কিভাবে অপরিচিত মানুষের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করবো?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বন্ধুত্বের সম্পর্ক গভীর করতে ও নয়া নতুন বন্ধু বানাতে নিচে দশটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো-
এক, উত্তম বা ভালো বন্ধু হিসেবে নিজেকে সবার আগে বিশ্বাস করতে হবে। একাধিক গুণাবলীর থাকা সত্বেও যদি আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে না রাখতে পারলে কেউ আপনার উপর বিশ্বাস রাখতে পারবে না।বন্ধুত্বের সম্পর্কে বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদন।সততা ও বিশ্বস্থতা না থাকলে বন্ধুত্ব দ্রুত ভেঙ্গে যায়। তাই কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বা প্রতিশ্রতি দেয়ার পূর্বে পূরণ করা সম্ভব কি না তা ভেবে প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার করতে হবে। একবার কারো বিশ্বাস হারালে তার উদ্ধার করা কঠিন।
দুই, হাজারো ব্যস্ততা সত্ত্বেও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। ব্যস্ততা দেখিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা আদৌ সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। বন্ধুর কাছ থেকে ফোনকল বা দাওযাতের অপেক্ষা না করে নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভুলবশত কোন বৈরিতা বা গ্যাপ তৈরি হলে তা মিটিয়ে নিন।
তিন, বন্ধুর সমালোচনা হতে দেবেন না।বন্ধুর নামে যেকোন সমালোচনা অথবা গুজব ছড়াতে দেবেন না। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করার চেষ্টা করুন।আপনার বন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করলেই তা আমলে নেবেন না। আগে আপনার বন্ধুর কথা তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
চার, সব সময় সত্য কথা বলা বাধ্যতামূলণক বন্ধুত্বের বন্ধন টিকিয়ে রাখার জন্য। আপনাকে অবশ্যই সত্য কথা বলতে হবে ও সত্যবাদী হতে হবে। উত্তম একজন বন্ধু সত্য কথা বলাকে ভয় পায় না। সে কথাটি তার স্ট্যাটাসের সাথে যাচ্ছে কি না বা অন্য কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে কিনা সেটা চিন্তা না করে সে সত্য বলে।
আপনাকে সব সময় বন্ধুদের ভালোলাগা ও খারাপ লাগার দিকে নজর রাখতে হবে, তাদের কোন ভুলত্রুটি হলে তা ধরিয়ে সুধরে দিতে হবে।একজন ভালো বন্ধু সবসময় সঠিক পথ, কাজ ও চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে মতামত দিয়ে উৎসাহ দেবে।
পাঁচ, বন্ধুদেরকে নিজের মতো করে সময় অতিবাহিত করতে দিতে হবে। কখনো একা, নীরব সময় কাটাতে চাইলে বন্ধুকে কিছুক্ষণের তার মতো থাকার ব্যবস্থা করে দতে হবে। বন্ধুত্বের মাঝে একাকিত্বের দরকার আছে। কারণ সব সময় সব জিনিস বন্ধুত্ব দিয়ে দেওয়া যায় না।
ছয়, গঠনমূলক সমালোচনা সুবান্ধবের অন্যতম হাতিয়ার। তবে বিরক্তি বা রাগের কারণ হওয়া যাবে না। স্পর্শকতার বিষয়ে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্র্রে সাবধানী হতে হবে। সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিয়ে সবার কথা মনযোগসহাকরে শুনে পরে জবাব দিতে হবে বা মতামত জানাবেন। তবে খেয়াল রাখবেন সমালোচনা করতে গিয়ে কাউকে যেন ছোট করবেন না।
সাত, বন্ধুর কঠিন ও খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। বন্ধুর কঠিন সময় আসলে নেতিবাচক কোনো কথা বলে তাকে উৎসাহিত করুন। সহজ, স্বাভাবিক ও সচরাচর আচরন করতে হবে। মজার কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারলে ভালো। তার মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে মজা করার সময়।
আট, কঠিন সময়ে বন্ধুকে সঙ্গ দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সবার জীবনেই দুঃখ ও কঠিন সময় আসে। বন্ধু কষ্টের সময়ে তার কাছাকাছি থেকে উৎসাহ ও ভরসা দিলে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি বেড়ে যাবে।
নয়, বন্ধুদেরকে সর্বদা সততা ও আন্তরিকতা দেখাতে হবে। বন্ধুত্বের শূক্তিশালী স্থম্ভ হচ্ছে সততা। তাই সততার যেন ঘাটতি না থাকে। সততার কারণে একজন যদি খুব কষ্ট পায়, তারপরও এই বিষয়ে কখনো কোন কম্প্রমাইজ করবেন না।
দশ, বন্ধুর দুর্বলতার স্থানটি বুঝার চেষ্টা করতে হবে।পৃথিবীর সব মানুষেরই আলাদা চিন্তা ভাবনা ও চেতনা-আদর্শ থাকে। এজন্য বন্ধুদের দুর্বলতাগুলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে শিখুন। আপনারও হয়তো কিছু দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই কেউ না কেউ গ্রহণ করে নিয়েছে।তাই বন্ধুদের ভুল ও নেতিবাচক বিষয়গুলোকে গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি করুন। আপনি সর্বদা সঠিক থাকবেন এ চিন্তা ভাবনাও বাদ দিতে হবে। সূত্র এখানে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ