ক্যাস্টর অয়েল, এর প্রকৃত গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা হয়তো খুব কমই জানি। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই, মিনরেলস, প্রোটিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাটি এসিড যা চুল পড়া রোধ করার সাথে সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। এটি চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনে। তবে চুলের জন্যে সবসময় আনরিফাইনড ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করাই উত্তম। কারণ আনরিফাইনড ক্যাস্টর অয়েলে প্রাকৃতিক গুণাবলী বিদ্যমান যা চুল এবং স্ক্যাল্পের জন্য খুবই কার্যকরী।
ক্যাস্টর অয়েল চুল পড়া সমস্যার সমাধানের জন্য যে সমাধানটি সবচাইতে বেশী কার্যকর তা হচ্ছে ক্যাস্টর অয়েল। বিভিন্ন উপায়ে এই ক্যাস্টর অয়েল চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারলে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই নিরাময় করতে পারবেন। শুধু তাই নয় নতুন করে চুল গজাতেও সাহায্য করবে ক্যাস্টর অয়েল। আর সেই সাথে চুল ও মাথার ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন চিরকালের জন্য। জেনে নিন ব্যবহারবিধি – শুধুমাত্র ক্যাস্টর অয়েল হাতে তালুতে নিয়ে চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসেজ করার অভ্যাস অনেকটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম। – তবে লক্ষ্য রাখবেন অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যাতে না করা হয়। কারণ ক্যাস্টর অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশী ঘন থাকে যা ধুয়ে ফেলতে কষ্ট হবে। – সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন যদি পুরোরাত ক্যাস্টর অয়েল চুলে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারলে। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন ক্যাস্টর অয়েল। – কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রথমে চুল ধুয়ে নিন ভালো করে। লক্ষ্য রাখবেন যেন পানি বেশী গরম না হয়ে যায়। ২ ভাগ সাধারণ পানির সাথে ১ ভাগ গরম পানি মিশিয়ে নিন সঠিক তাপমাত্রার জন্য। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। – আপনি শুধু ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে না চাইলে এতে অন্যান্য তেল যেমন অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ইত্যাদি মিশিয়ে নিতে পারেন। এতেও বেশ ভালো ফলাফল পাবেন। – প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো ফলাফল পাবেন। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন।