মনকে কিভাবে স্থির করা যায়?....মন থেকে সমস্থ কু চিন্তা কিভাবে দুর করা যায়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মনটাকে কোন বিষয়ে স্থির করতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। মন এক চিন্তা থেকে আরেক চিন্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। হয়ত ভাবতে চাচ্ছেন লেখার নতুন কোন বিষয় নিয়ে কিন্তু কিছুতেই মাথা কাজ করছে না, মনে পড়ে যাচ্ছে এ সংশ্লিষ্ট আরো অনেক কথা। এক সময় হাল ছেড়ে দিলেন। নামাজ পড়তে গেলেন, নামাজ থেকে মন বন্ধুদের আড্ডায় চলে যাচ্ছে। কেন এমন হয়? মন কী?: মন এমন এক বস্তু যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না, ল্যবরেটরীতে টেস্টটিউবে ভরে পরীক্ষাও করা যায় না, তবে অনুভব করা যায়। একে আমরা আমাদের কম্পিউটারের সাথে তুলনা করে দেখতে পারি। কম্পিউটারের দুটো অংশ- হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার ধরা যায়, দেখা যায়, ছোঁয়া যায় কিন্তু সফটওয়্যার ? এর অস্তিত্ব আছে তবে ধরা ছোঁয়া যায় না। এটা না হলে কম্পিউটার চালানো ও যায় না। ঠিক তেমনি মন ও মানুষের সব কিছুর নিয়ন্তা। মনের ৩ টি অংশ আছে- ১. সচেতন মন ২. অবচেতন মন ৩. অচেতন মন। মন কিভাবে কাজ করে?: আমরা সব সময় সচেতন মনের দ্বারা চালিত হই। এটি আমাদের সব কাজকে মনিটরিং করে যাতে কোন ভুল না হয়। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী হল অবচেতন মন। সচরাচর এর কাজ আমরা অনুভব করতে পারি না। কিন্তু আমরা যত কাজ করছি, যা কিছু দেখছি, যা বোঝার বা শেখার চেষ্টা করছি সব কিছু ব্যকআপ হয়ে থাকছে আমাদের মস্তিষ্কে এবং এ কাজটাই করে আমাদের অবচেতন মন। আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি অবচেতন মন জেগে ওঠে এবং তার কর্ম তৎপরতা শুরু করে। ব্যকআপে থাকা সকল তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে কাজের প্রেরণা দান করে, তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কের স্থায়ী মেমেরিতে জমা করে। এভাবে আমরা যা দেখি বা যা কিছু চিন্তা করি সবই ঘুমের ঘোরে অবচেতন মন আমাদের মেমোরিতে ঢুকিয়ে দেয়। ফলে এগুলোর উপস্থিতি আমরা টের না পেলেও এগুলো আমাদের ব্যকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে। আর আমরা এভাবেই এলোপাথাড়ি চিন্তায় আচ্ছন্ন হই। একজন মনোবিচজ্ঞানী বলেছেন " তোমার স্মৃতিকে গোডাউনের মত যা তা দিয়ে ঠেসে রেখো না, কাজের গুলো জমা কর, অপ্রয়োজনীয় গুলো ফেলে দাও। আমরা যদি আমাদের অবচেতন মনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি তবে আমরা বুঝতে পারব মনের গভীরে কী ঘটছে। কিভাবে করা যাবে?: এর জন্যে প্রয়োজন একাগ্রতা সৃষ্টি করা। একাগ্র মনোযোগ আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে, কাজে সঠিক মনোযোগ প্রদানো সাহায্য করে। একাগ্র মনোযোগ সৃষ্টি করা তেমন সহজ কাজ নয়, এর জন্যে প্রয়োজন মানসিক অনুশীলন। এখানে আমি একটি ছোট কিন্তু কার্যকর অনুশীলনের নিয়ম বলব। এটির আবিষ্কর্তা বিখ্যাত মৌনি সাধু। নিয়ম: ১.আপনার রুমে গিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসুন। ২. বেশি শব্দ হলে দরজা জানালা বন্ধ করে দিন। ৩. ঘরে ঝোলানো দেয়াল ঘড়ির সেকেন্ডের কাটার দিকে মনোযোগ দিন। ৪. পাকা ২ মিনিট ঘড়ির সেকেন্ডের কাটার দিকে তাকিয়ে থাকুন। এ সময় এমন ভাবে থাকবেন যেন পৃথিবীতে শুধু ওই ঘড়ির কাঁটা ব্যতীত আর কিছু নেই। মনোযোগ যদি ঘড়ির কাঁটা থেকে সরে যায় তবে আলতো ভাবে মনোযোগ আবার ঘড়ির কাঁটায় ফিরিয়ে আনুন। আবার ২ মিনিট পূর্ণ করুন। প্রথম প্রথম মনোযোগ থাকতে চাইবে না তবে টানা অনুশীলন চালিয়ে গেলে সহজ হয়ে যাবে। আপনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন আপনার স্মৃতিশক্তির ব্যপক উন্নতি হয়েছে। যাতে খুশি একাগ্র মনোযোগ দিতে পারছেন। কাব্য, সাহিত্য, গান, প্রযুক্তি যে বিষয়ে ইচ্ছা গভীর মনোযোগ প্রদান করতে পারছেন। এটা যদি কষ্টকর হয় অর্থাৎ দেয়াল ঘড়ি না থাকলে বা রুমে সে সুযোগ না পাওয়া গেলে তবে আপনার প্রিয় কম্পিউটার ব্যবহার করেও করতে পারেন। একজন সাইট নির্মাতা এমন একটি সাইট তৈরী করেছেন যা আপনাকে ২ মিনিটের জন্যে পৃথিবী আলাদা করে দেবে। বারবার চর্চা করুন, আপনার স্মৃতি দেখে নিজেই অবাক হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

মনকে স্থির করার কিছু উপায়: ১। আপনার জীবনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুনঃ জীবন এত সহজ বিষয় নয়। জীবনের একটি ফ্যাক্ট হিসাবে সামাজিক, পেশা ও স্বাস্থ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্য। আপনার যদি এই ধরনের কোন সমস্যার সম্মুখীন হোন, তখন আপনার পেট ঘোলা আবেগ আপনাকে বাধ্য করবে একটি নিদ্রাহীন রাত্রি যাপন করতে, যা আপনার স্বাস্থ্য এর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের আবেগ জাঙ্গলিক জীবনের জন্যই উপযুক্ত। সভ্য বিশ্বে আপনার সাধারন জ্ঞানই যথেষ্ট এই ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করতে। আপনি আপনার প্রধান সমস্যা গুলো লিখুন যা আপনাকে গ্রহন করে নিতে হবে এবং তা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না এটা আপনার একটা পরিকল্পনা হতে পারে। ২। লেখার অভ্যাস করুনঃ ৫-১০ মিনিট সমই নিয়ে আপনার এই মূহর্তে যা মনে আসে তাই লিখুন, সময় কোন ব্যাপার না আপনি লিখতে থাকুন, অদ্ভুত, অদ্ভুত শব্দ যাই হোক না কেন। এতে আপনার কি হবে, আপনার সচেতন মাইন্ড আপনার অসচেতন চিন্তাধারা কে বের করে আনবে। অভ্যাস করতে থাকুন প্রথমে কঠিন মনে হবে পরে সব সহজ হয়ে যাবে। ৩। ধ্যান যোগ সম্পর্কে জানুনঃ অনেক ধরনের ধ্যান ও যোগ থাকতে পারে কিন্তু সকল ধ্যান ও যোগ মাইন্ড থেকে মনোযোগ নিবিদ্ধ করে। আপনি পদ্মাসন, শ্বাসক্রিয়া ব্যায়াম অথবা যে কোন যোগ দৈনিক কিছু সমই ধরে করতে পারেন এতে করে আপনার মন শিথিল থাকবে। ৪। কিছু শিল্প কর্ম করতে পারেনঃ অঙ্কন, ফোটোগ্রাফি, পেইন্টিং, নাচ, এবং ভাস্কর্য এই ধরনের শিল্প কর্ম আপনাকে অবচেতন কাজ থেকে দূরে রাখবে নতুন কিছু করতে সাহায্য করবে। এই কর্মের মাধ্যমে আপনি মাইন্ডের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। ৫। অবচেতন সম্পর্কে জানুনঃ আপনি যদি জীবনে উন্নতি করতে চান আপনার অবশ্যই হিউম্যান মাইন্ড সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত। আপনি সাইকোলজি নিয়ে কোর্স করতে পারেন। জোসেফ ক্যাম্পবেল নামক বইটি পরতে পারেন, তাতে করে আপনি অবচেতন সম্পর্কে ধারনা পাবেন। ৬। নিজে নিজেই পজেটিভ চিন্তা করতে পারেনঃ আপনি যদি চিন্তা করেন আপনার দাঁরা কাজটি করা হবে না বা সম্বভ না, তাহলে আপনি কখনো আপনার কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। আপনি তখনি সফলতা অর্জন করবেন যখন আপনার চিন্তা ধারা পজেটিব হবে । ৭। স্বপ্নে মনোযোগ দিতে পারেনঃ আপনার গবীর মাইন্ড এর একটি স্বপ্ন আপনার জীবনের লক্ষ্য হতে পারে। আপনি তার প্রতি মনোযোগ দিন, তাড়াতাড়ি করে লিখে ফেলুন, এবং প্রতিফলিত হয়ে সমস্যা গুলো বাহির করতে চেষ্টা করুন। ৮। বিভিন্ন উপায়ে অবচেতন মন বিকাশ করুনঃ আপনার অনুভূতি শুনুন এবং পূর্বাভাস করতে চেষ্টা করুন। কখনো আপনার প্রশ্নের উত্তর হাঁ হবে আবার কখনো না হবে। এতে করে আপনার অবচেতন মন প্রকাশ পাবে। ৯। চিন্তাশক্তি ঊর্ধ্ব করুনঃ আপনার ইউনিভার্স, চিন্তা, কর্ম, আবেগ, এবং প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি আপনার মাইন্ড থেকে সৃষ্টি হয়। আপনি আপনার চিন্তাশক্তি যত ঊর্ধ্ব করবেন ততই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ