আমি উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আমার হাতে আছে সময় আছে মাত্র ১ বছর এই সময়ের মধ্যে আমি উচ্চমাধ্যমিকে কিভাবে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করবো ?? কোনো শর্ট টেকনিক আছে কি???
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। তার বিদায়ী ভাষন নিশ্চয়ই দেখেছেন/শুনেছেন কিংবা পত্রিকায় পড়েছেন। শচীন টেন্ডুলকারকে উনার বাবা বলেছিলেন, "জীবনে কখনো শর্টকাট খুঁজো না। এটা তোমাকে ক্ষণিক সাফল্য দেবে কিন্তু তোমাকে সেরা বানাবে না" আশা করি আপনার প্রশ্নের জবাব কিছুটা হলেও পেয়ে যাবেন শচীন টেন্ডুলকারের পিতার এই উপদেশবানী থেকে।কম পড়াশুনা করে ভাল রেজাল্ট করা তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম। হ্যা হতে পারে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে এমন মেধা থাকে যারা অল্প পড়েই যেকোন কঠিন বিষয় বুঝতে পারে বা মনে রাখতে পারে, কিন্তু সবার মেধা ত আর একরকম নয়। তবে যতই মেধাবী হোন না কেন পড়াশুনা ছাড়া ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব নয়। তবে সবকিছুর ব্যতিক্রম আছে।আপনি প্রতিটি বই গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পড়ে শেষ করুন।পড়ার সময় মাথায় রাখতে হবে আমাকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।একটা নির্ধারিত রুটিন তৈরী করুন।গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার ব্যপারে কখনও কখনও ভাল সাজেশন্স, ভাল গাইড বই অল্প পড়েও ভাল রেজাল্ট করা যায়। কোন কোচিং সেন্টারের "ভাইয়া" এ প্রশ্নের ভাল জবাব দিতে পারবেন। পুষ্টিকর খাবার খাবেন। আর নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ভালো রেজাল্টের জন্য প্রার্থনা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য যদি আপনি নিম্নের টিপসগুলো নিয়মিত অনুসরণ করেন তাহলে ইনসাআল্রাহ আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হবে।

    আপনার পাঠের পরিবেশ:

১. যেখানে আপনি পড়তে কমফোর্ট ফিল করবেন, সেখানেই পড়বেন। সবসময় একই জায়গায় বা পরিবেশে পড়ার চেষ্টা করবেন।

২. এমন জায়গায় পড়তে বসুন যেখানে আপনি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারবেন।

৩. পড়ার সময় টিভি, রেডিও, কম্পিউটার, মিউজিক প্লেয়ার অফ রাখুন অথবা এগুলো থেকে দূরে নিরব স্থানে পড়তে বসুন।

    আপনার পস্তুতি এবং আমার পরামর্শ:

১. আপনাকে আপনার পরীক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধরণা রাখতে হবে।

২. পরীক্ষার আগেই আপনাকে পরীক্ষার সিলেবাস ভিত্তিক বিষয়, প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বন্টন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তখনই আপনি আপনার প্রস্তুতি কতটুকু যথার্থ হয়েছে তা উপলব্ধি করতে পারবেন।

৩. পড়াশোনার জন্য সর্বোত্তম এবং সর্বোচ্চ সময়টুকু আলাদা করে বাকি সময়ে অন্যকাজ কর্ম খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সহ প্রাত্যহিক কাজ সেরে ফেলবেন।

৪. অতিরিক্ত পড়া উচিত নয়। এতে মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। মস্তিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মস্তিক পড়া মেমোরাইজ করতে পারে না।

৫. পড়ার সময় একটি টার্ম শেষ না করে হুট করে অন্যটায় চলে যাবেন না।

৬. কখনোই শুয়ে শুয়ে পড়বেন না

৭. পড়ার সময় ভারি খাবার গ্রহন করবেন না।

৮. একটানা এক ঘন্টা পড়ার ভেতর ৫-১০ মিনিট বিরতি নিয়ে আবার পড়া শুরু করুন। এতে মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় না।

৯. পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন: পেন্সিল, কলম, ক্যালকুলেটর, অ্যাডমিট কার্ড, টাকা ইত্যাদি) আগে থেকে প্রস্তুত করে রেখে দিন।

১০. পড়ার সময়টাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে পরিকল্পনা মতো পড়ুন।

১১. পরীক্ষা শুরুর আগে দিনগুলোতে খুব বেশি করে পড়তে যাবেন না, যদি যখার্খ প্রস্তুতি থাকে।

১২. যেকোন প্রয়োজনে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ভারসিটিতে পড়ুয়া বড় ভাই বা আপুর সাহায্য ও পরামর্শ নিন।

১৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঐ দিনের পড়াগুলোর উপর একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।

১৪. পরীক্ষার আগের দিন রাত জেগে পড়বেন না।

১৫. আপনার চারপাশের সামান্য বিষয় বা ঘটনা আপনার মনকে এলোমেলো করে দিতে পারে। তাই পড়ার সময় মোবাইল ফোন, গল্পগুজব, সংবাদ পত্র, ম্যাগাজিন ইত্যাদি থেকে দুরে থাকুন।

১৬. পড়ার টাইমটেবিল এমন ভাবে প্রস্তুত করুন, যেন পরীক্ষার আগে রিভিশনের যথেষ্ট্য সময় থাকে।

    আপনার খাবার:

১. আপনাকে পরীক্ষার প্রস্তুতীর সময় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা জীবণুযুক্ত খাবার আপনার অসুখের কারণ হতে পারে এবং পরীক্ষাকে বাধা গ্রস্ত করতে পারে।

২. পুষ্টি যুক্ত খাবার গ্রহন করুন। সতেজ ফলমুল খাবাব খাবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমান পানি পানকরুন।

৩. খাবার গ্রহন করার সময় পড়বেন না।

৪. ফুটপাতের ধুলাবালি ও জীবাণুযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

৫. পরীক্ষার আগে কখনই বেশী করে চা বা চা-কফি বা ফিজি জাতীয় খাবার (যেমন: কোকাকোলা বা টাইগার) খাবেন না।

৬. বিভিন্ন কুসংস্কার যেমনঃ পরিক্ষা দেওয়ার আগে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এগুলো কুসংস্কার থেকে দুরে থাকুন। ডিম খেলে আপনি যেমন শারিরীক দিক থেকে শক্তি পাবেন তেমনি মানসিক দিক থেকেও শক্তি পাবেন। অতএব ডিম খাবেন। এতে কোন সমস্যা নেই।

৭. দুধ পান করুন। এতে মানসিক ও শারিরীক বল পাওয়া যায়।

আপনার বিশ্রাম ও ঘুম:

১. পরীক্ষার আগে ও চলাকালে নিয়ম করে ৬ ঘন্টা ঘুমাবেন। মনে রাখবেন পর্যাপ্ত ঘুম আপনার পড়াকে মেমোরাইজড করতে সাহায্য করে।

২. উদ্বেগের কারণে ঘুম না হলে কখনোই ঔষধ (ঘুমের ঔষধ) খাবেন না।

৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজেকে টেনশন মুক্ত করে প্রশান্ত মনে ঘুমাতে যাবেন।

৪. দু-এক দিন ঘুম কম হলেও এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

অভিভাবকের যেসব দায়িত্বঃ

    ১. পরীক্ষার সময় আপনার সন্তানকে যত্নের ভিতর রাখুন। ২. আপনার সন্তানকে বেশী রাত জাগতে দেবেন না। ৩. তাকে পড়াশোনা ব্যাতিত অন্যকাজ করতে দেবেন না। বিশেষ করে পরীক্ষা চলাকালীন। ৪. পরীক্ষার দিন তার প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন: পেন্সিল, কলম, ক্যালকুলেটর, অ্যাডমিট কার্ড, টাকা ইত্যাদি) গুছিয়ে রাখুন। ৫. পরীক্ষা খারাপ হলে তাকে বকাঝকা করবেন না। বরং তাকে আশ্বাস দিন এবং পরবর্তী পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার জন্য তাকে উৎসাহ দিন। ৬. আপনার সন্তান যেন পরীক্ষা নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ না নেয় সে বিষয়ে সচেতন থাকবেন। ৭. আপনার সন্তান যেন সুন্দর পরিবেশে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারে এ বিষয়ে আপনি সচেতন থাকুন।
    পরীক্ষার দিনে যা করবেনঃ

১. পরীক্ষার দিন নিজেকে রিল্যাক্স মুডে রাখতে চেষ্টা করুন। অস্থির হবেন না। নিজেকে শান্ত রাখুন।

২. বাসা থেকে বের হওয়ার আগে দেখে নিন আপনার অ্যাডমিট কার্ড সহ আপনার প্রয়োজনীয় সকল জিনিষ পত্র সঙ্গে নিয়েছেন কী না।

৩. পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষার হলে একটু আগে ভাগে রওনা দিন। কারণ পরীক্ষার জন্য রোল নম্বর খুজতে সময় পাওয়া যাবে।

৪. পরীক্ষা শুরুর আগে কীভাবে কতসময়ের ভেতর পরীক্ষা দেবেন তার একটা পরিকল্পনা করে নিন।
পরীক্ষার সময় বা হলে যা করবেনঃ

১. একটি প্রশ্নের উত্তর করার সময় কোন ক্রমেই অন্য প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।

২. যেহেতু পরিক্ষার হলে সময় খুব অল্প, তাই প্রথম দিকে জানা প্রশ্নের উত্তর দিন।

৩. লুজশিট নেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল করবেন লুজশিটে ক্লাস শিক্ষকের সাক্ষার দেওয়া আছে কী না।

৪. লেখার সময় বানান শুদ্ধ করে লেখার চেষ্টা করবেন।

৫. লেখা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে লিখবেন, এতে করে নম্বর বেশি পাওয়ার সম্ভনা থাকে।

৬. প্রশ্নে ভুমিকা, বর্ণনা এবং উপসংহার সহকারে লেখা উচিত, এর ফলে সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. পরিক্ষার খাতায় বিভিন্ন শব্দ যেমনঃ PTO লেখা উচিত নয়। এতে করে শিক্ষক কম নম্বর দিতে পারে।

৮. লেখার লেআউট সঠিক রাখার চেষ্টা করবেন।

৯. ভদ্রতা বজায় রাখুন।

১০. নকল করা বা অন্যের দেখা, কারো সাথে কথা বলা ইত্যাদি বদ অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কারণ এর ফলে পরিক্ষা থেকে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১১. একজাম পেপার জমা দেওয়ার আগে দুতিনবার দেখে নিন কোথাও কোন ভুল-ত্রুটি আছে কি-না।

১২. খাতায় অবশ্যই মারজিন ব্যবহার করবেন এবং মারজিনের বাহিরে কোন কিছু লিখবেন না।

১৩. প্রশ্ন লেখার পূর্বে নম্বর লিখুন যেমনঃ ১ নং প্রশ্নের ক নং উত্তর। এটি অধিকাংশ শিক্ষকরাই পছন্দ করে।

    পরিক্ষার আগে ও পরে যে সকল কাজ করা উচিত নয়ঃ

১. অভ্রতা পরিহার করুন।

২. অশ্লিল কাজ থেকে বিরত থাকুন। অশ্লিল কাজ কর্ম শারীরিক ক্ষতি করে এবং পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায়।

৩. নকল করা, দেখা-দেখি করে লেখা বা পরীক্ষার সময় কারো সাথে কথা বলা উচিত নয়। এতে পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এবং পরীক্ষা থেকে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪. প্রশ্ন পত্র আউট হলে সেই প্রশ্ন পত্র পড়ে পরীক্ষা দেওয়া উচিত নয়। এতে আপনি কিছু শিখতে পারলেন না। ফলে আপনি শুধু নামে শিক্ষিত হবেন কিন্তু বাস্তবে আপনি কোন শিক্ষা অর্জন করতেই পারেন নি। এতে করে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীত হতে পারেন।

৫. শিক্ষকদেরকে ঘুষ বা হুমকি দিয়ে পরিক্ষায় ভাল রেজাল্ট করা উচিত নয়। এতে করে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীত হতে পারেন।

৬. ধুমপান বা যে কোন ধরণের মাদক পরিহার করুন। এতে করে সমাজিক পরিবেশ নষ্ট হয় এবং পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায়।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কীভাবে পড়ালেখা করলে বা কী ধরনের নিয়ম অনুসরন করে পড়ালেখা করলে পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

 কোনো শর্ট টেকনিক নাই

আপনি নিচের টিপস ফলো করুন আশা করি ভালো ফলাফল হবে --

১.গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে রঙিন কালি ব্যবহার করুন

২.রুটিন করে পড়ুন
৩.শিক্ষকদের সাতে দেখা করে সাজেশন নিন
৪.পড়াশোনার সুবিধার জন্য নিজের বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মার্কার দিয়ে হাইলাইট করে রাখুন ।
৫. নিজের  পরীক্ষা নিজেই  দিন ।
৬. একই পড়া কয়েকবার পড়ুন
এসব করলে আশা করি আপনার ফলাফল ভালো হবে ।
আল্লাহ্‌ ভরসা
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এক মাসে পড়া শোনা তেমন এগিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু তারপর চেষ্টা করো তাহলে অনেক এগিয়ে যেতে পারবে। এই টিপস মনে রাখবেন। ১ : পড়াশোনা সময় বাড়াতে হবে কম হলেও ১০ ঘন্টা পড়তে হবে। ২ : অতি সকালে উঠে পড়াশোনা করবেন তাহলে পড়াশোনা বেশি মনে থাকে। ৩ : পাঠ্যবইয়ের সাথে একস্ট্রা কিছু অনুশীলন করবেন। ৪ : মোবাইল থেকে দূরে থাকবেন কারন মোবাইল যদি কাছে রাখেন তাহলে পড়ার ক্ষতি হবে। পরিশেষে বলি ভালো করে পড়ালেখা করুন এবং নিজের ভবিষ্যৎকে উজ্জল করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পারবেন ভালো করতে তাহলে সবারচে ভালো করার জন্য সবারচে আলাদা হতে হবে নিয়মিত পরতে হবে প্রতিদিনের পরা প্রতিদিন শেস করতে হবে প্রতিদিন ৪ ঘন্টা করে পরতে হবে একটা করে পরলেও মাসে ৩০টা পরা হয় বছরে ৩৬৫টা পরা তাহলে আর কি থাকে এবাবে পরলে সফল হতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ