কিভাবে নামাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াব এবং খারাপ কাজ করা থেকে দুরে থাকব???
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ভাই আপনি এই উপায়গুলো মেনে চলুন, প্রথম উপায় : সালাতে ‘হুজুরে দিল’ বা অন্তরের উপস্থিতি থাকা ; এটি সালাতের প্রাণ। মানুষের মন কখনো বেকার থাকে না; হয় সালাতে থাকে, না হয় অন্যত্র থাকে। সালাতে দাঁড়ালে শয়তান বারবার মানুষের মন ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু মানুষকে তা ধরে রাখতে হয়। বড় কোনো মানুষের সাথে কথা বলার সময়, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার খাতায় লেখার সময় বা সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময়ে মানুষ সে কাজের প্রতি তাদের যেভাবে পূর্ণ মনোযোগ রাখে, সালাতের সময়ে তেমন মনোযোগ রাখে না। অথচ, সালাত পৃথিবীর সব কাজের বড় কাজ; এখানে পূর্ণ মনোযোগ থাকা একান্তই কর্তব্য। যারা কিছুতেই সালাতে মন ধরে রাখতে পারে না, তাদের জন্য একটি অনুশীলন খুবই ফলপ্রসূ হয়। অনুশীলনটি হল : দাঁড়ানো থেকে রুকুতে যাবার আগে, রুকু থেকে সিজদায় যাবার আগে কিংবা সিজদা থেকে বসার আগে, প্রত্যেক অবস্থান পরিবর্তনের পূর্বে মনের অবস্থা দেখে নেয়া। তারপরেও যদি সালাতে মনোযোগ না থাকে, তাহলে তাসবীহগুলো মনোযোগের সাথে আরেকবার পড়তে হবে; এভাবে যতবার মনোযোগ না আসবে, ততবার পড়তে থাকলে এক পর্যায়ে সালাতে মনোযোগ ফিরে আসতে বাধ্য হবে। দ্বিতীয় উপায় : সালাতে যা কিছু পাঠ করা হয় তার অর্থ বুঝতে চেষ্টা করা। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে। সালাতে সূরা ফাতিহা, বিভিন্ন কিরাত ও তাসবীহগুলোর অর্থ যখন জানা হয়ে যাবে তখন তা ভালোভাবে অনুধাবনের চেষ্টা করতে হবে। কোনো কোনো আলেম সালাতে যতবার সূরা ফাতেহা পাঠ করেন, ততবার তাদের নিকট ভিন্ন ভিন্ন অর্থ অনুধাবন হয়, তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দিক-নির্দেশনা পান। তৃতীয় উপায় : সালাতে আল্লাহর প্রতি ‘তাযীম’ বা ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। সাধারণত দুটি কারণে মনে আল্লাহর প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা সৃষ্টি হয়। এক. আল্লাহতায়ালার প্রতাপ ও মাহাত্ম্যের জ্ঞান লাভ করলে; যার এ জ্ঞান নেই, তার মন আল্লাহর সামনে নত হয় না। দুই. নিজের অজ্ঞতা-হীনতা-নীচতা-সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা থাকলে মানুষ আল্লাহকে মন থেকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে পারে। চতুর্থ উপায়: সালাতে দাঁড়িয়ে আল্লাহতায়ালাকে ভয় করা। কেবল জ্ঞান থেকেই ভয়ের উত্পত্তি সম্ভব; যে-মানুষ যত জ্ঞানী, তিনি আল্লাহকে তত ভয় করেন। কোরআনে বলা হয়েছে-‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে ভয় করে’ (সূরা ফাতির-২৮)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিনয়-নম্রতা নামাযের অন্তঃসার ও আসল প্রাণ। এর অর্থ হচ্ছে, অন্তরের উপস্থিতি। ডানে-বামে অন্তরকে নিয়ে ঘুরাফেরা না করা। বিনয়-নম্রতা বিরোধী কোন কিছু যদি মানুষের অন্তরে আসে তবে সে পাঠ করবে আঊযুবিল্লাহি মিনাশ্‌ শায়তানির রাজীম।যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করেছিলেন। সন্দেহ নেই শয়তান মানুষের সমস্ত ইবাদত বিশেষ করে সর্বোত্তম ইবাদত ছালাত বিনষ্ট করার জন্য সর্বাধিক আগ্রহী। নামাযরত ব্যক্তির কাছে শয়তান আগমণ করে বলে, উমুক কথা স্মরণ কর, উমুক কথা স্মরণ কর। তাকে এমন কিছুর খেয়ালে নিয়ে যায় যাতে কোন উপকার নেই। আবার নামায শেষ হলে এসমস্ত খেয়াল শেষ হয়ে যায়।

 

অতএব মানুষের জন্য আবশ্যক হচ্ছে, নামাযের মত গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠ ইবাদত আদায় করার জন্য সবচেয়ে বেশী মনযোগী ও বিনয়ী হওয়া। কেননা সে তো মহান আল্লাহ্‌র সামনে দন্ডায়মান। তাঁর সাথে গোপনে কথা বলছে। মনে করবে সে যেন মহান আল্লাহকে দেখছে বা এতটুকু মনে করবে যে, আল্লাহ্‌ তাকে দেখছেন। আর যখনই শয়তানের কুমন্ত্রনা ও বদখেয়াল মনের দুয়ারে উঁকি দিতে চাইবে তখনই আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাইবেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নামাজের ফজিলত পূর্ণ হাদীস & আয়াত গুলো পড়ুন, সাথে নামাজ না পড়ার ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে অধ্যায়ণ করুন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ