বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়া মানে শক্তি প্রবাহিত হওয়া, যখন কোনো মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন এটি তাপ উৎপন্ন করে। বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে বাতির টাংস্টেন দ্বারা তৈরি ফিলামেন্টে আসলে এটি জ্বলে উঠে। টাংস্টেন বিদ্যুৎ সুপরিবাহী নয় কিন্তু তাপের উৎকৃষ্ট পরিবাহী ফলে এখানে মারাত্মক তাপের সৃষ্টি হয়। উচ্চগলনাঙ্ক (১৩০০ ডিগ্রি সে.) বিশিষ্ট হওয়ায় এটি গলে যায়না, তাছাড়া তাপ যাতে অতিরিক্ত না হয়ে যেতে পারে সেজন্য বাতির ভেতর থেকে অক্সিজেন বের করে নিষ্ক্রিয় গ্যাস দ্বারা পূর্ণ করে দেওয়া হয়। এই উচ্চতাপশক্তি দ্বারা নির্গত ফোটন কণাই আমাদের চোখে দৃশ্যমান আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বৈদ্যুতিক বাতি আসলে একটি খুবই সাধারণ যন্ত্র যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে আলোক শক্তিতে রুপান্তরিত করে।
একটি বৈদ্যুতিক বাতির দুইটি প্রান্ত থাকে, ধণাত্বক এবং ঋণাত্বক প্রান্ত যা একটি পাতলা কাঁচের আবরণে মোড়া থাকে। ধণাত্বক এবং ঋণাত্বকপ্রান্ত দুটি আবার কাঁচের আবরণের ভিতর একটি খুবই সুক্ষ পাতলা ধাতব তারের সাহায্যে যুক্ত থাকে। যখন একটি প্রান্ত দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয় তখন তা সুক্ষ পাতলা ধাতব তারটিকে প্রচন্ড আঘাত করে উত্বপ্ত করে এবং অবিরামভাবে আঘাতের ফলে তারটি উত্বপ্ত হতে হতে এক সময় আলো দিতে শুরু করে।
বৈদ্যুতিক বাতিটি পাতলা কাঁচের আবরণে মোড়া থাকে যাতে করে বাইরের ঠান্ডা বাতাস পাতলা ধাতব তারটিকে ঠান্ডা করে দিতে না পারে। কাঁচের আবরণের ভিতর এক প্রকার নিক্রিয় গ্যাস থাকে যা পাতলা ধাতবটিকে আলো দিতে সাহায্য করে।