শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যে শিক্ষাবোর্ডের সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি যে শিক্ষাবোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সেই বোর্ডের বৃত্তি বিভাগ বা তথ্য সেবা কেন্দ্র নামের কেন্দ্র থেকে একটি ফরম আনবেন।সেই ফরমটা নির্ভুল করে পুরণ করবেন।আপনার এ সমস্যার কথা একটি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করতে হবে।সেই সাথে বিজ্ঞপ্তির একটি কপি সংগ্রহ করে নিবেন।তারপর সোনালি ব্যাংকে ডিমান্ড ড্রাফট করবেন 500 টাকা।আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত ড্রাফট করবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ শুরু হবেনা।নির্ধারিত দিনে বিজ্ঞাপণ কপি, ব্যাংক ড্রাফট রশিদ, আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক সত্যায়িত এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জেলা বা উপজেলার যারা এবিড এবিড করে তাদের কাছ থেকে একটি এই কপি নিয়ে একসাথে বোর্ডে গিয়ে জমা করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ভাই, প্রথমে বলি এটা কোনো মারাত্মক ব্যাপার নয়, দুশ্চিন্তা করবেন না তবে যত তারাতারি পাড়েন ঠিক করিয়ে নেন। 

আপনি প্রথমে যে কাজগুলো করবেন তা  ধাপে ধাপে বলছি।
আপনার স্কুল পরীক্ষা কিংবা কলেজ পরীক্ষা যে জায়গার পরীক্ষাতেই ভুল হোউক না কেন আপনাকে প্রথমে একটি আবেদন ফরম নিতে হবে। তার জন্য আপনি যে বোর্ডের অধীন সেই বোর্ডের ওয়েব সাইট হতে তা ডাউনলোড করে নিতে পারেন কিংবা আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করতে পারেন। তার জন্য বোর্ডে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তারপর ঐ ফরম টি ভালো করে পড়বেন কেননা ওখানেই সমস্ত নিয়ম কানুন দেওয়া আছে। কোন কাজটার পর কোন কাজটা আপনাকে করতে হবে। তারপরও বলছি, বিজ্ঞপ্তি দিবেন, নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেবিড করবেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন ভর্তি হয়েছিলেন তার রেজিস্টার খাতার কপি নেবেন, আপনার প্রয়োজন মত কিংবা তার থেকে অধিক পরিমাণের ছবি সত্যায়িত করাবেন কেননা ছবির দরকার পরবর্তীতে আরও হবে এবং আবেদন ফরমের নির্দষ্ট জায়গায় প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর নিবেন। এসবের পর সোনালী সেবার মাধ্যমে নির্দিষ্ট খাতে টাকা জমা দিবেন তবে টাকা জমা দিতে হবে ব্যাংকে গিয়ে কিন্তু রশিদ আপনাকে সোনালী সেবাই হতেই নিতে হবে। তাই আগে সোনালী সেবা তারপর ব্যাংক। এতটুকু করার পর জমা দিতে যাবেন। জমা দিয়ে মাস খানেক পরই যোগাযোগ করবেন তা না হলে ওরা আপনাকে কিছুই জানাবে না নানান ব্যস্ততার কারণে কিন্তু ওরা বলবে তিন মাস পরের কথা ওরা ফোনে জানাবে এসব আরকি। এখানে আরেকটা কথা বলি সেটা হলো আপনাকে একটা আবেদন ফরমেই বলতে হবে আপনি কতগুলা পরীক্ষার নাম সংশোধন করতে চান। আর যদি আপনার নাম ছাড়া আপনার বাবা কিংবা মায়ের নাম সংশোধন হয় তাহলে এফিডেবিড তাদের নামে করতে হবে এবং বোর্ডে তাদের কাগজ পত্র নিয়ে যেতে হবে। 

এগুলার পর আপনার সংশোধনের পর মিটিং হবে যদি মারাত্মক রকমের ভুল হয়। আর যদি (কার , ফলা কিংবা বর্ণ এদিক সেদিক) জাতীয় ভুল হয় তাহলে ডাকবে না। যাই হোক না কেন আপনি আপনার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে সবসময় রেডি থাকবেন। 

এসব কাজ হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে নিতে হবে ফ্রেশ কপি। তার জন্য আপনার প্রতিটি পেপার নিতে হলে আবার ফরম পূরণ করতে হবে, সোনালী সেবা করতে হবে, স্কুল কলেজে যেতে হবে স্বাক্ষর ও তাদের অনুমোদন নেওয়ার জন্য কিন্তু বিজ্ঞপ্তি ও নোটারি করা লাগবে না। রেজিস্টেশন কার্ড বাদ দিয়ে বাকী সকল কাগজ নিতে জমা দিতে হবে 558 টাকা তবে রেজিস্টেটন কার্ড  এর জন্য 100 টাকা করে। 

বি ঃ দ্র ঃ আমি যে সমাধান দিলাম তা ঢাকা বোর্ডের অভিজ্ঞতা থেকে কিন্তু অন্য বোর্ডে কি রকম তা আমার জানা নেই। তাই আপনি যদি প্রশ্নে উল্লেখ করতেন তাহলে আরও স্পষ্ট হতো বিষয়টা। 

যা হোউক এভাবে কাজ করবেন। আর দালালের কাছে  দায়িত্ব দিবেন না। 
ধন্যবাদ। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ