সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ যথাস্থানে জরুরী। পরিবারে ইসলামের দাওয়াত এভাবেই দিবেন যে ভাল কাজ করো মন্দ কাজ হতে বিরত থাক। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ তার চেয়ে কার কথা উত্তম যে আল্লাহর দিকে আহবান জানায় এবং সৎকাজ করে। আর বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। (ফুসসিলাতঃ ৩৩) আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল যেন থাকে যারা কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে, আর তারাই সফলকাম। (আল-ইমরানঃ ১০৪) তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য যাদের বের করা হয়েছে, তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে, অসৎকাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনবে। (আল-ইমরানঃ ১১০) সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ, উপদেশ দেওয়া নারী পুরুষ সকলের কর্তব্য। তবে মহিলা মহলে মহিলা দাঈ দাওয়াতের কাজে বেশি উপযুক্ত। বিশেষ করে মহিলা বিষয়ক সমস্যাবলীতে মহিলা বিশেষজ্ঞই বেশি উপকারী। তবে সর্বপ্রথম তার ইলম ও আমল সঠিক হতে হবে এবং দাওয়াতের কাজ করতে গিয়ে শরয়ী কোন ওয়াজিব ত্যাগ অথবা কোন হারাম কাজ করে বসলে হবে না।
আপনি বিনয়, নম্রতা, কৌশল ও হিতোপদেশ প্রদানের মাধ্যমে পরিবারে দাওয়াতের কাজ আঞ্জাম দিতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে সব সময় কল্যাণ কামনার মধ্যদিয়ে কাজ করতে হবে। আপনার কোন ত্রুটির কারণে বিরূপ প্রভাবও পড়তে পারে। মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন- তোমরা তোমার পালনকর্তার পথে (লোকদেরকে) প্রজ্ঞা, উত্তম উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে আহ্বান কর। সূরা নাহাল : আয়াত নং ১২৫। হাদীসে এসেছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু ইরশাদ করেন, দ্বীন হলো কল্যাণ কামনার নাম। সহীহ মুসলিম : হাদীস নং ৫৫। মহান আল্লাহ আপনার এ উদ্যোগকে সফল করুন। এবং পরকালের পাথেয় হিসিবে কবূল ও মঞ্জুর করুন। আমীন। আপনার প্রতি শুভ কামনা রইল।