যারা মসজিদে যেতে পারছেন না বা সতর্কতামূলক যেতে চান না তাদেরও ঈদের নামাজ জামাতেই পড়তে হবে। জামাত ছাড়া একাকী পড়ার বিধান শাফেয়ী মাজহাবে থাকলেও হানাফি মাজহাবে নেই। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই হানাফি মাজহাবের অনুসারী। জামাত ছাড়া একাকী ঈদের সালাত আদায় করা যায় না বলে স্পষ্টভাবে বলেছে হানাফি মাজহাব। রাসুল (সা.) বা সাহাবায়ে কেরাম কখনও একাকী ঈদের নামাজ আদায় করেননি বলে দাবি তাদের। এখন প্রশ্ন হলো- মসজিদ ছাড়া ঘরে ঈদের জামাত করা যাবে কিনা। শর্ত সাপেক্ষে করা যাবে। শর্ত হচ্ছে ইমাম ছাড়া কমপক্ষে তিন জন বয়স্ক পুরুষ থাকতে হবে। বড় ঘরের বৈঠক খানায় অথবা বাড়ির ছাদে বা উঠানে অথবা যে কোনো খোলা জায়গায় ইদের নামাজ আদায় করা যাবে। হযরত আনাস (রা.) একবার ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি, পরে তিনি বাড়ির সবাইকে একত্র করে তার গোলামকে ঈদের নামাজের ইমামতি করতে বললেন। (বুখারী শরীফ ১/১৩৪) এসব শর্ত সবার জন্য পালন করা সহজ হবে না। অনেকেরই বড় বাড়ি নেই। আবার বাড়ির সামনে খোলায় জায়াগাও নেই অনেকের। সে ক্ষেত্রে ঈদের নামাজ নয়, বরং চার রাকাত চাশতের নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন হযরত ইবনে মাসউদ (রা.)। [ইবনে আবি শাইবা ৪/২৩৫] আতা ইবনে রাবাহ (রা.) বলেছেন, কোনো কারণে ঈদের নামাজ পড়তে না পারলে দু’রাকাত চাশতের নামাজ আদায় করবে। [বুখারী ১/ ১৩৪] হানাফি মাজহাবে এ জন্য দু রাকাত ও চার রাকাত উভয়টির অনুমোদন রয়েছে। তবে চার রাকাত পড়া উত্তম। চাশতের নামাজ পড়ার সময়: সূর্য একটি বল্লমের সমান তথা ১ মিটার পরিমাণ ওপরে উঠার পর এ নামাজ পড়তে হয়। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পর ইশরাক নামাজ আদায়ের সময় থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত এ নামাজ পড়া যায়। আরবরা বলত, চাশতের নামাজের সর্বোত্ত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ