জিভ প্রসারিত হয়ে সামনার অংশ শক্ত তালু স্পর্শ করে কোন ধ্বনি উচ্চারিত হয়?

জিভ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে- মধ্য-স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময়।

জিভের সামনের অংশ উপরের পাটি দাঁতের নিচের অংশকে স্পর্শ করে উচ্চারিত হয় দন্ত্য ধ্বনি।

জিভের সামনের অংশ পিছনে কুঞ্চিত বা বাকা হয়ে তৈরি হয় প্রতিবেষ্টিত ধ্বনি।

জিভের সামনের অংশ উপরে গিয়ে শক্ত তালু স্পর্শ করে উচ্চারিত হয়- তালব্য দন্ত্যমূলীয় ধ্বনি

জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে আলজিভের মূলের কাছাকাছি নরম তালু স্পর্শ করে উচ্চারিত হয় জিহবামূলীয় ধ্বনি।

মুখের মধ্যে ফুসফুস তাড়িত বাতাস প্রথমে কিছুক্ষণের জন্য সম্পূর্ন বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পরে মুখ দিয়ে বের হয়ে যে ধ্বনিগুলো উচ্চারিত হয় তাকে বলে স্পৃষ্ট ধ্বনি।

যে ধ্বনি উচ্চারণে জিভ কম্পিত হয়- কম্পিত ধ্বনি বলে।

যে ধ্বনি উচ্চারণে সময় বাতাস জিভের পেছনের এক পাশ বা দু পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং জিভ দাঁত অথবা দন্তমূলে অবস্থান করে তাকে- পার্শ্বিক ধ্বনি।

আনন্দ বর্ধন রসধ্বনি কে শ্রেষ্ঠ ধ্বনি বলেছেন।

‘মনের ভাব প্রকাশের জন্য, বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি দ্বারা নিষ্পন্ন, কোন বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত, তথা ব্যক্যে প্রযুক্ত শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে।’- এ সজ্ঞাটি দিয়েছেন ড. সুনিতিকুমার চট্টোপাধ্যায়