9 - তাঁর(ইশ্বরের) কোনো বাবা মা নেই,তার কোনো প্রভু নেই,সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের  কোনো বাবা নেই,তাঁর কোনো মা নেই তাঁর  চেয়ে বড় আর কেউ নেই।  শ্বেতাসত্র উপনিষদ :4:19 - সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের  কোনো প্রতিমা নেই,কোনো প্রতিমূর্তি নেই,কোনো প্রতিকৃতি নেই,কোনো রুপক নেই,তাঁর কোনো ভাস্কর্য নেই।  শ্বেতাসত্র উপনিষদ:4:20 - ঈশ্বরকে কেউ দেখতে পারে না।  ভগবদগীতা :7:20 - সেসব লোক যাদের বিচারবুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্ক্ষা,তারাই মূর্তিপূজা করে।"  ভগবদগীতা :10:3 - লোক জানে আমি কখনো জন্মায় নি,কখনো উদ্ভূত হই নি,আমি এ বিশ্ব জগতের সর্বময় প্রভু।  যযুর্বেদ:32:3 - সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোনো মূর্তি নেই।  যযুর্বেদ:80:3 - সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নিরাকার ও পবিত্র।  'একমেবা দ্বিতীয়াম' হল হিন্দু ধর্মের মূলমন্ত্র। হিন্দু ধর্মে  বলা হয়েছে 'ইল্লাহ কবর ইল্লা ইল্লাল্লোত ইল্লাল্লাং'  অর্থঃ পৃথিবী ও অন্তরীক্ষস্থ সূক্ষ্ম পদার্থের স্রষ্টা আল্লাহ। আল্লাহ পুণ্যবানদের প্রভু, একমাত্র আল্লাহকেই  আল্লাহ বলে আহ্বান কর।  অল্লোপনিষদ:7 - হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রাঃ ।অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্যক্ষণং  অল্লাম।অল্লো রসূল মহামদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাম।  আদল্লাং বুকমেকং অল্লাবুকংল্লান লিখার্তকম।"  অর্থঃ "দেবাতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড়  ইন্দ্রের শুরু। আল্লাহ পূর্ণ ব্রক্ষ্মা; মোহাম্মদ  আল্লাহর রুসূল পরম বরনীয়, আল্লাই আল্লাহ। তাঁর  অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেহ নেই। আল্লাহ অক্ষয়,  অব্যয়, স্বয়ম্ভু।"  খ্রিষ্টধর্মঃ Mark:12:29 - And Jesus answered him, The first of all the commandments is, Hear, O Israel; The Lord our God is one Lord.  মার্ক:12:29 - যীশু উত্তর করিলেন, প্রথমটি এই, "হে ইস্রায়েল, শুন; আমাদের ঈশ্বর প্রভু একই প্রভু।"  John:14:28 - My father is greater than I.  John:14:28 - আমার পিতা আমার চেয়ে মহান।  John:16:29 - My father is greater than all.  John:16:29 - আমার পিতা সকলের চেয়ে মহান।  John:17:3 - And this is life eternal, that they might know thee the only true God, and Jesus Christ, whom thou hast sent.  John:17:3 - আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা  তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাহাকে যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।  বৌদ্ধধর্মঃ বৌদ্ধ ধর্মে মহানবী সাঃ এর ভবিষ্যত্ব বাণী রয়েছেঃ  ভিক্ষু আনন্দ সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, "আপনার মৃত্যুর পর কে আমাদেরকে উপদেশ দেবে?" আনন্দের প্রশ্নের জবাবে সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ বললেনঃ"আমিই একমাত্র বুদ্ধ বা শেষ বুদ্ধ  নই। যথাসময়ে আর একজন বুদ্ধ আসবেন-আমার চেয়েও তিনি পবিত্র ও অধিকতর আলোকপ্রাপ্ত...তিনি  একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মমত প্রচার করবেন।"  ভিক্ষু আনন্দ জিজ্ঞেস করলেনঃ"তাঁকে আমরা কিভাবে চিনতে পারবো?"  বুদ্ধ বললেনঃ "তাঁর নাম হবে মৈত্রেয় ।"  বৌদ্ধ ধর্মের 'দিঘা নিকারা' তে মুহাম্মদ (স) সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ  "মানুষ যখন গৌতম বুদ্ধের ধর্ম ভুলিয়া যাইবে তখন আর একজন বুদ্ধ আসবেন, তাঁহার নাম মৈত্রিয়।  অর্থাত্ শান্তি ও করুণার বুদ্ধ।"  এখানে মৈত্রেয় শব্দ দ্বারা বুঝায় শান্তি বা করুণার আধার। আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন  রাহমাতুল্লিল আলামীন অর্থাৎ বিশ্বের রহমত স্বরুপ, আশীর্বাদ স্বরুপ। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন  শরীফে আল্লাহ পাক এরশাদ করলেনঃ"আমি (আল্লাহ্) তো তোমাকে (হয়রত মুহাম্মদ সাঃ) বিশ্বের জন্য  আশীর্বাদ হিসাবে পাঠিয়েছি।"  ইহুদি ধর্মঃ যিশাইয়:43:11 - আমি, আমিই সদাপ্রভূ; আমি ভিন্ন আর ত্রাণকর্তা নাই।  যিশাইয়:45:5 - আমিই সদাপ্রভূ, আর কেহ নয়; আমি ব্যতিত অন্য ঈশ্বর নাই; তুমি আমাকে না  জানিলেও আমি তোমার কটি বন্ধ করিব।  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে হেরা (যার বর্তমান নাম  জাবালে নূর অর্থাত্ আলোর পাহাড়) পর্বতে আসিবেন  সে সম্পর্কে বাইবেলের পুরাতন সংস্করণের (ওল্ড  টেষ্টামেন্ট) দ্বিতীয় বিবরণে উল্লেখ আছেঃ  "সদা প্রভু সীনয় হইতে আসিলেন, সেয়ীর হইতে তাহাদের প্রতি উদয় হইলেন, পারন পর্বত হইতে আপন তেজ প্রকাশ করিলেন।" সূত্রঃ দ্বিতীয় বিবরণ 33:2  সীনয় = এখানে, 'সীনয়' বলতে সিনাই অবস্থিত তুর  পর্বতের কথা বলা হয়েছে। এই তুর পর্বতেই হযরত মূসা (আঃ) নবুয়্যত প্রাপ্ত হন।  সেয়ীর ='সেয়ীর' পর্বতে হযরত ঈসা (আঃ) নবুয়্যত  প্রাপ্ত হন।  পারন ='পারন' বলতে হেরা (আরবীতে) পর্বতকে  বোঝানো হয়েছে। আর এই মহমান্বিত পর্বতে হযরত  মুহাম্মদ সাঃ নবুয়্যত প্রাপ্ত হন।  (যেহেতু উক্ত ধর্মগ্রন্থ গুলো বিকৃত হয়ে গেছে সেহেতু উপরিক্ত তথ্য গুলো যে সঠিক সেটা বুঝবো কিভাবে?)
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পৃথিবীতে সব ধর্মগ্রন্থ পরিবর্তন হলেও একমাত্র কোরআন কোনোদিন পরিবর্তন হবে না। কারণ এর সংরক্ষণ করার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন। (সূরা নং ৭৫, আয়াত ১৭) যেহেতু কোরআন বিকৃতির কোনো উপায় নেই আর কোরআন এবং হাদিস থেকে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ