Surovee

Call
হযরত আলী (রাঃ), হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর আপন চাচা ছিলেন না।
তাই বিবাহ নিষিদ্ধ হয়নি। ইসলামে 
মেয়েদের আপন চাচা,আপন মামা,
আপন ভাই,আপন ভাগ্নে,আপন দাদা 
তাদের সাথে পর্দা করতে হয়না,তাদের 
সাথে বিবাহ ও নিষিদ্ধ। যাদের সাথে 
পর্দা করতে হয়,তাদের সাথে মেয়েরা 
বিবাহে আবদ্ধ হতে পারে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আমি কয়েকজন আলেমদের কাছ তেকে সংগ্রহ করেছি।।নিচে বর্ননা করলাম।।


এ কারনে যে আবু তালিব রাসুল (স:) এর চাচা ছিলেন এটা প্রমান করার জন্য

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন

যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বলতে শুনেছেন, যখন তাঁরই সামনে তাঁর চাচা আবূ তালিবের আলোচনা করা হল, তিনি বললেন, আশা করি কিয়ামাতের দিনে আমার সুপারিশ তার উপকারে আসবে। অর্থাৎ আগুনের হালকা স্তরে তাকে ফেলা হবে, যা তার পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছবে আর এতে তার মগয ফুটতে থাকবে। (আ.প্র. ৩৫৯৭, ই.ফা. ৩৬০২)
ইয়াযিদ (রহঃ) – ও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং আরো বলেছেন, এর তাপে মস্তিষ্কের মূল পর্যন্ত ফুটতে থাকবে।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৮৮৫
 
এখন যে হাদিসটি পেশ করব তা থেকে 
প্রমান হবে আলি রা: আবু তালিবের পুত্র 

উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন

ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি কি মক্কায় আপনার বাড়িতে অবস্থান করবেন? তিনি বলেনঃ আকীল কি আমাদের জন্য কোন ঘর-বাড়ি বা ঠিকানা অবশিষ্ট রেখেছে? (রাবী বলেন,) আকীল ও তালিবই আবু তালিবের ওয়ারিস হয়েছিল এবং জাফর ও আলী (রাঃ) তার ওয়ারিস হননি। কেননা তারা দু’জন তখন (আবু তালিবের মৃত্যুর সময়) মুসলমান ছিলো। আর আকীল ও তালিব ছিল কাফের (আকীল পরে মুসলমান হন)। এ কারনেই উমর (রাঃ) বলেতেন, কোন মুমিন কোন কাফেরের ওয়ারিস হবে না। উসামা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলমান কাফেরের ওয়ারিস হবেনা এবং কাফেরও মুসলমানের ওয়ারিস হবেনা। 

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৭৩০

এখন যে হাদিসটি পেশ করব তা 
থেকে প্রমানিত হবে ফাতেমা ছিলেন 
আলি রা: এর স্ত্রী 

মিসওয়ার ইব্‌নু মাখরামাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে মিম্বরে বসে বলতে শুনেছি  যে, বনি হিশাম ইব্‌নু মুগীরাহ, ‘আলী ইব্‌নু আবূ ত্বলিবের কাছে তাদের মেয়ে বিয়ে দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে; কিন্তু আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ‘আলী ইব্‌নু আবূ ত্বলিব আমার কন্যাকে ত্বলাক দেয় এবং এর পরেই সে তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে পারে। কেননা, ফাতিমা হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা এবং সে যা ঘৃণা করে; আমিও তা ঘৃণা করি এবং তাকে যা কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫২৩০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

আপনি আপন ভাতিজিকে বিয়ে করতে পারবেন না।

ধন্যবাদ!!!
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ