ভাই লজ্জা কম বেশি সবার আছে।কথাটা হল লজ্জা কোথায় পেতে হবে কোথায় হবেনা ,কিসে লজ্জা করতে হবে কিসে হবেনা। অনেক পুরুষ আছে যারা মেয়েদের সাথে কথা বলতে লজ্জা পায় আবার সেই মানুষ চুরি করতে বা ঘুষ খেতে লজ্জা পায়না এক্ষেত্রে আপনি লজ্জার বিষয় টা কিভাবে বিশ্লেষণ করবেন। যায় হোক আপনার প্রশ্নটা পড়ে যতটুকু বুজতে পেরেছি আপনি মেয়েদের সাথেত বটেই অপরিচিত পুরুষের সাথেও কথা বলতে লজ্জায় লাল হয়ে যান। আসলে এটার নাম লজ্জা নয় এটা একধরণের হীনমন্যতা যা খুব সহজে দূর করা সম্ভব।আপনি বেশি বেশি উপন্যাস পড়ুন ভালো ভালো নাটক দেখুন আর অপরিচিত মানুষ দেখলে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। হতে পারে এক দুই বাক্যের, এই যেমন সালাম দিলেন হাত মেলালেন কেমন আছেন জিজ্ঞেস করলেন তার পর জিজ্ঞেস করুন কয়টা বাজে অথবা কোন ঠিকানার কথা জিজ্ঞাস করতে পারেন এরপর ধন্যবাদ দিয়ে চলে যান এভাবে প্রাকটিস করুন আশা করি হীনমন্যতা দূর হবে।
আপনি নিজের লজ্জাটিকে যদি সত্যিই কাটিয়ে উঠতে চান তাহলে যে কোনো জায়গায় আপনার যা বলতে ইচ্ছা করে তাই বলবেন, না বলবেন না। মনে রাখবেন ‘না’ শব্দটি আপনার জীবনের বড় একটি শত্রু হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ কারণে চাইলে আপনার জীবন থেকে না শব্দটিকে বাদ দিয়ে দিন। কখনই না বলবেন না। আপনি বলতে পারেন এবং নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন এটাই সত্যি কথা। এর বিপরীতে কোনো কথাই হতে পারে না।
মানুষের লজ্জা বেশি থাকাটা একটি প্রশংসনীয় গুণ৷ তবে লজ্জার কারণে হক কথা বলতে না পারা বা ভালো কাজ করতে না পারা খুবই খারাপ বিষয়৷ যেমন, কেউ খারাপ কাজ করছে, আর আপনি লজ্জার কারণে তাকে বাধা দিতে পারলেন না, তাহলে এরূপ লজ্জা শরীয়তে জায়েয নেই৷ যেভাবেই হোক এটা কাটিয়ে উঠতে হবে৷ সেজন্য আপনাকে সাহসী হতে হবে৷ কোন জায়েয কাজ বা বৈধ বিষয় করতে দ্বীধা করা যাবে না, চাই যে যাই বলুক৷ সাহস সঞ্চার করে করে বা বলে ফেলতে হবে, দেখবেন ধীরে ধীরে আপনি স্বাভাবিক হয়ে গেছেন৷
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃহতে বর্নিত,হযরত নবী কারিম সাঃ জৈনিক আনসারির নিকট দিয়ে গমন করছিলেন।আনসারী সাহাবী তখন তার ভাই কে লজ্জা সম্পর্কে উপদেশ দিচ্ছিলেন।অর্থ্যৎ লজ্জা কম করার জন্য বলছিল।তখন রসুল সাঃবললেন, তাকে ছেড়ে দাও।কেনোনা লজ্জা ঈমানের অংশ।**বুখারী ও মুসলিম** উপরোক্ত হাদিসের ভিত্তিতে বলা যায়, লজ্জা একটি প্রশংসিত গুন।যাদের লজ্জা বেশি তারা খারাপ কাজ করে না করলেও খুব কম।তাই আপনার লজ্জা বেশি এটা খুব ভালো।এতে কোনো সমস্যা নেই।হাদিসটি পড়ুন।