যেকোন উপয়ায়েই হোক আপনার মনের কথা বলে দিন তাকে। উপায়গুলোঃ ফোন কল, এসএমএস, ফেসবুক বার্তা, কোন রেস্তোরায় গিয়ে, কোন উপহার দিয়ে, কোথাও বেড়াতে গিয়ে, বাসার ছাদে, সমূদ্রের তীরে, কোন এক পূর্ণিমা রাতে, চিরকুট দিয়ে, অথবা একদম সরাসরি। সে আপনাকে ভালোবাসবে কি না, সেটা পরের কথা। কারন দেয়ালের ওপারে কি আছে তা শুধু অনুমান করা যায়, নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না যতক্ষণ না আপনি উঁকি দিচ্ছেন। আপনি কি চান আজ থেকে কিছু বৎসর পর আফসোস করে বলতে "ইশ!! যদি একবার বলতাম! হয়তো সে রাজী হয়েও যেতো"। তাই যত দ্রুত সম্ভব বলে দিন আপনার মনের কথা ।
অনেক ভালো লাগে তাকে। মনে মনে অনেক ভালোবেসেও ফেলেছেন। কিন্তু মনের কথাগুলো মুখে প্রকাশ করার সাহস হচ্ছে না কিছুতেই। দেখতে দেখতে আবার ভালোবাসা দিবসও এসে গেলো। এবার সেই মানুষটিকে ভালোবাসার কথা না বললেই নয়। এবার তাকে জানাতেই হবে কতোটা ভালোবাসেন তাকে! কিন্তু কীভাবে? বিশেষ দিনে এই বিশেষ কথাগুলো জানানোর জন্য তো বিশেষ কিছু করতে হবে। চলুন জেনে নিই ভালো লাগার মানুষটিকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেয়ার কিছু রোমান্টিক উপায়। হতে পারে কাজে লেগেও যেতে পারে। নিজের কণ্ঠে ভালোবাসার গান আপনি গান গাইতে পারেন? কিংবা গিটার? যদি গান গায়তে পারেন তাহলে প্রিয় মানুষটিকে একটি সুন্দর ভালোবাসার গান গেয়ে শুনিয়ে দিন। তাকে বলুন যে গানের কথাগুলো আপনি তাকে উৎসর্গ করেছেন। আর যদি আপনি গান গাইতে না পারেন রেডিও তে কিংবা মোবাইলের ওয়েলকাম টিউনের সাহায্যেও প্রকাশ করতে পারেন ভালোবাসা। প্রেমের কথা ছাপানো ফুল দিয়ে ফুল দিয়ে ভালোবাসার কথা জানানোর পদ্ধতিটা পুরানো হলেও এর আবেদন কখনোই কমবে না। তাই ভালোবাসা দিবসে একগুচ্ছ লাল গোলাপ দিয়ে প্রিয় মানুষকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিতে পারেন। আজকাল ফুলের ওপরে লেখা যায়। মিউজিক্যাল কার্ড উপহারের দোকান গুলোতে নানান রকমের কার্ড পাওয়া যায়। যেই কার্ডের সঙ্গে আপনার মনের কথা গুলো মিলে যায় সেটাতেই ভালোবাসার কথা লিখে প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিন। দিতে পারেন মিউজিক্যাল কার্ড। অনেক কার্ড পাওয়া যায় যেগুলোতে নিজের আওয়াজ রেকর্ড করে যায়। এমন কার্ড কিনে নিজের কণ্ঠে ভালোবাসার কথা লিখে উপহার দিন মানুষটিকে। প্রেজেন্টেশন করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অফিসের জন্য তো কত প্রেজেন্টেশনই করেছেন। এবার প্রিয় মানুষটির জন্য সুন্দর করে একটি প্রেজেন্টেশন বানিয়ে ফেলুন। ভালোবাসার কিছু কথা এবং দুজনের কিছু ছবিও দিন সেটাতে। এরপর সেটাকে সিডি কিংবা ডিভিডিতে রাইট করে তাকে উপহার দিন এবং দেখতে বলুন। নিজের হাতে ছোট্ট চিরকুটে লিখে প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে ছোট ছোট চিরকুট লিখুন। এরপর সেগুলো তার বইয়ের পাতার ফাঁকে, ডায়রিতে, কফির কাপের নিচে, কিংবা অন্য কোথাও রেখে দিন যেখানে তার চোখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। হঠাৎ করে ভালোবাসার কথা লেখা এই চিরকুট পেয়ে প্রিয় মানুষটি মুগ্ধ হবেই। আজকাল যেহেতু হাতে লেখার প্রচলন প্রায় উঠেই গেছে, তাই এটা নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে তার। বিশেষ একটি কেক ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে নিশ্চয়ই দেখা করবেন? একটি হার্ট শেপ কেক কিনে নিয়ে যান তার কাছে। কেকের উপর লিখে জানিয়ে দিন তাকে ভালোবাসার কথাগুলো। খুব ভালো হয় যদি কেকটি তৈরি করেন নিজের হাতে, কিংবা বিশেষভাবে অর্ডার দিয়ে তার পছন্দের রঙ কিংবা প্রিয় মুহূর্তের ছবি দিয়ে। আপনার এই প্রেম নিবেদন অব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মোম বাতি অথবা ফুল দিয়ে সাজিয়ে ভালোবাসার মানুষটিকে চমকে দিতে চাইলে মোম বাতি অথবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে হার্ট একে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন। আপনার নিজের হাতে যত্ন করে করা এই ভালোবাসার নিদর্শন ফেরানোর সাধ্য নেই আপনার প্রিয় মানুষটির।
যদি তাকে আপনার ভালবাসার কথা বলতে না পারেন তাহলে প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে- তা হল এক কথাই মেয়েটিকে পটাতে হবে তারপর দেখবেন ভালবাসার কথা বলা তেমন ফেক্ট না। মেয়ে পটানোর কিছু উপায়::- ১. আপনি কি ভাই খুব ফিটফাট/ গোছালো? প্রথমেই মাইনাছ! কিছুটা অগোছালো, এলোমেলো ছেলেই নাকি সুন্দরী মেয়েদের বেশি পছন্দ! তবে সাবধান! উদ্ধত্যপূর্ণ কিংবা ছেঁড়া- ফাঁড়া পোশাক বাদ দিন। ভালো পারফিউম ব্যবহার করুন। ২. মেয়ে ভাবলেশহীন ভাবে তাকিয়ে আছে? আপনি উদাসী হউন। নিজের ব্যাপার গুলো ভুলে যান বেশী করে। জ্ঞান ফলান। তবে হ্যাঁ, আঁতলামি কইরেন না আবার! ৩. মেয়ে নরম হচ্ছে না? তাকে দাম দিন। প্রশংসা করুন- তবে মেপে মেপে। শরীর নিয়ে ভুলেও প্রশংসা করবেন না। করলে বিপুল মাইনাছ!! তার কাজকে গুরুত্ব দিন। কোন গুণ থাকলে তার প্রশংসা করুন। পোষা প্রাণী থাকলে ওটারও প্রশংসা করুন(আপনার পছন্দ না হলেও!) ৪. মেয়ে বেশি ভাব-গম্ভীর? ঘন ঘন তাকান। বাছাই করা জোক্স দিয়ে রসিকতা করুন। হাসুন-- হাসতে দিন। হাসি মুখ যে কাউকে আকর্ষণ করে। ৫. কাজ হচ্ছে না? দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছেন না?? কথার ফাঁকে আপনার চুলে হাত বোলান। আপনার দিকে তাকালে জিভ্ দিয়ে ঠোঁট চাটুন (বেশী করা যাবে না।) পশমী বুক থাকলে জামার দু'একটা বোতাম খুলে দিন। ভদ্র ভাবে......... নরম হবেই!! ৬. মেয়ে অতিরিক্ত কঠিন? একেবারেই কাজ হচ্ছে না?? উলটো পথে হাঁটুন। জানেন তো, মাইনাছে মাইনাছে পিলাচ! এইবার দাম কিছুটা কম দেন। অন্য কারো সাথে ক্ষীর খান(মেয়ে হইলে ভালো)!! হঠাৎ দাম কমে গেলে সে কিছুটা জ্বলবেই। জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হতে দিন। পড়ে আগুন নিভে গেলে বুঝবে......... আপনি ছাড়া গতি নাই!! এগুলোতে কোন কাজই হলো না????? ভয় পাবেন না। ভাত হাত দিয়ে খাওয়া যায়, আবার চামুচ দিয়াও খাওয়া যায়! অর্থাৎ ঘুরপথে আন্টির কাছে যান। মনে রাখবেন, পরিবারও অনেক সময় পছন্দে প্রভাব ফেলে। ৭. আন্টিকে কদমবুচি করেন। শরীর- স্বাস্থ্যের খবর নেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। তবে সাবধান!! এতক্ষণ মেয়ের সাথে যা যা করছেন......... যত টুকু সম্ভব তার আমমুর সাথে ভাল ব্যবহার করুন,,,,,