আমার চুল শক্ত এবং খাড়া খাড়া কোনদিকে বাকানো যায়না। কি করবো কিছু টিপস দিবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

খারা চুল সোজা করতে হলে অনেক নিয়ম ফলো করতে পারেন।তবে এমন নিয়ম ফলো করবেন না যা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকর। তো নিয়ম গুলো দেখে নিন।


  •  ক্লিয়ার শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করুন। ক্লিয়ার শ্যাম্পু আপনার চুলের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে দিবে। এতে আপনার চুল দূষণ মুক্ত হবে। এবং চুল পরিষ্কার দেখাবে বা ভাব করবেন।

  • চুলে জেল জাতিয় পদার্থ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। (চুলে) অবশ্যই সরিষার তেল ব্যাবহার করবেন। এতে আপনার চুল তার স্বাভাবিকে ফিরে আসবে।

  • চুলে  ব্যাবহার করুন- নারিকেল তেল,মেথি,মেহেদি, অ্যালোভেরা, ইত্যাদি এতে চুল তার সঠিক নিয়মে ফিরে আসবে

[বি-দ্র- এটা জন্মগত ভাবে হলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন]
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সহজ কিছু উপায়ঃ

দুধের ব্যবহারঃ এই পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করার জন্য আপনার লাগবে মাত্র ১/৩ কাপ দুধ, ১/৩ কাপ পানি ও একটি স্প্রে বোতল। চুল যদি বেশি কোঁকড়া হয় তবে মিশ্রনে ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে নিন।

প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ও পানি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর তা একটি স্প্রে বোতলে ঢোকান। চুলের জট একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্প্রে করুন পুরো চুলে। সব দিকে ভালো করে স্প্রে করে নিন। মাঝে মাঝে চুল আঁচড়ে নিন বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে। ১ ঘণ্টা এভাবে রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। কন্ডিশনার লাগাবেন অবশ্যই। চুল শুকিয়ে গেলে স্ট্রেইট হয়ে যাবে। এভাবে সোজা করলে চুলে পরবর্তীতে পানি লাগানোর আগ পর্যন্ত চুল সোজা থাকবে।

নারকেল এবং লেবুঃ তাজা নারকেল মিশ্রিত দুধের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটিকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। একটি ঘন ক্রিমি (creamy)লেয়ার বা স্তর দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটাই দরকার চুল সোজা করার জন্য। পুরো চুলে এটি লাগিয়ে নিন এমনকি মাথার তালু বা ত্বকেও লাগাবেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে চুলে স্টিম করুন। সব শেষে ধুয়ে ফেলুন সমস্ত চুল। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আপনি ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে।

ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েলে আছে চুলকে বৃদ্ধি আর চুল সোজা করার গুনাগুণ। এই তেল চুলের ভেতরে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। ব্লো ড্রাই করার পর চুলে যেন তেলতেলে ভাব না থাকে, চুল হতে হবে শুষ্ক। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে রক্ষা করবে আর স্ট্রেইটনেস বা সোজা ভাবটি বজায় থাকবে।

সয়াবিন তেলঃ অয়েল ট্রিটমেন্ট চুলের যেকোনো সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায়। এক চা চামচ সয়াবিন তেলের সাথে দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন তারপর হাল্কা গরম করে মাথার তালুতে দিন। এভাবে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবেন।

মুলতানি মাটির হেয়ার মাস্কঃ এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য লাগবে ১ কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫ চা চামচ চালের গুঁড়ো। প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে মুলতানি মাটি ও চালের গুড়ো দিয়ে ভালো মত মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। চুলের জট একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এরপর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতেই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন। যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার চেষ্টা করুন। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই পেস্টটি চুলে লাগান। চুল প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেইট হয়ে যাবে।

ব্যানানা হেয়ার প্যাকঃ দুটি ম্যাসড কলার সাথে দুই টেবিল চামচ মধু, দই এবং অলিভ অয়েল আর ১টি ডিমের সাদা অংশ মেশান। এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে ফেলুন। তারপর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবেও আপনার চুল অনেকটা সোজা দেখাবে।

মধু এবং দুধঃ এটা শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্য-ও ম্যাজিকের মত কাজ করে। এক চামচ মধুর সাথে এক কাপ দুধ মেশান। সঙ্গে কয়েকটি স্ত্রাবেরও ক্রাশ করে দিন। এই পেস্ট ২-৩ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালো মানের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন রেশমী চুলের জন্য।

ঘন ঘন স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল স্ট্রেইট করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। চুলের আগা ফেটে যায় ও চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ। যা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে উঠে না। উপরে দেয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন। অবশ্যই উপকার পাবেন। সঙ্গে বোনাস হিসেবে থাকবে আপনার চুলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও। তবে যথেষ্ট ধৈর্য্য ধরতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ