শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
master

Call

আই-পিল তিনটি আলাদা-আলাদা উপায়ের যেকোনো একটি অনুযায়ী কাজ করে, তবে তা নির্ভর করে আপনার ঋতুচক্রের সময়ে আপনি কোথায় থাকতে পারেন-তার ওপর৷.

  • এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসৃত হতে বাধা দিতে পারে৷.
  • যদি ডিম্বাণু ইতিপূর্বেই নিঃসৃত হয়, তাহলে এটি শুক্রাণুকে বাধা দেয় যাতে তা ডিম্বাণুটিকে নিষিক্ত না করতে পারে৷.
  • ডিম্বাণু ইতিপূর্বেই নিষিক্ত হয়ে গেলে, এটি তাকে গর্ভাশয়ের ধারে সংযুক্ত হতে বাধা দিতে পারে৷.

একথা উল্লেখ করা জরুরি যে গর্ভধারণ শুধু তখনই প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের গায়ে সংযুক্ত হয়ে যায়৷ আই-পিল অকার্যকর হয় যদি গর্ভধারণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় (অর্থাৎ নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়)৷ তাই একে গর্ভপাতের পিল্ বলা চলে না৷.

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমাদের সমাজে বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের কারণে আবার কখনো কখনো স্বামী-স্ত্রীর অজ্ঞতার কারণে ঘটে থাকে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের মতো ঘটনা। প্রথম ঘটনাটি সবাই যেমন ঘৃণ্য চোখে দেখে, তেমনি সামাজিক-ধর্মীয় অনুশাসনের মাধ্যমে একে রোধ করা সম্ভব। কিন্তু দ্বিতীয়টির বেলায় প্রচলিত নানা পদ্ধতি ছাড়াও রয়েছে কিছু জরুরি পদ্ধতি যা অবলম্বনের মাধ্যমে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

প্রথমেই জানা দরকার ইমার্জেন্সী কন্ট্রাসেপশন বা জরুরী গর্ভনিরোধ পদ্ধতি কেন অবলম্বন করা দরকার। উত্তর কিন্তু খুবই সহজ। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এড়াতে এই পদ্ধতি আসলে নারীদের আরেকটি সুযোগ দেয়।
জরুরী গর্ভনিরোধক পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয় যেগুলো সাধারণত Morning-after Pill নামে পরিচিত। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই ওষুধগুলো মিলনের ৫ দিন পর পর্যন্ত ব্যাবহার করা যায়। বাজারে এগুলো সচরাচর Plan B, Next Choice এবং Ella- এই ব্র্যান্ডগুলোর নামে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

imageকিন্তু এরা কিভাবে কাজ করে? সহজ করে বলতে গেলে বাজারে পাওয়া সাধারণ জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধগুলোর তুলনায় এদের ডোজ উচ্চমাত্রার। ফলে এদের কার্যক্ষমতাও সাধারণ ওষুধগুলোর তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। এরা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু নির্গত হবার প্রক্রিয়াকে বাঁধা দেয়। আর ডিম্বানু নির্গত হতে পারে না বলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এড়ানোও সহজ হয়ে যায়। কিন্তু যারা ইতোমধ্যেই গর্ভধারণ করে ফেলেছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি যেমন কাজ করবে না তেমনি শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রোগগুলোর বিরুদ্ধেও এরা কোনো প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে না।

এক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, একেক ব্র্যান্ডের ওষুধের কার্যক্ষমতা একেকরকম। যেমন- Plan B ওষুধগুলো মিলিত হবার ৫ দিন পর পর্যন্ত খাওয়া যায়; তবে যত তাড়াতাড়ি খাওয়া হবে ততই ভালো। আর Ella ব্র্যান্ডের ওষুধগুলো মিলিত হবার ৫ দিন পর খেলে যে কথা, ১ম দিন খেলেও একই কথা। অর্থাৎ এদের কার্যক্ষমতার তেমন একটা পরিবর্তন হয় না।

এতক্ষণ তো জানা গেলো জরুরি জন্মনিরোধক ওষুধ ব্যাবহারের প্রয়োজনীয়তা আর নিয়ম সম্পর্কে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক এদের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে পেটে ব্যাথা, স্থূলতা, অনিয়মিত রক্তপাত আর মাথাব্যথার মতো ঘটনাগুলো। তবে অন্যান্য আর আট-দশটা ওষুধের মতো এদের ক্ষেত্রেও এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারটা ব্যাক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে। কারো কারো যেমন বমি হতে শোনা গিয়েছে, তেমনি কারো মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখা যায়নি।

কিভাবে পেতে পারেন এই জরুরী জন্মনিরোধক ওষুধগুলোঃ Plan B ব্র্যান্ডের ওষুধগুলো যেকোনো বয়সের কেউ স্থানীয় দোকান থেকে কিনতে পারে কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই। একই কথা বলা যায় Next Choice, Next Choice One Dose, My Way এবং Levonorgestrel ব্র্যান্ডের ওষুধগুলোর ক্ষেত্রেও। তবে এদের বেলায় ক্রেতাকে অবশ্যই ১৭ বছর বা তার উর্ধ্ব বয়সের হতে হবে নতুবা তাকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখাতে হবে। আর Ella-এর বেলায় ক্রেতার বয়স যাই হোক না কেন, প্রেসক্রিপশন লাগবেই।

সবশেষে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবে শুধু এটাই জানাতে হয়, এই ওষুধগুলো কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো সাধারণ ওষুধ নয়, বরং কেবলমাত্র জরুরী অবস্থায় ব্যাবহারের জন্যই। তাই সবাইকে এই ব্যাপারে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা গেলো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ