Ndjdd

Call

জন্মদিনের স্ট্যাটাস

শুভ জন্ম দিন

প্রতি সকালে যার মুখ দেখে
তারুন্য ডেকে তোলে, জীবনকে ডেকে বলে,
তরুন থাকো, ধরে রাখো, কাছে ডাকো
আমিও অপেক্ষায় থাকি আর একটা জন্মদিন আসুক
ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষায় থাকি
ঘুম ভেঙ্গে কাছে ডাকুক
ঘুমের সৌন্ধর্য দেখে দেখে
সাত সকালে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একমুখ হাসি,
হাতে শুভ কামনা, শুভ জন্মদিন
আর ভেতরে এক সমুদ্র ভালো বাসা বাসি।

কিন্তু বার বার, এক’ই সে ভুল
প্রতিবার সাত সকালে তুমিই
শুরু করে দাও যতো আয়োজন
অথবা দুপুর অবধি ভুলে থাকো
আর আমার ভুলোমন
আমিও থাকি জেগে ঘুমে, ভুলে গিয়ে সৌজন্য ঋণ
সূর্য্যটা হেঁটে যায় কখন মধ্য গগণে
অথচ আমিও অনমনে, তুমিও মনে মনে
সূর্য্যটা সব্বার আগে হেসে বলে শুভ জন্ম দিন

কেমন যেনো যান্ত্রিক হয়ে যাই
আবেগ গুলো শীতল হতে হতে ধাতব হীম
সময়ের ডানায় উড়ে উড়ে
কোটি মানুষের জন্ম দিন আসে, জন্ম দিন যায়
প্রতিবার সূর্য্য চাঁদকে আলিঙ্গন করে, জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানায়

শত কোটি আলোক বর্ষের এই আকাশ
আর পৃথিবীর এই একমাত্র চাঁদ
অথচ সারাদিন ঘুমে থাকে রাত
ঘুমানোর আগে এই সর্বনাশা চাঁদ দেখে
হঠাৎ মনে হলে, তুমি বলে ওঠ
আরে! মনে নেই, আজ যে আমার জন্ম দিন ছিলো?

দুঃখ আমায় যেনো আবারো পেয়ে বসে,
জন্ম দিন বছরে ক’বার আসে?
আমার কি আর আছে?
জন্ম দিনের গান কিংবা এক পাতা কবিতা,
আগুনে উড়িয়ে বিষন্ন আকাশে।

এই স্ট্যাটাসটি দিতে পারেন। ধন্যবাদ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

জন্মদিন পালন করা হারাম। শুধু জন্মদিন নয় কোন ম্যারিজ ডে, মৃত্যুদিবস ইত্যাদি যা-ই হোক না কেন, কোন দিবস-ই পালন করা জায়েজ নয়। =========== প্রথম কারনঃ =========== যে কোন প্রকার দিবস পালন করাই শির্ক। কেননা তার দ্বারা ঐ দিনটাকে পূজা করা হয়। এই সমস্ত দিবস পালনের মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করা হয়। আর সমস্ত কল্যাণের মালিক একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীন। তাই মহান রাব্বুল আলামীন যা নির্ধারণ করেন নি কেউ যদি কোন দিনকে এভাবে পালন করে তবে শির্ক হবে। নাবী (সাঃ) বলেন- অশুভ আলামত বা দুর্ভাগ্যের ধারণা যে ব্যক্তিকে তার স্বীয় প্রয়োজন, দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে দূরে রাখল সে মূলত শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদঃ ২/২২০) আর যদি কেউ বলে- কল্যাণ কামনার জন্য আমরা এই সমস্ত দিবস পালন করি না। তাহলে তাদের নিকটে প্রশ্ন- কেন তাহলে এই সমস্ত দিবস পালন করেন?? একটাই উত্তর আসবে- বিজাতীয় সংস্কৃতি দেখে তাদের অনুকরন করে। আর রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১) । =========== দ্বিতীয় কারনঃ =========== ইসলামে দুটি দিবস ব্যতীত অন্য তৃতীয় কোন দিবস পালন করা তো এমনেতেই নিষেধ। আনাস (রা) বলেন, "রাসুল (সা) মদীনায় আগমন করে দেখলেন যে, মদীনাবাসীরা দুটি ঈদ (আনন্দের দিন) পালন করছে ৷ তা দেখে রাসূল (সা)বললেন, জাহীলিয়াতের যুগে তোমাদের দুটি দিন ছিল যাতে তোমরা খেলাধূলা, আনন্দ-ফুর্তি করতে এখন ঐ দিনগুলির পরিবর্তে আল্লাহ্ তোমাদেরকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন, ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহার দিন। (আবূ দাউদ: ১০০৪, নাসাই: ১৫৫৫ হাদীস সহীহ) এই হাদিসে আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) বলেছেন ঐ দুটি দিনের পরিবর্তে আল্লাহ্ তোমাদেরকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন। এখানে যদি আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) বলতেন তোমাদের ছিল দুটি দিন, আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে দিয়েছেন আরো দুটি দিন। তাহলে মুসলিমরা ১৪০০ বছর যাবৎ ৪টি উৎসবের দিন পালন করে আসতো। যেহেতু আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) অন্য মানব রচিত গুলো পরিবর্তন করে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন তাই অন্য যে কোন দিবস পালন করা এমনেতেই বাতিল হয়ে যায়। তাই কোন মুসলিমদের জন্য অন্য কোন প্রকার দিবস পালন করা বৈধ নয়, হোক সেটা জন্মদিন, শোক দিবস, মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস, নববর্ষ ইত্যাদি যা-ই হোক না কেন, তা পালন করা যাবে না। ============ আর তৃতীয় কারনঃ ============ এই ধরণের যত প্রকার দিবস রয়েছে সেগুলোর কোনটাই মুসলিমদের সংস্কৃতি নয়। যদি এগুলো মুসলিমদের সংস্কৃতি হত তবে এগুলো সাহাবাদের যুগ থেকেই পালিত হয়ে আসতো। তাই যেহেতু এগুলো মুসলিমদের সংস্কৃতি নয় তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে এগুলো কাফের- মুশরিক বিজাতীয়দের সংস্কৃতি থেকে এসেছে। আর এ প্রসঙ্গে রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১) । আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি মুশরিকদের দেশে বাড়ী তৈরি করল তাদের উৎসব দিবস পালন করল এবং এ অবস্থায় মারা গেল তবে তার হাশর তাদের সাথেই হবে। (সূনানে বাইহাকীঃ ২৩৪) নবী মুহাম্মাদ ( ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি বিজাতির তরীকা অনুযায়ী আমল করে, সে আমাদের কেউ নয়।”(ত্বাবারানী, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪নং) “আমাদের তরীকা ওদের (মুশরিকদের) তরীকা থেকে ভিন্ন।”(বাইহাকী ৫/১২৫, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪) সাওবান (রা:) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "আমি সবচেয়ে যাদের বেশী ভয় করি তারা হচ্ছে নেতা ও এক শ্রেনীর আলেম সমাজ। অচিরেই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে। আর অতি শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক বিজাতিদের সাথে মিশে যাবে।" [ইবনে মাজাহঃ ৩৯৫২। হাদ সহি] আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। নাবী (স.) বলেছেন, “অবশ্য অবশ্যই তোমরা তোমাদের আগের লোকদের নীতি- পদ্ধতিকে বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তে ঢুকে, তাহলে তোমরাও তাদের অনুকরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল (স.)! এরা কি ইয়াহুদী ও নাসারা? তিনি (স.) বললেন, আর কারা?” –[সহীহুল বুখারী ৭৩২] ========================= এরপরেও কি আমরা সতর্ক হবো না?? ========================= তাই আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিজাতীয়দের সংস্কৃতি বর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। অতএব মুসলিমরা যদি জান্নাতের আশা করে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে চায় তবে তারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের দিকে ফিরে আসুক।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ