যেভাবে বুঝতে পারেন- = ঘরে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটা। = কারো মাঝে ব্যতিক্রম ধর্মী আচরণ প্রকাশ পাওয়া। = ঘরের কেউ অস্বাভাবিক চিত্র দেখা। = ঘরে কালো কুকুর ও কালো বিড়ালের আনাগোনা বেশি হওয়া। = ঘরের কোন সদস্য কাউকে দেখতে পাওয়া, যাকে ঘরের অন্য সদস্য দেখতে পারছেন না। ইত্যাদি, ইত্যাদি কারণ দেখা দিলে বুঝতে হবে ঘরে বা ঘরের আঙ্গিনায় জ্বিনের আনাগোনা আছে। ** দুআ কবূলের মুহূর্তসমূহ: পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর। শেষ রাতে। কোন নেক কাজ করার পর দুআ করলে। হজ্ব থেকে আগমন করার পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত দুআ কবূল হয়। ইত্যাদি, ইত্যাদি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয় সে নিজে এবং তাঁর দলবল তোমাদেরকে এমন স্থান হতে দেখে থাকে যে, তোমরা তাদেরকে দেখতে পাওনা। (আরাফঃ ২৭) জিনদের দেখতে পাওয়া না গেলেও তাদের উপদ্রব বোঝা যায়। মাশহুর সনদে বর্ণিত হাদীছে আছে যে, মানুষ কখনো কখনো পুরাতন এবং ধ্বংস প্রাপ্ত বাড়ী-ঘরে প্রবেশ করলে পাথর নিক্ষিপ্ত হয়। অথচ সেখানে কোন মানুষ দেখতে পায়না। কখনো কখনো আওয়াজ এবং গাছের পাতার নাড়াচাড়া শুনতে পায়। এরকম কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটলেই বুঝতে হবে সেখানে জিন আছে। জিন বিভিন্ন প্রাণীর রূপ ধারণ করতে পারে। কিন্তু তাদের একটি গ্রুপ সর্বদা সাপ ও কুকুরের বেশ ধারণ করে চলাফেরা করে মানব সমাজে। এটা তাদের স্থায়ী রূপ। এতে বোঝা অসম্ভব। তবে জিন মানুষকে আছর করতে পারে। স্পর্শ দ্বারা পাগল করতে।পারে। মানুষের উপর ভর করতে পারে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার জীবনের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত করতে পারে। যে সময় দোয়া করলে অবশ্যই তা কবুল হয়। ۞ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদের সময় যদি দোয়া করা হয়, তাহলে তা কবুল হয়। ۞ জুমার দিনের দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। ۞ আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া কবুল হয়। ۞ সেজদারত অবস্থায় দোয়াভকরা হলে তা কবুল হয়। ۞ জমজমের পানি পান করার সময়ের দোয়া করা হলে তা কবুল হয়। [জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যে দুআ গুলো পাঠ করতে হবে। তার মধ্যে আয়াতুল কুরসী অন্যতম। কোন লোক রাত্রিতে আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে সারা রাত আল্লাহর পক্ষ হতে একজন হেফাজতকারী থাকে। সকাল পর্যন্ত শয়তান তার নিকটেও আসতে পারে না।]